Home বাংলা নিউজ বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা পাচ্ছেন গার্মেন্টস কর্মীরা

বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা পাচ্ছেন গার্মেন্টস কর্মীরা

ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে করোনার টিকা নেয়ার জন্যে লাইনে দাঁড়িয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা।

রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে শ্রমিকদের টিকা দেয়া হচ্ছে। 

রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে শ্রমিকদের টিকা দেয়া হচ্ছে।

রোববার গাজীপুরের কোনাবাড়ির তুসুকা ডেনিম কারখানায় সকালে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। প্রথম দফায় রেজিস্ট্রেশন না করলেও টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতেশ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

প্রথম দিন চারটি গার্মেন্টস এর ১২ হাজার কর্মীকে টিকা দেয়া হয়েছে বলে জেলার সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামানজানিয়েছেন।তিনি বলেন, সারা দেশে হাসপাতাল কেন্দ্রিক টিকাদান কর্মসূচি চললেও পোশাক শ্রমিকদের বিশেষব্যবস্থায় কারখানায় গিয়ে টিকা দেয়া হচ্ছে।এ কাজটি করতে টিকা প্রদানকারীদেরদীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছে।

সোমবার আরো আটটি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের টিকা দেয়া হবে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, পর্যাক্রমে সব গার্মেন্টসকে টিকাদানের আওতায় আনা হবে।

রেজিস্ট্রেশন বা অন্য কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই নিজেদের কারখানায় টিকা পেয়ে শ্রমিকরা খুশি।তারা বলছেন এই উদ্যোগের ফলে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রেখে নতুন উদ্যমে কাজকরতে পারবেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তারিকুল ইসলাম টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নেন।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের ভ্যাকসিন এর আওতায় আনার ক্ষেত্রে বয়সের সীমা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা শ্রমিকদের জন্য একটি সুসংবাদ।এই উদ্যোগ সরকারের জন্যও একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পোশাক কারখানায় ৪০ লাখের মতো শ্রমিক কাজ করেন।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ কয়েক দফায় মানুষের চলাচলের ওপর সরকার বিধি-নিষেধ আরোপ করলেও পোশাক শিল্প কারখানা খোলা ছিল।

আসছে ঈদুল আজহার পর সরকার দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধি-নিষেধের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। ওই সময় পোশাক শিল্পকারখানাসহ সব ধরণের কারখানা বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।তবে শিল্প মালিকরা কারখানা চালু রাখতে সরকারের প্রতি আর্জি জানিয়েছেন।

সরকার ‘সুরক্ষা’ নামের অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ৩৫ বছরের বেশি বসয়ীদের করোনা ভাইরাসের টিকা দিচ্ছে।মাঝে টিকা সংকটের কারণে কর্মসূচি বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি তা আবার শুরু হয়েছে। টিকার সরবরাহ বাড়ায় এখন ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকা গ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here