স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির প্রধান বাজার ইউরোপে শুল্কমুক্ত সুবিধা (জিএসপি) হারাবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিজিএমএই সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেছেন, ইইউ কমিশন তাদের প্রস্তাবিত ২০২৪-৩৪ জিএসপি রেগুলেশনে এই শর্ত বাদ দিয়েছে। ফলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় কোনো বাধা থাকছে না।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালকরা।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমদানির ন্যূনতম স্তর ছিল ৬.২ শতাংশ। এটি বাড়িয়ে ইইউ কমিশন ৭.৪ শতাংশ করেছে। এ বিষয়ে আমরা ইইউ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের জিএসপি পাওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এটা এখন বেড়ে হয়েছে ২০২৬ পর্যন্ত। এ ছাড়া ইইউ সাধারণত তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড দেয়। সেই হিসাবে আমাদের আশা, ২০২৯ সাল পর্যন্ত আমরা জিএসপি পাব।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি পোশাক রপ্তানি হয়। আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে এই বাজারে তৈরি পোশাকের কার্যাদেশ বাড়বে।