Home Apparel ইউরোপের বাজার নিয়ে আবার শঙ্কায় মালিকেরা

ইউরোপের বাজার নিয়ে আবার শঙ্কায় মালিকেরা

ইউরোপের বাজার নিয়ে আবার শঙ্কায় মালিকেরা
ইউরোপের বাজার নিয়ে আবার শঙ্কায় মালিকেরা

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নতুন করে শঙ্কা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

ফারুক হাসান বলেন, ‘জার্মানিতে এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে ৫২ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ফ্রান্সসহ প্রায় সব ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপে খুচরা বিক্রি এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সেখানকার খুচরা বিক্রি করোনার আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। তার ওপর করোনার আঘাতে আবারও যদি ইউরোপের জনজীবন ব্যাহত হয়, তবে সেটি আমাদের পোশাকশিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে।’বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম ও স্কটল্যান্ড সফর করেন ফারুক হাসান। সে উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। ইউরোপে নতুন করে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের নজর রাখতে অনুরোধ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি এস এম মান্নান, শহীদউল্লাহ আজিম, মিরান আলী ও খন্দকার রফিকুল ইসলাম, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন প্রমুখ। ইইউর বাজার নিয়ে বিজিএমইএর সভাপতির শঙ্কার কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশের গন্তব্য ইইউ।

ইউরোপের দেশগুলোতে করোনা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব পোশাক রপ্তানিতে পড়েনি। তবে করোনার প্রথম ঢেউয়ে গত বছর মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছিল। পোশাকের দামও কমিয়ে দেন ক্রেতারা। বর্তমানে সেই পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছর লোকসান দিয়েও পোশাকশিল্পের মালিকেরা ক্রেতাদের ধরে রাখার কৌশল নিয়েছিলেন। সেটির সুফল মিলছে এখন। তবে কাঁচামালের দাম যে পরিমাণে বেড়েছে, সেই অনুপাতে পোশাকের মূল্য বাড়েনি।

এদিকে সম্প্রতি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন বিজিএমইএর সভাপতি। তিনি বলেন, ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সেই অনুপাতে পণ্য পরিবহন, জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং আনুষঙ্গিক কাঁচামাল ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের খরচ বেড়ে যাবে ৪-৫ শতাংশ। লিখিত বক্তব্যে এই হিসাব দিলেও তিনি ডিজেলের দাম কমানোর বিষয়টি সরাসরি উল্লেখ করেননি।’

বিষয়টি নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ফারুক হাসান বলেন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। জিনিসপত্রের দামও বাড়বে। বিশ্ববাজারে দাম কমায় দেশের বাজারে ডিজেলের মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে সরকারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here