নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৫১৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫.৮৯% বেশি।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারিতে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.১০% কম।
সবশেষ ডিসেম্বর মাসে ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয় হয় রপ্তানি থেকে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। জানুয়ারি মাস শেষে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩২.৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯.৮১% বেশি। আগের অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি থেকে ২৯.৫৫ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল বাংলাদেশের।
ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত চার মাস ধরেই দেশে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ার কথা বলে আসছিলেন প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের শিল্প মালিকরা।
এর সঙ্গে দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট যুক্ত হওয়ায় রপ্তানি খাতের দুরাবস্থা বোঝাতে জানুয়ারি মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক দিকে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তারা। তবে বাস্তবে তা ঘটেনি।
অন্যদিকে জানুয়ারি মাসে ১৯৬ কোটি মার্কিন ডলার অর্থাৎ ১৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিরা। আগের বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা ১৬৪ কোটি ডলার বা ১৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এবারে একই মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে দুই হাজার ৭২০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে এক হাজার ৪৯০ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৮৬ কোটি ডলার বেশি।
গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল এক হাজার ১০৪ কোটি ডলার। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫%।
এদিকে প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন চার হাজার ২৯১ কোটি ডলার।