তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমই-এর আসন্ন দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে বিজয়ী হলে পরবর্তী দুই বছর এ খাতের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার ফারুক হাসান।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হোটেল রেডিসনে ‘বিজিএমইএ’র অগ্রযাত্রায় সম্মিলিত পরিষদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই প্রতিশ্রুত দেন তিনি।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শিদী।
ফারুক হাসান বলেন, কথা দিচ্ছি। আমি বিজয়ী হলে পোশাক খাতের জন্য, আপনাদের জন্য, তথা দেশের জন্য আগামী ২ বছর নিজেকে উৎসর্গ করবো। ইতিমধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে। আমি এমন পরিকল্পনা করবো যাতে শিল্পে সফলতা বয়ে আনে।
দেশের পোশাক শিল্পকে বিশ্ব দরবারে ব্র্যান্ডিং করাই হবে আমার সবচেয়ে বড় কাজ এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে জায়ান্ট গ্রুপের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বিজয়ী হলে মুখে নয়, কাজ করে প্রমাণ করে দেখাবো, আমরা পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে পারি কি-না।
বিজিএমইএর বর্তমান এই অবস্থানে আসার পেছনে ফারুক হাসানের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে সালাম মুর্শেদী বলেন, করোনায় পোশাক শিল্পের এই সংকটময় সময়ে যোগ্য ও বিচক্ষণ নেতা দরকার। যার সাহসীকতায় ও দূরদর্শিতায় পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।
“আমি মনেকরি, দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সম্মিলিত পরিষদের নেতা ফারুক হাসান পোশাক খাতকে বিশ্ববাজারে মর্জাদার সাথে ব্র্যান্ডিং করতে সক্ষম হবেন।”
সম্মিলিত পরিষদকে নির্বাচনে সমর্থন জানিয়ে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এ শিল্পের উন্নয়নে ভালো মানুষকে পাশে চাই। সম্মিলিত পরিষদের নেতা সেই ভালো মানুষ। আমরা তাকে পাশে চাই। এ খাতে ফারুক হাসানের বিকল্প নেই।
নিট পোশাক খাতের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি আসলাম সানি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শত শত কারখানা বন্ধ হয়েছে। এসব কারখানা চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের বাড়তি চাপ থেকে মালিকদের বাঁচাতে হবে। এই বিষয়ে আগামীর নের্তৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিকেএমইএ’র জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, পোশাক খাতের নিজেদের স্বার্থের জন্য শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমরা ফারুক হাসানকে বেছে নিয়েছি, যিনি একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত মানুষ। এই শিল্পের স্বার্থে আগামী নেতৃত্ব তিনি দিবেন বলে প্রত্যাশা করি।
বস্ত্র কল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, সবাই একটা সুশৃঙ্খল ও সুন্দর বিজিএমইএ দেখতে চায়; যে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারবে। নেতা হিসাবে ফারুক হাসান সেটা পারবে বলে সবাই বিশ্বাস করে।
প্লাস্টিক পণ্য খাতের সংগঠন বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সময় মালিকরাই বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এই নির্যাতনের কথা যারা তুলে ধরে শিল্পের উন্নয়নে কাজ করবেন তাকে নেতৃত্বে বসাতে হবে। এ বিষয়ে সম্মিলিত পরিষদের নেতার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে।
এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এ কে আজাদসহ এই খাতের শীর্ষ নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।
আগামী ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বিজিএমইএর ২০২১-২৩ সেশনের নির্বাচন। সম্মিলিত পরিষদ ছাড়াও বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হকের অনুসারীদের প্যানেল ‘ফোরাম’ এবং ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স কারখানার মালিক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বাধীন ‘স্বাধীনতা পরিষদ’ নামের তৃতীয় আরেকটি প্যানেলও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।