জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে গেছে ৯ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক, চীন থেকে রপ্তানি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রথমবারের মত চীনকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাটের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ)।
প্রায় এক দশক ধরেই ইইউর বাজারে ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সাল মেক্সিকোকে পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও ডেনিম রপ্তানিতে শীর্ষস্থানটি বাংলাদেশ দখল করে নেয়।
চলতি বছরে আরেকটি অর্জনের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশে পোশাক খাতে। বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুতির পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে প্রথম শীর্ষে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ।
তবে জুলাই থেকে ভিয়েতনাম আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুতির পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়।
বৈশ্বিক মন্দার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পণ্যের ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ার কথা বলে আসছিলেন বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকরা। গত দুই মাস ধরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও হয়ে যাচ্ছিল নেতিবাচক। এমন পরিস্থিতিতে পোশাক রপ্তানির সূচকে এই ইতিবাচক খবর এল।
বিজিএমএইর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “ভলিউম বিবেচনায় ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ চীনকে প্রথমবারের মত পেছনে ফেলেছিল। নিট পোশাকের এই অর্জন সেই রেকর্ডকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।”
২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে এক দশমিক ৩৩ বিলিয়ন কেজি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। সেই বছর চীন থেকে রপ্তানি হয়েছিল এক দশমিক ৩১ বিলিয়ন কেজি। তবে দামের বিচারে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন, যা চীনের রপ্তানি মূল্যের চেয়েও একটু কম।
বিজিএমইএ জানায়, এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে নিটওয়ার সাব ক্যাটাগরিতে যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের হিসাবে নিটওয়ার খাতে পণ্যের পরিমাণ ও মূল্য দুই দিক থেকেই বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে রয়েছে।
এই নয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে; চীন থেকে রপ্তানি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারের।
একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৫৭১ মিলিয়ন কেজি এবং চীন থেকে ৪৪২ মিলিয়ন কেজি নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
ফারুক হাসান বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির চিত্র শক্তিশালী হচ্ছে। চলতি ২০২৩ সালে নিট পোশাক একটা উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছাল।
“এ ধরনের অর্জন বিশ্ববাজারে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুতার পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবে। এর কারণ হচ্ছে, সম্প্রতি নিট পোশাক খাতে দামি পণ্যে বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে ভালো করছে।” News Sources : bangla.bdnews24