fbpx
Home Blog Page 12

দেশব্যাপী অস্থিরতা: পোশাক খাতের অর্ডার যাচ্ছে প্রতিযোগী দেশে

রপ্তানিমুখী পোশাক তৈরির কোম্পানি এসরোটেক্স গ্রুপের পাঁচটি কারখানা মিলে গেল সপ্তাহে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৯ শতাংশ উৎপাদন করতে পেরেছে। আগামী তিন মাসের জন্য যে ক্রয়াদেশ তাদের হাতে আছে, তাও উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে।

এসরোটেক্সে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুল ইসলাম অসহায় ভঙ্গিতে গণমাধ্যমকে বললেন, অবস্থা এমন চললে কারখানাগুলো পুরোপুরি বন্ধের কথা ভাবতে হবে তাদের। ‘শ্রমিকরা কথা শোনে না। তাদের কথায় আমাদের চলতে হচ্ছে। তিনদিন লে অফ ঘোষণা করেছি। শ্রমিকরা সেসব দিনের পারিশ্রমিকও চাইছে।’ শ্রমিকদের এমন দাবিকে ‘দিনে দুপুরে ডাকাতি’ বলছেন আসাদুল ইসলাম।

প্রায় ২১ হাজার শ্রমিক নিয়ে কাজ চালিয়ে আসা এসরোটেক্সের পাঁচ কারখানা মিলে প্রতি মাসে দেড় কোটি থেকে এক কোটি ৬০ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। কিন্তু শ্রমিকরা সেপ্টেম্বরে ২৬ কর্মদিবসের কাজ করেছেন মাত্র ১৬ দিন। ব্যাংক ঋণ নিয়ে শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে জানিয়ে আসাদুল বলেন, ‘এভাবে কতদিন তারা ঋণ দেবে। চিন্তা করছি, কারখানা বন্ধ করে দেব। এভাবে চলতে থাকলে তো আর কোনো উপায় নেই।’

শুধু এসরোটেক্সেই না, শ্রমিক অসন্তোষের ধাক্কায় এ খাতের বহু বড় কোম্পানির একই দশা। ক্ষমতার পালাবদলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির মাঝে পোশাক খাতের শ্রমিকদের অসন্তোষ, আন্দোলন, কর্মবিরতি এবং একের পর এক কারখানা বন্ধের ঘটনায় রপ্তানি আয়ে ৮৫ শতাংশের মত অবদান রাখা এ খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানামুখী শঙ্কা দানা বাঁধছে।

উৎপাদন তলানীতে নেমে যাওয়া, কার্যাদেশ পাশের দেশে চলে যাওয়া, আয় কমে ব্যাংক ঋণে নির্ভরশীলতার পাশাপাশি সামনের দিনে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে দেশের রপ্তানিতে অবদান রাখা অনেক বড় কোম্পানির। 

দেশে প্রায় ২ হাজার ৮০০ পোশাক কারখানা আছে, যারা সরাসরি পোশাক রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। অব‍্যাহত শ্রমিক অসন্তোষ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ১২ সেপ্টেম্বর কেবল আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের ৮৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন‍্য বন্ধ ও ১৩৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের তরফে জানানো হয়, ৫০টির বেশি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিদিনই বহু কারখানা বন্ধ থাকছে। তাতে পোশাকের কার্যাদেশ বাতিল হয়ে যাচ্ছে।

সরকারের ভাষ্যে ২০% কার্যাদেশ ‘বাতিল’

শ্রমিক অসন্তোষের প্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কার্যাদেশ বাতিল হয়ে গেছে বলে গত ১২ সেপ্টেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে এসরোটেক্স গ্রুপের এমডি আসাদুল ইসলামের ভাষ্য, কার্যাদেশ কমে যাওয়ার চেয়েও বড় শঙ্কা অপেক্ষা করছে সামনের দিনে। তার ভাষায়, ‘এভাবে চলতে থাকলে ইন্ডাস্ট্রিই চলবে না।’

একই সুরে কথা বললেন স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলামের। পৃথিবীর ২০টি দেশের ৪০টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে পোশাক রপ্তানি করে এই গ্রুপ। শোভন বলেন, ‘ক্রেতারা সাধারণত এমন সমস্যা হলে ভাবেন ৪-৫ দিনেই সমাধান হবে। বেশি গেলে ৭ দিনে হবে। অথচ মাস পেরিয়ে গেছে, কোনো সমাধান হয়নি। আমরা শ্রমিকদের ১৮ দফা মেনেছিলাম। কিন্তু দিন দিন দফা বাড়ছেই। খুবই হতাশাজনক।’

এমন চলতে থাকলে ‘অস্তিত্ব সংকট’ তৈরি হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে ওভারনাইট ক্রয়াদেশ পড়ে না। অর্ডার তিনমাস আগেই বুকিং দেওয়া থাকে। কিন্তু আমরা উৎপাদন করতে পারছি না। অর্ডার এক্সিকিউট না করা গেলে অর্ডার পেয়েই বা কী! ১০-২০ শতাংশ অর্ডারের বিষয়ে ক্রেতারা বলছেন, এখন আর তাদের দরকার নেই। ক্রেতারা নতুন করে নেগোশিয়েট করছেন না।’

শ্রমিক অসন্তোষ প্রথমে আশুলিয়াতে থাকলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেটা ‘ছড়িয়ে যাচ্ছে’ বলে জানান শোভন।

ক্রয়াদেশ অন্যান্য দেশে

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। জুলাই জুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নৈরাজ্য, সহিংসতা আর সংঘাতের পর কারফিউ জারি হয়। প্রথমবারের মত দীর্ঘ সময়ের জন্য ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে সারা পৃথিবীর সঙ্গে দেশের বাণিজ্য যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিশ্ব বাজারে তৈরি হয় ‘আস্থার সংকট’।

আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুৎ হলে হাল ধরেন মুহাম্মদ ইউনূস। পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক থাকায় আশার আলো দেখেছিলেন পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তবে আশার প্রদীপ নিভে যায় ক্ষমতার পালাবদলের পর আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় হামলা হয়। ঝুট ব্যবসার দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি নিয়ে এ খাতে ফের অস্থিরতা তৈরি হয়। আর শ্রমিক অসন্তোষ যেন কফিনে ‘শেষ পেরেক’ ঠোকে। প্রতিযোগিতামূলক দেশগুলো এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে বা ক্রেতারাও তাদের দিকে ঝুঁকছে।

এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলছেন, ৩০ শতাংশের মত কার্যাদেশ অন্যান্য দেশে চলে গেছে। স্প্যারো গ্রুপের শোভনও একই কথা বলেছেন। তার ভাষ্য, ‘যখন ক্রেতারা বলছেন এখন আর লাগবে না। আমরা বুঝি তারা অন্য দেশে এ কার্যাদেশ দিয়েছেন।’ এক কোটি ৭০ লাখ পোশাকের একটি কার্যাদেশ হাতছাড়া হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পোশাকের মূল্য ৪ ডলার করে হলেও সবগুলোর মূল্য কত হয় তা হিসাব করে দেখুন। এ আদেশটি ২-৩টি কোম্পানি মিলে পেত। দ্য এন্টায়ার অর্ডার হ্যাভ অলরেডি মুভড।’

উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতছাড়া হওয়া কার্যাদেশগুলো বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভারত, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানে যাচ্ছে। কার্যাদেশ বাতিল হওয়ার বিষয়টি ১২ সেপ্টেম্বরের হওয়া সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও বলেছেন। ওইদিন তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এমন কিছু তথ্য পেয়েছি যেটা ওই বিষয়টিই ইঙ্গিত করে। এটা একটি সিজনাল বিজনেস। মার্কেটে যে প্রোডাক্ট যাবে সেটা তিন মাস আগেই প্রস্তুত করতে হয়। সেই অর্ডারগুলো অনেক জায়গায় বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু নির্দিষ্ট দেশের ব্যবসায়ীরা অর্ডারটা নেওয়ার জন্য লবিং করছে, উঠে পড়ে লেগেছে।’

রপ্তানি কত কমবে?

আশুলিয়ার বড় একজন পোশাক রপ্তানিকারক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এক কোম্পানি প্রতিবছর তাদের ১ কোটি পোশাকের আদেশ দিত। কিন্তু সেই ক্রেতা এখন অন্য দেশে ‘চলে যাচ্ছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, আশুলিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা ‘রিস্কি জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

সুরমা গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, বারবার শ্রমিক আন্দোলনে কারখানা বন্ধের জেরে ৯০০ কোটি টাকার মত ক্ষতি হচ্ছে তাদের। ক্ষতির মুখে পড়েছে অনন্ত গার্মেন্টসও। কারখানা বন্ধের কারণে পণ্য জাহাজীকরণের (শিপিং) সময় ফসকে যাওয়ায় তাদের প্রায় ১০ লাখ পোশাক আটকে (ব্যাকলগ) গেছে। এখন আকাশপথে বিপুল অর্থ ব্যয়ে তাদের পণ্য পাঠাতে হবে। যেহেতু উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে, কার্যাদেশ বাতিল হচ্ছে, শিপমেন্ট সঠিক সময়ে করা যাচ্ছে না, এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি রপ্তানি আয়ে। এখনকার চেয়েও বেশি ভাটার শঙ্কা দেখা যাচ্ছে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে।

বাংলাদেশ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি থেকে আয় করে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকেই আসে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। 

পোশাক খাতের সবচেয়ে রমরমা সময় যায় জানুয়ারি-মার্চ সময়ে। ওই সময়টায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে ছুটি ও ভ্রমণের আমেজ থাকায় তখন বাংলাদেশের পণ্যের বিক্রি বাড়ে। ওই সময়ের পণ্যের কার্যাদেশ পেতে নমুনা পাঠাতে হয় অগাস্টের ছুটির আগে। কিন্তু দেশে জুলাই থেকে শুরু হওয়া অস্থিরতা ঘিরে কারখানা বন্ধ, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকা ও ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউটের কবলে পড়ে অনেকেই নমুনা পাঠাতে সমস্যায় পড়েছেন বা পিছিয়ে পড়েছেন।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, ইন্টারনেট ও যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে ‘আস্থার’ যে সংকট প্রথমে হয়েছিল, তার মাশুল এমনিতেই গুনতেই হত। এখন শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অচলায়তন তৈরি হল। এর জেরে জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ৬০০ কোটি (৬ বিলিয়ন) ডলার পর্যন্ত রপ্তানি কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শোভন ইসলাম।

তাছাড়া রপ্তানিকারকরা যে ৩০ শতাংশ কার্যাদেশ বাতিলের কথা বলছেন, তাতেও একই পরিমাণ রপ্তানি কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সঙ্গে চলতি কার্যাদেশের উৎপাদন ও রপ্তানি সঠিক সময়ে না করা গেলে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।

সুত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর 

Urgent reforms needed to save Bangladesh’s spinning sector

Bangladesh’s spinning sector, a critical part of the country’s textile and apparel industry, is facing an unprecedented crisis. For the past two years, spinning mills have been forced to operate at a loss of 20-30 cents per unit. The financial strain has led to widespread layoffs, and the frustration of the industry is beginning to boil over into protests. However, the situation is not unique to the spinning sector alone. The weaving and woven dyeing sectors are experiencing similar turmoil, with job cuts exacerbating the unrest. This crisis calls for urgent policy reforms and strategic decisions to safeguard the future of one of Bangladesh’s most vital industries.

A significant part of the problem lies in the unregulated influx of Indian yarn into Bangladesh under the bond license system, which allows duty-free imports. This policy has severely impacted local manufacturers, even though Bangladesh can produce 80-90% of the yarn needed for the knitting industry and 40% for the woven industry domestically. However, many companies opt for imported yarn, neglecting local production, because of the cost benefits associated with tax-free imports from India. This practice is gradually destabilizing the market and pushing local producers to the brink of collapse. Due to government policy, the incentive for the local yarn based import has become less than the earlier. On the other hand, the incentive gets long time to be matured. For this reason, garments exporters are choosing to import yarn rather than sourcing locally.

To address this challenge, a robust and forward-thinking policy framework is required. First and foremost, all yarn imported from India or any other foreign source should be subject to appropriate taxes. This measure would create a level playing field for local producers, allowing them to compete fairly and potentially gain a stronger foothold in the market. By imposing import duties, the government could protect domestic industries, ensuring they remain competitive and sustainable in the long term.

Another critical issue facing the spinning sector is the lack of local production facilities for essential spare parts, compressors, generators, and other machinery. While India benefits from its domestic manufacturing base, which allows it to sell these components at lower prices domestically, Bangladeshi companies are forced to pay inflated prices for imported equipment. This disparity adds another layer of cost to an already struggling industry. To reduce dependence on foreign suppliers and enhance local capabilities, Bangladesh must invest in building its own manufacturing infrastructure for these vital components.

Moreover, the cost of raw materials is becoming an increasing burden on the spinning sector. Gas, a crucial input for production, has to be purchased from manufacturers in dollars, adding to the financial strain. With the ongoing dollar crisis and challenges in cotton imports, the industry is being squeezed from all sides. As the global economic landscape becomes more uncertain, the need for local solutions becomes even more pressing.

Last but not the least, proper research and analysis must be done to set a long term business policy for the spinning industry of Bangladesh to remain sustainable for the upcoming decades. Immediate government policy support is needed to establish manmade fiber and spinning industry.

The government must take immediate steps to address these issues. A change in policy regarding the importation of foreign products, particularly Indian yarn, is essential to the survival of the spinning sector. Without such reforms, the industry risks losing its competitive edge, which would have devastating effects on employment and economic stability.

In fine, Bangladesh’s spinning sector stands at a crossroads. The current crisis is a wake-up call for policymakers, industry leaders, and stakeholders. It is time for decisive action to protect one of the cornerstones of our economy.

ILO proposes five key reforms to resolve RMG sector unrest

To address the continuous labor discontent in the nation’s RMG sector, the International Labor Organization (ILO) has identified five areas, including reforming the wage structure and policies as well as amending labor laws.
On Sunday (September 29), the Dhaka office of the ILO suggested taking these steps in a statement.

ILO proposes five key reforms to resolve RMG sector unrest
Figure: ILO is closely monitoring the incidents of discontent arising from various grievances of workers in the garment and other sectors. 

It said that the ILO is closely monitoring the incidents of discontent arising from various grievances of workers in the garment and other sectors. Important systemic issues have been raised by this dissatisfaction, which need proper attention and resolution.

This requires reforming wage structures and policies, reforming labor laws and strengthening legal protections, establishing strong industrial relations, and ensuring social protection and occupational health and safety.

Advocating constructive discussions between factory owners, workers and government representatives to resolve labor grievances, the organization said, social dialogue is an important tool for good governance as it helps to resolve and resolve disputes involving various stakeholders.

Regarding wage structure and policy reforms, the ILO said there is a need to develop an evidence-based and gender-responsive national wage policy to determine fair wages.

Reforming the minimum wage system and incorporating worker and employer consultation will help resolve wage-related grievances as well as determine living wages.

In terms of strengthening of labor laws and legal protection, the labor laws of Bangladesh should be amended to make them compatible with international labor standards. Also make the Act mandatory for all workers in formal, informal and export processing zones (EPZs), said ILO.

The ILO also called on the government of Bangladesh to ratify OSH conventions No. 155 and No. 187 and to develop a comprehensive national OSH system adding will promote a culture of safety across all sectors of the economy.

Acknowledging the complexities surrounding the challenges underscores the importance of constructive dialogue among employer’s factory owners, workers, and government representatives.

All parties need to engage in good faith, working collaboratively towards fair and equitable solutions that uphold workers’ rights while ensuring the economic sustainability of the factories.

The ILO called on all stakeholders to work for the improvement of the industrial relations system through constructive social dialogue for both the stability of the RMG sector and the broader economic and social well-being of Bangladesh.

Notably, the workers in the garment sector have been protesting for almost a month with 18 demands, including wage increase and 10 percent increment at the end of the year.

Due to their movement, many garment factories have been closed for a long time. On September 24, the government and the owners decided to accept the 18-point demand of the workers. However, despite the acceptance of the demands, there is still labor unrest in many garment factories.

শ্রমিক হত্যার বিচারসহ পোশাক খাতে অসন্তোষ নিরসনে ২০ সংগঠনের বিবৃতি

আশুলিয়ায় গত সোমবার গুলিতে পোশাক শ্রমিক কাওছার নিহতের ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছে ২০টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন। শ্রমিক হত্যার বিচার ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সু-চিকিৎসার দাবিও জানায় তারা।

আশুলিয়া শিল্প অঞ্চলে চলমান গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে বৃহস্পতিবার ২০টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন যৌথ বিবৃতি দিয়ে এসব কথা বলে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বিভিন্ন কারখানায় বিভিন্ন দাবি কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের ছড়ানো শ্রমিক হত্যা ও ধর্ষণের মতো গুজবে পোশাক খাতে চরম অরাজকতা তৈরি করা হয়েছে।

এরই মধ্যে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের ৪ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ২০টি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের উত্থাপিত দাবি পর্যালাচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ১৮ দফা দাবির ১টি চূড়ান্ত দাবি নামা পেশ করা হয়। উপদেষ্টা, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এবং জাতীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সম্মতিতে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ওই সমঝোতা চুক্তি শ্রম সচিব কর্তৃক জাতীয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। মালিক ও শ্রমিক পক্ষ উভয়ই সম্মতি প্রকাশ করেন। এই চুক্তি রপ্তানি খাতে সব গার্মেন্টস কারখানায় বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এই উক্ত চুক্তি প্রচারের পরও আশুলিয়া শিল্প অঞ্চলে বেশ কয়েকটি গার্মেন্টেসে নানাবিধ গুজবে এরই মধ্যে যৌথ বাহিনী কর্তৃক শ্রমিকদের বকেয়া মজুরিসহ প্রাপ্য পাওনা আদায়ে কতিপয় মালিককে আটক ও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিচে সই কারীরা গার্মেন্টস শিল্পকে যে কোনো গুজবে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার আহ্বান জানাই।

নেতারা যথাক্রমে- এ্যাড. মন্টু ঘোষ-সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, মোশরেফা মিশু, সভাপতি- গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, এ্যাড. মাহবুবুর রহমান ইসমাঈল, সভাপতি-বাংলাদেশ টেক্সটাইলস গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, আমিরুল হক আমিন, সভাপতি-জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, তৌহিদুর রহমান, সভাপতি- বাংলাদেশ পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাবুল আকতার, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, কুতুব উদ্দিন আহমে, সভাপতি-বাংলাশে গার্মেন্টস টেক্সটাইলস লেদার ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, নাজমা আক্তার, সভাপতি-সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, তাসলিমা আক্তার, সভাপ্রধান- গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, লাভলী ইয়াসমীন, সভাপতি-রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, মরিয়ম আক্তার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশন, ইদ্রিস আলী, সভাপতি-জাতীয় গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ফেডারেশন, রফিকুল ইসলাম সুজন, সভাপতি-বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, আবুল কালাম আজা, সাধারন সম্পাদক-স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, সারওয়ার হোসেন, সাধারন সম্পাদক-গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগ, খালেকুজ্জামান লিপন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, সান্তনা ইসলাম, সভাপতি-মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, মিজানুর রহমান মিজান, সভাপতি-(আশুলিয়া) টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, সোহেল শিকদার, সহ-সভাপতি-রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলন ও এম ফয়েজ হোসেন, সভাপতি-বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন।

Situation in Ashulia now normal as most factories operational

RMG factories in Ashulia has started to return to normalcy since yesterday (2 October) after experiencing unrest for the last few days.

Since this morning (3 October), most factories reopened while workers joined work spontaneously.

However, some 18-20 factories remained closed due to internal reasons, said sources at the industrial police.

No untoward incident was reported from the area since the morning, while heavy presence of law enforcers and patrolling teams of joint forces were seen.

Superintendent of Industrial Police-1 Md Sarwar Alam could not be contacted as he was admitted in a hospital with injuries sustained during a clash between RMG workers and law enforcers on 30 September.

According to industry sources, 30 factories are still closed. Among them, 23 factories have declared holiday following Section 13(1) of the Labour Act which stipulates no work, no pay, and seven factories were closed either after workers left the factory or operations were halted for any other reason.

Among the seven factories, some have declared holiday with pay.

Factories like Anjuman Design Limited and Ethical Garments Limited are closed following Section 13(1) of the Labour Act, while factories like Generation Next have declared paid leaves after workers left the factory premises.

Industry sources said that a total of 407 factories were operating in Savar, Ashulia and Zirani areas, while 876 factories remained operational in Gazipur.

In Narayanganj, a total of 209 factories were running, while 302 factories in Dhaka Metropolitan Area and 350 factories in Chattogram remained operational, industrial police said.

Most factories open in Ashulia, situation now normal

Most factories in the Ashulia Industrial Area were open today with regular activities ongoing. 

However, in the morning, workers of Tex Town Limited, which was closed under Section 13 (1) of the Labour Act, started protesting after the factory was closed and tried to create chaos in front of the nearby factories in the Jirabo area of Ashulia, a source of the Industrial Police said.

The authorities of 12-14 factories in the Pukurpar and Kathgara areas of Jirabo were forced to declare their factories closed, the source added.

Photo: Collected

Photo: Collected

Among the factories forced to declare holiday are Picard Bangladesh Ltd, Southern Millennium Textile Ltd, Haesong Korea Ltd, Continental Garments Ind Pvt Ltd, Taharat Knit Composite Ltd, Leatherex Footwear Ltd, and Ever Bright Sweater Ltd.

Since Monday (30 September), workers of Birds Group have been protesting by blocking Nabinagar-Chandra road on Baipail, Ashulia, demanding payment of outstanding dues. They started the protest today as well but later retreated from the road after being reassured by the law enforcement agencies.

Ashulia police station Inspector (Investigation) Kamal Hossain told The Business Standard that the workers withdrew the blockade from the road around 1pm.

“When we explained to the workers, they accepted our request, they moved off the road and stayed in front of the factory,” he added.

Earlier, a worker of Birds Group from the location of the blockade had said, “I have been on the road for three days, still no response from the owner.

“The police are telling us, ‘Give us the address of the owner, we will go and get him.’ Where can we find the address of the owner?”

Another worker had said, 50 hours have passed and the problem has not been resolved from any side. “Ask the owner to pay us, we will leave,” he said.

When contacted, Dhaka District Superintendent of Police Ahmed Mueed told The Business Standard, “We are trying our best to solve the problem. The owner even switched off the phone and ran away. We request the workers to vacate the road so that the road conditions can be normalised. We are trying to resolve the issue through discussions with all parties and hope to resolve the issue by noon today.”

According to industry sources, production activities have been stopped in a total of 34 factories in Ashulia industrial area today.

Of these, only one factory, Anjuman Design Limited, is closed under Section 13(1) of the Bangladesh Labor Act which stipulates no work, no pay. And 33 factories have either declared unpaid leave, or work has been halted or workers have boycotted work.

These factories include Generation Next, Skyline Garments, Ethical Garments, Tex Town Limited, AR Jeans Producers Limited, and Crosswear Industries Limited.

On the other hand, the workers of at least 26 factories stopped working when the agitators pelted bricks demanding jobs for boys in the bypass road area from Gazipur intersection, the source said.

These include, Capital Fashion Limited, Euro Knitwear, Euro Jeans, That’s It Fashion, TM Fashion, Crown Fashion, Techno Fiber Limited, Alif Casual Wear, and TNZ Apparels Limited.

According to sources, 407 factories are open today in Savar, Ashulia and Jirani areas, 33 are closed; and in Gazipur 876 factories are open while 26 remain closed.

There are 209 factories in Narayanganj, 302 factories in DMP area and 350 factories in Chattogram. No factories are closed in these three regions.

Birds Group

On 27 August, Birds Group issued a notice stating that the ongoing Russia-Ukraine war and the global economic downturn had left the factory without work for an extended period.

Despite continuing operations at a financial loss, the management could not secure new work orders, which was beyond their control.

Consequently, on 28 August, the group announced the shutdown of all sections of RNR Fashions Ltd, Birds Garments Ltd, Birds Fedrex Ltd, and Birds A & Z Ltd.

Workers of Birds Group started protesting by blocking the road in front of DOHS and at two points in Baipail at 9:30am Monday (30 September) to demand payment of outstanding dues.

Later, the aggrieved workers retreated from the front of the DOHS, but the workers took a position in the Baipail area and started a protest by blocking the road, which is still going on.

Ending the cheap labour dependency

Bangladesh has built an entire export portfolio based on cheap labour. The domestic industries also thrive on cheap labour. Both in domestic and export markets, Bangladesh competes in price-sensitive markets. Low price is the value that we deliver. To a certain degree, the dependence on cheap labour is caused by the need to create jobs for many unskilled men and women entering the labour force every year. We are looking for job-rich sectors; we are afraid of mass unemployment if we shift to high-value technology-driven industries, and our economists have spent the last several decades searching for international trade routes that offer incentives like the GSP facility. In short, we did not build the support system and the enabling environment that can help us take a paradigm shift.

Global trade pretty much follows Heckscher-Ohlin’s theory of factor endowment based on Ricardo’s theory of comparative advantage. Countries export goods which absorb the abundant factor and import goods that absorb the scarce resources. Bangladesh exports goods that absorb cheap labour but imports goods that absorb capital. Factor endowments are, however, not static. Since 2013, China has shifted from a cheap labour or extensive growth model to a resource efficiency-based model. The shift to the resource efficiency based model (an intensive growth model) is not rapid. It is triggered when there is a decline in surplus workers and an increase in wages in the high-productivity sector. This squeezes the sector’s profit, and investment in the sector drops. We reach The Lewis Turning Point, where the economy shifts from an extensive to an intensive growth model.

Bangladesh has yet to reach this point, but it must escape from the conundrum of cheap labour. In other words, surplus labour needs to drop; wages need to rise. We are not reaching this point because we want to delay our path to it. Why? Because we are afraid. Why? Political parties capitalise on cheap labour for their benefit. Labour unrests are easy to manoeuvre if we are dealing with cheap labour. The government uses them to its advantage. The opposition parties use them for their benefit. The political parties do not have the incentives to let go of the surplus labour movement to cities. This strategy is also salient in the way we approach our transport sector. We keep it inefficient to allow the flow of cheap transport labour from rural to peri-urban and urban settings.

Beyond the political reasons, we also have inertia in fast-forwarding our path to an intensive growth model because it requires capital to be available to all. We have a dearth of domestic and diaspora investments because we promote cronyism in the form of capitalism. In Bangladesh, capital and markets are open only if they satisfy political interests. Ending cheap labour dependence addresses a key political fault line while opening frontiers for economic growth. So, how do we achieve it?

We need to open our market and expand our reach to other markets. While opening our market to local and foreign investors, we must ask what we are opening our market for. Cheap labour or something more? Investors are looking for land, ports, robust financial sector, assurance of political stability, limited bureaucracy, uninterrupted power supply, and faster connectivity. When we do not offer any of these, investors will not have incentives to come to Bangladesh unless and until they have vested interests. Thus, to end dependence on cheap labour, we need to build new factor endowments based on land and service delivery. This will open doors for more highly skilled labourers in service delivery and increase aggregate output from our land (thereby increasing resource efficiency).

The next part of the equation is to find who we can partner with to improve our balance of trade, facilitate capital formation and diversify exports. Specifically, we need to take measures that will enhance our balance of trade with our counterparts. To achieve this, Bangladesh needs to immediately assess the scope of integrating with ASEAN and other trade blocs. Integrating with more trade blocks can shift the dynamics of trade. This can potentially open avenues to get into high-value export-oriented agriculture, aquaculture, and ocean fisheries. Furniture, light engineering, and shipbuilding industries can potentially see a boom. We already reached the Lewis Turning point in agriculture as surplus labour has declined and the wage rate increased. Each of these sectors offers the opportunity to leverage highly skilled labour, technology and capital. In this context, we need to learn from our failures in leather, footwear, shrimp, and Jute diversified Products (JDP). Leather struggles due to a largely inefficient tannery sector. Shrimp has declined due to poor water conditions and virus attacks exacerbated by climate change. At JDP, we struggle as our production cost is way higher than India’s. In short, we lack comparative advantage in these sectors. However, we kept pushing as we did not analyse our prospects to shift from an extensive growth model to an intensive one.

So, can Bangladesh end the cheap labour curse as a factor endowment? Political parties will not take the leap forward. Interim government can. The question is whether they dare to seize the opportunity.

Ashulia RMG unrest: Factory owners to give Tk5 lakh compensation to family of killed worker 

Mango Tex, a concern of SM Sourcing, has promised to pay Tk5 lakh to the family of Kawsar Hossain Khan, who was killed during a clash between workers and law enforcers in Ashulia today

“We also decided to pay his family Tk5 lakh for their support as it was a big loss for them and our family,” Mango Tex Managing Director Mirza Shams Sakti told The Business Standard.

“His [the worker’s] body is at Suhrawardy Hospital for postmortem. Our top officials are there with the body,” he added.

Mirza Shams said Kawsar was a swing operator at the factory.

He alleged that some outsiders brought a procession near the Mango Tex factory. Later workers from the factory joined them, leading to the closure of the factory.

Mirza said Kawsar died about 45 minutes after in a clash with law enforcement agencies in front of a Mondol Group factory.

Kawsar’s body will be sent to his village home at Mehendiganj in Barishal.

Some other workers were injured in the clash.

“They are being treated at Enam Medical College Hospital in Savar. We are taking care of them and paying their treatment costs,” he added. 

“Three people with gunshot wounds were brought to our hospital around 1:00pm, one of whom was already dead,” Yusuf Ali, duty manager at Enam Medical College Hospital in Savar, told TBS earlier in the day.

More two were brought later on, both workers were part of the Natural Indigo factory.

Unrest began with false rumours of two workers’ death: BGMEA

Meanwhile, in a statement in the afternoon, the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) said in the presence of the army, a discussion between the owners and the workers’ representatives was going on in the factory of the Mondol Group in the Jirabo area of ​​the Tongi-Ashulia-EPZ road.

BGMEA said at that time, some outsiders spread false rumours about the death of two workers of the group and demonstrated outside its factory. Later workers from other factories also started gathering there.

Later a clash ensued between law enforcers and the workers.

“The outsiders and workers vandalised a few cars of the law enforcers. Later, when the workers became more agitated, the law enforcement forces members were forced to fire in self-defence,” claimed the BGMEA statement.

It also said several workers and members of law enforcement agencies were injured in the clash. 

“The injured workers were admitted to the local PMK Hospital and Enam Medical College Hospital in Savar. The doctor on duty at Enam Medical declared the labourer Kawsar Hossain Khan dead. He is a factory worker of Mango Tex Limited in the Jirabo area of ​​Ashulia. BGMEA is deeply saddened by the loss of workers,” reads the statement.

At least 11 injured members of law enforcement agencies are currently under treatment at the Combined Military Hospital (CMH), said BGMEA.

যে কারণে থামছে না পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ

কিছুতেই থামছে না দেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ। আগস্টের শেষে শুরু হওয়া এ নৈরাজ্যের সঠিক কারণও বের করতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। দাবি মানার পরও আন্দোলন-ভাঙচুর না থামায় দানা বাঁধছে নানা সন্দেহ। তবে সঠিক কারণ এখনো অধরা।

পোশাকখাতের সংশ্লিষ্টরা তাদের কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন জাগো নিউজের কাছে। চেষ্টা করেছেন সম্ভাব্য কারণ ও সমাধানের জায়গা খুঁজে বের করার। তাদের ধারণা, এ জায়গাগুলোতে সরকার যদি নজর দেয় তাহলে বের হতে পারে সম্ভাব্য সমাধান।

সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানায় চলছে বেশি সহিংসতা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিক্ষুব্ধ, বিশৃঙ্খল শ্রমিকদের দমনে শেষ পর্যন্ত গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। এতে একজন মারাও গেছেন। সরকার, শ্রমিক নেতা ও মালিকপক্ষ একাধিক বৈঠক করেও এ অস্থিরতা নিরসনে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা মালিকদের শান্ত করার আশ্বাস দিলেও তা হয়নি।

যে কারণে থামছে না পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ

এমনকি সরকারি গোয়েন্দা বা কারখানার মালিকরাও এর পেছনের কারণ শনাক্ত করতে পারেননি বা দোষীকে চিহ্নিত করতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। মালিকরা একে ‘অজানা অস্থিরতা’ বলে অভিহিত করেছেন।

গত সপ্তাহে সহিংসতা ও অস্থিরতার তীব্রতা কিছুটা শান্ত হলেও এ সপ্তাহে আবারও তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ক্রেতাদের চাপের মুখে কারখানা মালিক ও বিজিএমইএ বর্তমান অবস্থা নিয়ে চরম বাজে অবস্থা পার করছে। আকাশপথে পণ্য পাঠানোর জন্য রপ্তানিকারকদের ছাড় ও অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়। ফলে কমে লাভ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কারখানার মালিকরা এ প্রতিবেদকের কাছে শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে কিছু কারণ উল্লেখ করেছেন। দিয়েছেন সম্ভাব্য সমাধানের সূত্র।

যে কারণে থামছে না পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ

যেসব কারণে শ্রমিক অসন্তোষ বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের

>>‘আমাদের শক্তিশালী শিল্প পুলিশ রয়েছে এবং তারা অতীতে শ্রমিকদের অসন্তোষ দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের আন্তরিকতা অনুপস্থিত। তাদের ক্ষমতা ছিল কিন্তু এখন কার্যকরী নয়। এখানে অন্য কিছু লুকিয়ে আছে।’

>>‘কর্মীরা কাজ করতে ইচ্ছুক কিন্তু এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। তারা হুমকি দিচ্ছে, মারধর করছে। এরা স্থানীয় দুর্বৃত্ত এবং বেশির ভাগই ঝুট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এ খাত শান্ত হবে না।’

যে কারণে থামছে না পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ

>>তবে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল্লাহিল রাকিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে দৃঢ় সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিতে শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

>>অন্য কারখানার মালিকরা এটাকে পরিকল্পিত অস্থিরতা বলে দাবি করেছেন। তাদের যুক্তি, কিছু নতুন শ্রমিকের মাধ্যমে অস্থিরতা উসকে দেওয়া হয়েছে।

>>এগুলো ছাড়াও কিছু কর্মী আছে যারা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে বা চাকরি পেতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে কেউ সুবিধা পাচ্ছে না, তারা শ্রমিক অসন্তোষের নামে অরাজকতা তৈরি করছে।

যে কারণে থামছে না পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ

>>কারখানার মালিকদের দাবি, একটি স্বার্থান্বেষী মহল শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করার জন্য নৈরাজ্য সৃষ্টিতে উৎসাহিত করছে। একজন শ্রমিককে বরখাস্ত করা হলে সে তার বেতনের চেয়ে বেশি পাবে।

>>একজন অপারেটর প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১৯-২০ হাজার টাকা বেতন পান। মালিকরা তাকে বরখাস্ত করলে তারা ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পাবেন। পরে তিনি অন্য একটি কারখানায় যোগ দেবেন।’ এমন যুক্তি দেন লুসাকা গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান।

>>একজন মালিক স্থানীয় দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে মারাত্মক হুমকি পান। তিনি তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, আরেকটি কারণ হলো শিল্পএলাকা অপরাধপ্রবণ। এমন একটি দল আছে যাদের প্রকৃতপক্ষে কোনো চাকরি ছিল না, তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারাও ব্যবহৃত হয়। আওয়ামী লীগ শাসনের পতনের পর এই দলগুলো রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুপস্থিত।

যে কারণে থামছে না পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা আস্তানা গেঁড়েছে। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা এলাকায় পুরোপুরি নিয়োজিত নয়। ফলে তারা নেতৃত্ব দিচ্ছে। ব্যবস্থা না নিলে এসব আরও বাড়বে।’

এলাকার বেশির ভাগ কারখানার মালিক জানান, কোনো কোনো মামলায় কারা অপরাধী তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানে, কিন্তু গ্রেফতার করেনি। হতে পারে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সঠিক নির্দেশনা পাননি। কিন্তু এই প্রবণতা কর্মীদের মনোভাব পরিবর্তন করছে। ফলে শ্রমিকদের নৈরাজ্য থামছে না।

কারখানা মালিকদের অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, ‘আমরা এখানে কিছু মিস করছি। আমি আশা করি সরকার ব্যবস্থা নেবে যাতে অস্থিরতা দীর্ঘায়িত না হয়।’

1 dead, 6 shot: RMG workers, law enforcers clash in Ashulia

One RMG worker died during a clash between workers and law enforcers in Ashulia today (30 September), while six others were brought to nearby hospitals.

“Three people with gunshot wounds were brought to our hospital around 1pm, one of whom was already dead,” Yusuf Ali, duty manager at Enam Medical College Hospital in Savar, told The Business Standard.

More two were brought later on, both workers were part of Natural Indigo factory.  

“The deceased has been identified as Kawsar Hossain Khan, 27. He was dead on arrival. We have been informed that he worked at Mango Tex in Ashulia. 

“The other two individuals are currently receiving treatment at the hospital,” he added.

He said Kawsar had been shot in the stomach, while the other two — Noyon and Russel — were shot in the chest. 

He estimated the ages of the victims to be around 26. 

“The condition of the other two is critical,” he said. 

Earlier, two workers were brought to PMK Hospital in Ashulia with bullet wounds.

The victims are Habib, a worker of Natural Denims and Nazmul Hasan, a worker of Natural Indigo Factory.

PMK Hospital Manager (Administration) Md Nazim Uddin told The Business Standard, “We have four workers brought here with injuries. Two of them have been brought with bullet wounds. They have been shot in the leg.”

He, however, could not say what kind of bullets had been used. 

Eyewitnesses and locals said after 12pm workers of some garment factories blocked a road in the Jirabo area of ​​the industrial area.

At one point, when the members of the law and order forces tried to disperse the workers by chasing them, a clash broke out. 

Meanwhile, law enforcement personnel fired tear shells to control the situation.

At least 30 workers were injured in the clash and several workers were shot dead, the claimed said.

Workers have been protesting for weeks with demands to increase minimum wage, among others. 

A number of factories in Ashulia area have bene facing closures daily due to unrest. 

RMG BANGLADESH NEWS