fbpx
Home Blog Page 58

বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিতে এএএফএ’কে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের চিঠি

বাংলাদেশ প্রতিবেদক: বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি সমর্থন এবং শ্রম রক্ষার দাবিতে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) কাছে সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমর, জিম ম্যাকগভর্ন এবং জান শাকোস্কি। চিঠিতে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য রাউল গ্রিজালভা, বারবারা লি, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, ডেভিড ট্রোন এবং সুসান ওয়াইল্ড-ও স্বাক্ষর করেছেন। ইলহান ওমরের ওয়েবসাইটে এই চিঠির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে।

চিঠিতে এসব আইনপ্রণেতা লিখেছেন, আমরা আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিকে জোরালোভাবে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি । আপনারা জানেন, বাংলাদেশের মজুরি বোর্ড ঘোষিত সাম্প্রতিক মজুরি বৃদ্ধি জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে পারে না। এ বিষয়টি গণবিক্ষোভে পরিণত হয়। বিক্ষোভকারী এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সাথে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পুলিশ। এর ফলে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু, অসংখ্য আহত, অন্যায্য গ্রেপ্তার, আটক এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের মতো ঘটনা ঘটেছে । আমরা প্রতিশোধ, সহিংসতা বা ভয়ভীতি ছাড়াই সংগঠিত, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ এবং সম্মিলিতভাবে দর কষাকষির জন্য শ্রমিকদের অধিকারকে সম্মান করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের আহ্বানের সাথে একমত। পোশাক শ্রমিকদের জন্য একটি নতুন ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা ব্যাপক বিক্ষোভের সূচনা করেছে, যখন মজুরি বোর্ড মজুরি স্তরের অনেক নিচে বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। কারখানার মালিক ও পুলিশ বিক্ষোভের জবাব দিয়েছে ভয়ভীতি ও সহিংসতার মাধ্যমে।

মার্কিন ব্র্যান্ডগুলিকে অবশ্যই তাদের প্রভাব খাটাতে হবে এবং অবিলম্বে বাংলাদেশি শ্রমজীবী ​​পরিবারের জন্য আরও ভাল মজুরি এবং অধিকারের দাবি জানিয়ে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
এই চিঠিটি স্থানীয় শ্রমিক সংগঠন, আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন এবং মার্কিন সরকারকে ন্যূনতম মজুরির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে এবং সমিতির স্বাধীনতা সহ শ্রমিকদের অধিকারকে সম্মানের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। চিঠিটি অনুমোদন করেছে অ্যাকাডেমিক্স স্ট্যান্ড এগেইনস্ট পোভার্টি, এশিয়ান প্যাসিফিক আমেরিকান লেবার অ্যালায়েন্স (এএফএল-সিআইও অ্যাফিলিয়েট), ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়ন, ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ-গ্লোবাল ইকোনমি প্রজেক্ট, লেবার বিহাইন্ড দ্য লেবেল, অক্সফাম আমেরিকা এবং ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড (এসইআইইউ অ্যাফিলিয়েট)।

চিঠিতে একদিকে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘটিত সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে , বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং শ্রমিকদের প্রতি মাসে ২০৮ ডলারের ন্যূনতম চাহিদা মেনে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও পোশাক প্রস্তুতকারকদের চাপ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মার্কিন ব্র্যান্ড মজুরি বৃদ্ধি এবং একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়ার জন্য সমর্থন প্রকাশ করেছে , তবে শুধু প্রতিশ্রুতিই যথেষ্ট নয়। শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতার অধিকার সহ শ্রম ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য সদস্য কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে। এছাড়াও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের বন্ধ করার জন্য সরবরাহকারীদের সতর্ক করার কথা বলা হয়েছে। বরখাস্ত করা, কালো তালিকাভুক্ত বা শ্রমিক ও ইউনিয়ন নেতাদের অন্যান্য হয়রানি সরবরাহশৃঙ্খলকে প্রভাবিত করবে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে চিঠিতে। একইসঙ্গে মজুরি বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় শ্রমিক ও ইউনিয়ন নেতাদের গ্রেপ্তার বন্ধ করতে এবং আটক নির্দোষ ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানোর বিষয়ে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ল্যামারকে আনুরোধ করা হয়েছে। সম্প্রতিক কারখানা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শ্রমিকদের বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে পৃথক কারখানার মালিক এবং শিল্প সমিতির সাথে কথা বলার ওপর জোর দিয়েছেন প্রতিনিধিরা। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) সেক্টরে কারখানা আছে এমন ব্র্যান্ডের মনে রাখা উচিত যে ইপিজেডগুলির নিজস্ব ন্যূনতম মজুরি বোর্ড রয়েছে, যা সম্প্রতি গঠিত হয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টরের মতো সেখানে যাতে একই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে ব্র্যান্ডের সম্পৃক্ততা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ইপিজেড সেক্টরের কর্মীদের দারিদ্র্যমুক্তির জন্য সামনে আরো ভাল সুযোগ রয়েছে ।

চিঠির উপসংহারে বলা হয়েছে- আমরা বিশ্বাস করি যে বিদেশে আমাদের ক্রিয়াকলাপগুলি সর্বদা দেশে আমাদের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করবে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন তা- ভাল বেতনের চাকরি, নিরাপদ কাজের পরিবেশ এবং সংগঠিত হওয়ার অধিকারের জন্য একটি যৌথ বৈশ্বিক সংগ্রামের অংশ। যখন আমরা বিশ্বের একটি অংশে শ্রমিকদের অধিকার সমর্থন করি, তখন আমরা সর্বত্র সেই অধিকারগুলির জন্য লড়াইকে জোরদার করি। আমরা আশা করি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন এই গুরুত্বপূর্ণ সুযোগটি গ্রহণ করবে এবং মার্কিন কোম্পানিগুলি অভ্যন্তরীণ ও বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকারকে অগ্রাধিকার দেবে। একটি জাতি হিসাবে আমরা যে গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্যবোধকে সমর্থন করি তার নিরিখে আমরা আপনাকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শোষণ বন্ধ করতে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছি, যারা আপনার ব্যবসার বৃদ্ধি এবং মুনাফাকে ত্বরান্বিত করছে।

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ

পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) চারটি গ্রেডে মজুরি নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এর আগে, গত ১২ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরির খসড়া গেজেট প্রকাশ করেছিল সরকার। খসড়া গেজেটে পোশাক শ্রমিকদের পাঁচটি গ্রেডে মজুরি নির্ধারণ করা হলেও চূড়ান্ত গেজেটে চারটি গ্রেড করা হয়। একই সঙ্গে চূড়ান্ত গেজেটে গ্রেড-১ ও গ্রেড-২-এ মজুরি বেড়েছে।

গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেড-১ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৫ হাজার ৩৫ টাকা। গ্রেড-২ এ ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা, গ্রেড-৩ এ ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা এবং গ্রেড-৪ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। পোশাক শ্রমিকদের শিক্ষানবিশকাল হবে তিন মাস। শিক্ষানবিশ কাল সন্তোষজনকভাবে শেষ হওয়ার পর শিক্ষানবিশ শ্রমিক সংশ্লিষ্ট গ্রেডের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত হবেন। শিক্ষানবিশ শ্রমিক মাসিক সর্বসাকুল্যে ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা মজুরি পাবেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ হয়। পূর্বে মজুরি ছিল আট হাজার টাকা।

তৈরি পোশাক খাতের নিম্নতম মজুরির প্রজ্ঞাপন জারি

 তৈরি পোশাকশিল্প খাত

তৈরি পোশাকশিল্প খাতছবি: প্রথম আলো

দেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরির হার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মজুরি বোর্ড শাখা। ১৮ ডিসেম্বর এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনের ঘোষণা অনুযায়ী, গ্রেড-১-এর শ্রমিকদের মজুরি ১৫ হাজার ৩৫ টাকা; গ্রেড-২-এর শ্রমিকদের ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা; গ্রেড-৩-এর শ্রমিকদের ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা এবং গ্রেড-৪-এর শ্রমিকদের ১২ হাজার ৫০০ টাকা নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের শিক্ষানবিশকাল হবে তিন মাস। তবে শর্ত হলো, যদি কোনো কারণে প্রথম তিন মাস শিক্ষানবিশকালে শ্রমিকের কাজের মান নির্ণয় করা সম্ভব না হয়, তাহলে শ্রমিকের শিক্ষানবিশকাল আরও তিন মাস বৃদ্ধি করা যাবে।

শিক্ষানবিশকালে শিক্ষানবিশ শ্রমিক মাসিক সর্বসাকল্যে ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা মজুরি পাবেন। শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষানবিশ শ্রমিক সংশ্লিষ্ট গ্রেডের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত হবেন।

এ ছাড়া কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, গ্রেড-১-এর নিম্নতম মজুরি হবে ১৮ হাজার ৮০০ টাকা; গ্রেড-২-এর ১৫ হাজার ৯৫০ টাকা; গ্রেড-৩-এর ১৫ হাজার ২০০ টাকা; গ্রেড-৪-এর নিম্নতম মজুরি হবে ১২ হাজার ৮০০ টাকা।

শর্তাবলিতে আরও বলা হয়েছে, শ্রমিকেরা বর্তমানে যে গ্রেডে কর্মরত, তাঁদেরকে পূর্বতন গেজেটের গ্রেড-৩, গ্রেড-৪, গ্রেড-৫ ও গ্রেড-৭–এর স্থলে নতুন গেজেটে যথাক্রমে গ্রেড-১, গ্রেড-২, গ্রেড-৩ ও গ্রেড-৪ হিসেবে গণ্য করে এই মজুরি কাঠামোর সঙ্গে সমন্বয় করে মজুরি নির্ধারণ করতে হবে। সমন্বয় করার পরবর্তী এক বছর কর্মরত থাকার পর মূল মজুরির পাঁচ শতাংশ হারে বার্ষিক মজুরিবৃদ্ধি হবে। এ ছাড়া কোনো শ্রমিককে নিম্ন গ্রেডভুক্ত করা যাবে না বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। News Sources : prothomalo

উৎপাদন শেষে কর্মীরা যেখানে পান খেলারও সুযোগ

পাইওনিয়ার ডেনিম কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সুতা রং করে তৈরি হয় কাপড়ছবি: প্রথম আলো

সবুজে ঘেরা বড়সড় এক মাঠ। পড়ন্ত বিকেলে সেখানে ক্রিকেট খেলছেন একদল তরুণ। তবে এটি মফস্‌সল শহরের স্কুলের মাঠের কোনো দৃশ্য নয়। এ চিত্র ডেনিম কাপড় উৎপাদনের একটি কারখানার মাঠের। আর খেলোয়াড়েরা সেই কারখানার কর্মী।

বিশাল এই মাঠসহ বিশাল এলাকা নিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরের হরিতলা এলাকায় পাইওনিয়ার ডেনিম কারখানা গড়ে তুলেছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের সফল উদ্যোক্তা বাদশা মিয়া। দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পাশাপাশি পুরো কারখানাকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব কারখানা হিসেবে এরই মধ্যে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। বিভিন্ন মানদণ্ডে ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি পেয়েছে ৮৩ নম্বর।

২০১৮ সালে উৎপাদনে যাওয়া পরিবেশবান্ধব এই কারখানায় প্রতি মাসে ৭০ লাখ গজ ডেনিম কাপড় তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। আর এসব ডেনিম কাপড় বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ইনডিটেক্স, নেক্সট, এইচঅ্যান্ডএমসহ ৪৮টি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চলতি বছর ১২ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুরো কারখানা ঘুরে ও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৫০ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা এই কারখানায় কাজ করেন আড়াই হাজার কর্মী। প্রধান ফটক পেরিয়ে কারখানায় ঢুকতেই বিশাল খোলা জায়গা। তার এক পাশে সবজি ও ফলমূলের চাষ করা হয়েছে। তারপর একের পর এক কারখানা ভবন। কর্মীদের চলাচল ও পণ্য পরিবহনের জন্য কারখানা চত্বরজুড়ে ৮০ ফুট চওড়া সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের দুই পাশে সবুজ গাছ। সড়কে বসানো হয়েছে সৌরবিদ্যুতের বাতি। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে কারখানাটিতে ২০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

কারখানার সামনের এই মাঠে নিয়মিত েখলাধুলা করেন প্রতিষ্ঠানটির কম৴ীরাছবি : প্রথম আলো

প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. খাইরুল আলম জানান, কারখানার ছাদে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে। সেটি হলে সেখানে আরও ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। তিনি জানান, বর্তমানে গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটরে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কারখানার চাহিদা মেটানো হয়।

কারখানা ঘুরিয়ে দেখাতে প্রথমেই খাইরুল আলম নিয়ে যান বর্জ্য পরিশোধনাগার প্ল্যান্টে (ইটিপি)। ডেনিম কাপড় উৎপাদনে রাসায়নিকের ব্যবহার হয়, তাই পরিবেশ সুরক্ষায় সার্বক্ষণিক ইটিপির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পাইওনিয়ার ডেনিম কারখানার ইটিপিতে ছয় হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা রয়েছে। বায়োলজিক্যাল পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে এই বর্জ্য পরিশোধন করা হয়। পরিশোধনের পর ইটিপি থেকে নির্গত পানি দিয়ে নিজেদের পুকুরে মাছ চাষ করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। আর কঠিন বর্জ্য সিলেটে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়।

খাইরুল আলম জানান, বর্জ্য পরিশোধনে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এতে করে পরিশোধনের পর যে পানি পাওয়া যাবে, তা পুনরায় উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে।

কারখানাভেদে প্রতি কেজি ডেনিম কাপড় উৎপাদনে ৫০-৬৫ লিটার পানি ব্যবহৃত হয়। তবে পাইওনিয়ার ডেনিম কারখানায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রতি কেজি কাপড় উৎপাদনে পানি লাগে ৩৯ লিটার। আর সারা বছর কারখানাতে যে পানি লাগে, তার ২০ শতাংশ সংগ্রহ করা হয় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে। এ জন্য কারখানার এক পাশে আধুনিক ট্যাংকার স্থাপন করা হয়েছে।

ইটিপি ঘুরে দেখে আমরা চলে যায় কারখানার ভেতরে। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই কারখানায় নিজেদের স্পিনিং মিলে তৈরি সুতা ব্যবহার করা হয়। সেই সুতা প্রথমে মেশিনের মাধ্যমে স্টিলের বড় রোলে প্যাঁচানো হয়। সুতার সেই রোল বিশাল ডাইং মেশিনের মাধ্যমে রং করে তা দিয়ে কাপড় বোনা হয়। কাপড় বোনার পর ফিনিশিং করা হয়।

বিশাল এ কারখানা ঘুরে দেখতে দেখতেই বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। এর মধ্যে কারখানায় এসে হাজির হন উদ্যোক্তা বাদশা মিয়া। প্রায় ৫০ বছর আগে কিশোর বয়সে সুতার ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এরপর একে একে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাদশা টেক্সটাইল, কামাল ইয়ার্ন, পাইওনিয়ার নিটওয়্যার ও পাইওনিয়ার ডেনিম নামে চারটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এখন বাদশা গ্রুপের বার্ষিক লেনদেন ৭০ কোটি ডলারের বেশি, পুরোটাই সরাসরি বা প্রচ্ছন্ন রপ্তানি, অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা।

পাইওনিয়ার ডেনিম কারখানার ফটকের পাশে দাঁড়িয়ে বাদশা মিয়া বলেন, ডেনিম কারখানার পাশেই ২০০ বিঘা জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে পোশাক কারখানা নির্মাণ করছেন। ইতিমধ্যে ছোট একটা অংশ চালু হয়েছে। রপ্তানিও শুরু হয়েছে সেখানে উৎপাদিত পোশাক। এই কারখানায় ডেনিম পোশাক উৎপাদিত হবে। নতুন কারখানাটি পুরোদমে চালু হলে তাতে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া ডেনিম কারখানার অদূরেই সুতার কল বা স্পিনিং মিলও নির্মাণ করছেন। সেখানে প্রতিদিন ২০০ টন সুতা উৎপাদিত হবে। এই সুতা ডেনিম কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা হবে।

বাদশা মিয়া বললেন, ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ব্যবসার খরচ বাড়ছে। এই জায়গায় সরকারকে নজর দিতে হবে। সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন আমাদের জন্য সহজ হবে।’

More garment industries take the sustainable growth path

The ability to survive and grow — this is how DBL Group defines sustainability as a core principle.

Pioneering eco-conscious practices well ahead of many competitors, the conglomerate adopted solar energy for a reliable power supply and implemented initiatives for recycling and treating wastewater. 

Since 2013, DBL has consistently published sustainability reports, earning the trust of globally renowned buyers and development organisations such as Care International, the German Investment Corporation or DEG, the International Finance Corporation (IFC), the German Development Agency or GIZ, the International Labour Organisation (ILO), and Unicef.

While DBL blazed the trail, a shift towards sustainability is now evident among a dozen garment manufacturers who are emulating DBL’s commitment. 

These companies have initiated the publication of sustainability reports, with an additional 20 factories in the process of preparing similar documents.

This collective effort aligns with the upcoming European Union’s Corporate Sustainability Due Diligence Directive, scheduled to be in effect by 2025.

Industry insiders expect a higher number of factories participating, emphasising that non-compliance at any stage of the supply chain will result in penalties once the EU’s due diligence directive is fully implemented.

The garment exporters that are publishing sustainability reports include Cute Dress Industries, Pacific Jeans, TEAM Group, Viyellatex, Urmi Group, and Denim Expert Ltd. Masco Group is in the process of initiating this reporting.

“Our sustainability initiatives exemplify our commitment to creating a greener, more inclusive, and socially responsible world. I hope this sustainability report will inspire many, knowing that each step counts in preserving our planet for future generations,” said Abdullah Hil Rakib, managing director of TEAM Group.

Syed M Tanvir, managing director of Pacific Jeans, told TBS the report will provide a “comprehensive analysis of our business’s long-term progress and performance”– shedding light on its sustainability efforts. He emphasised that this approach aids in optimising the use of raw materials and various resources.

DBL’s Chief Sustainability Officer Mohammed Zahidullah told TBS, “Now several buyers want to know about the environmental, social and governance (ESG) practices in their supplier companies. These issues will be reflected in the sustainability report.”

He also mentioned that this report will give a preference to buyers while placing orders, as Western consumers are concerned about ESG practices.

Zahidullah said the EU’s upcoming due diligence rules may also focus on ESG practices and performance. Factories which have been publishing sustainability reports will get a preference to do business with EU countries.

He said in future, factories will not have to publish their company’s profile brochure as their sustainability report will replace that.

Sheikh H M Mustafiz, managing director of Cute Dress Industries Ltd, said, “We decided to publish the sustainability report on our own about five years ago. However, in the coming days, RMG factories have to publish it to make them traceable and transparent to assess their human rights and environmental footprint following the EU’s due diligence rules.”

“It will help to improve factory branding as well as strengthen our negotiation power,” he said.

Mustafiz also mentioned that they faced some challenges, including data digitisation, in the initial stage. However, now they are facing another challenge to improve wastage reduction in the line of their targets.

He further explained that wastage calculation depends on fabric thickness. Due to work order fluctuations, it remains challenging to reduce the consumption of water, electricity and carbon emissions year by year.

Echoing the same, DBL’s Zahidullah said, “We are trying to improve our sustainability gradually, which is reflected in our reports. However, sometimes it becomes difficult due to some external issues.”

“Due to low pressure in gas supply, apparel exporters have to run their diesel generators to meet shipping deadlines which increases carbon emission footprint,” he added.

ATM Mahbubul Alam Chowdhury Milton, executive director at Masco Group, said the group has established its own set of objectives aligned with the UN’s Sustainable Development Goals (SDGs). Concurrently, various global brands have also committed to reducing carbon emissions and adopting sustainable raw materials within their respective targets.

The group is actively engaged in several sustainability initiatives, including real-time data digitisation. Emphasising this commitment, Milton said, “We are dedicated to achieving traceability and fostering accountability while minimising waste, carbon emissions, and the use of hazardous chemicals.”

“Our sustainability report will comprehensively showcase the outcomes of all these initiatives, analysing the collected data. This proactive approach is akin to a self-audit, conducted preemptively before any inquiries from buyers or business partners,” he added.

BGMEA is also taking initiatives

As the leading association of apparel exporters, the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) has also been publishing its sustainability report since 2020.

“We have transformed and upgraded our industry to make it more resilient. Besides workplace safety, our RMG industry has been proactively contributing to sustainability. Many of our members already have sustainability reporting practices,” said BGMEA President Farque Hassan.

The BGMEA president said BGMEA also declared its “Sustainable Strategic Vision 2030” in line with SDG goals. The industry aims to reduce carbon emissions, energy and groundwater usage, and increase the use of sustainable raw materials, use of Zero Discharge of Hazardous Chemicals (ZDHC), and renewable energy.

Sheikh H M Mustafiz, who is also the chairman of the BGMEA Sustainability Standing Committee, said that the association will publish a biennial sustainability report starting next year based on data from their member factories. Earlier the report was published based solely on the association’s own data. 

Bangladesh is a hub of 206 green factories that received certification from the United States Green Building Council (USGBC) for their green initiatives, such as reduction in energy and water uses and carbon footprint.

Commitments reflected in the sustainability report

The report also underscores a commitment to implementing impactful environmental, social, and governance (ESG) initiatives, aligning with sustainable and responsible business practices and sustainable development goals (SDGs).

As a part of the concatenated activities, apparel exporters took this initiative to report their sustainability performances through the lens of the Global Reporting Initiative’s (GRI) sustainability reporting framework.

Globally, the GRI reporting structure is validated and acclaimed by all stakeholders and adopted by major businesses.

Recently, some exporters also followed the Sustainability Accounting Standards Board (SASB) standards while producing their reports.

SASB Standards enable organisations to provide industry-based disclosures about sustainability-related risks and opportunities that could reasonably be expected to affect the entity’s cash flows, access to finance or cost of capital over the short, medium or long term.

What is the EU’s Due Diligent Directive?

The proposed Corporate Sustainability Due Diligence Directive is a significant piece of EU legislation, mandating both EU and non-EU companies operating in the 27-nation bloc to conduct environmental and human rights due diligence throughout their operations, subsidiaries, and value chains. 

Germany has already implemented a similar due diligence law since the beginning of this year.

The EU Due Diligence Act will affect larger EU and non-EU companies. Estimates show that the directive may be applied to 13,000 EU businesses and 4,000 non-EU businesses. Small and medium-sized businesses are technically exempted but will likely see some impact when doing business with larger firms.

Decreasing orders: 800 RMG workers fear for livelihood as N’ganj factory announces layoff

They alleged that the factory was not paying their salaries regularly for the last few months

Workers of Crony Tex Sweater Ltd protest against a layoff announcement by the factory on 25 December 2023. Photo: TBS

Crony Tex Sweater Ltd, a readymade garment (RMG) factory in Narayanganj’s Fatulla, has announced a mass layoff of its sweater section till 7 February citing a decrease in purchase orders, resulting in panic among its 800 workers.

“As there are no orders in the factory and until new work orders are received, according to Section-12 of the Bangladesh Labour Act 2006, the sweater division of Crony Tex Sweater Ltd has been declared lay-off until 7 February. All workers will be compensated as per labour laws,” said a notice issued by the Crony Group today (25 December).

“At present, the whole world, including Bangladesh, is going through an economic crisis. The company’s buyers reduced their orders. As a result, it has become impossible to run the activities of the sweater department,” it also said.

Following the announcement, a group of the laid off workers staged a protest on the Dhaka-Munshiganj road on Monday.

They alleged that the factory was not paying their salaries regularly for the last few months.

“The factory owner did not pay dues on time for several months. They just promised that they will pay this week or next week. Last Thursday, we were told that they would pay the salary, but they did not. They finally paid us after we protested on Sunday. When I joined the office this morning, we heard that they laid us off. Where do we go now? How will we survive?,” Malek Mia, a worker of the factory, told The Business Standard on the day.

Meanwhile, United Federation of Garment Workers’ district unit President Shahadat Hossain Sentu said, “The workers are demanding to withdraw this lay off and allow them to return to work. We have spoken to the police administration and the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association. They said they will solve this problem within three days.”

Aslam Sani, managing director of Crony Group, could not be reached over phone for a comment on the matter.

BGMEA to host career summit for university graduates

The Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) is set to host its first two-day Career Summit and Fest 2023, an initiative aimed at opening doors to university graduates in the readymade garment industry.

Scheduled to take place at the BGMEA Complex in Uttara, Dhaka, on 23-24 December, the event seeks to create a connection between university graduates and key players in the garment sector, offering students valuable insights to enhance their skills and pave the way for successful careers.

BGMEA President Faruque Hassan, during a press conference held on Tuesday, announced the commencement of the Career Summit and Fest at 11:00am on 23 December.

Notably, more than 40 renowned recruiting organisations and several universities are expected to participate actively, providing a wide range of opportunities for job-seeking graduates.

“All students from government and private universities, textile colleges, and specialised educational institutions, along with recent graduates aspiring to work in the garment industry, are invited to drop their CVs and participate in on-the-spot interviews,” said Faruque Hassan.

Anticipating the global presence of representatives from various renowned brands during the summit, Faruque Hassan expressed confidence that students will benefit from their insights and experiences in the Bangladesh garment industry

To make such opportunities more accessible, Faruque Hassan revealed the BGMEA’s plan to organise similar events monthly at different centres starting from the new year.

The Career Summit and Fest promise to be a valuable learning experience for students, offering them insights into the diverse job opportunities within the garment industry. Faruque Hassan addressed the common challenge faced by graduates in securing suitable positions due to a lack of industry understanding, emphasising the importance of aligning their preparation with the dynamic job market.

Furthermore, Faruque Hassan stressed the need for universities in Bangladesh to adapt their curricula to meet industry demands.

“There is a gap between the skills of those coming out of our educational institutions and the industry’s demands. Industry-academia linkages are crucial for our growth as we move towards high-value products,” the BGMEA president said.

He highlighted the importance of changing traditional education methods, advocating for a more intensive integration of practical education connected with the industry, echoing the objectives of the BGMEA Career Summit and Fest.

Decline in RMG exports to US, top EU destinations

Export of readymade garment (RMG) from Bangladesh witnessed negative growth to its single largest (US), second single largest (Germany), and overall largest (EU) destinations in the first five months of the current FY24.

Exports to other major destinations also saw either narrow or negative growths in the same period.

According to the Export Promotion Bureau’s (EPB) country-wise detailed apparel export data compiled by the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), Bangladesh exported apparel items worth $18.83 billion in July-November of FY24, a very narrow 2.75% increase from $18.33 billion in the same period of FY23.

During this period, Bangladesh exported RMG items worth $3.27 billion to the United States, the largest single export destination for Bangladesh, fetching a negative Y-o-Y growth of 5.76%, compared to $3.47 billion of the same period in FY23.

Although exports to the US returned to a positive trajectory in September after consecutive months of negative growth, exports have started declining again since October.

Moreover, exports to Germany, the second largest destination for RMG manufacturers, continued to experience a negative trend as the country was fighting against recession-like economic turbulence and inflation.

Bangladesh shipped apparel worth $2.30 billion to Germany, reflecting a decline of 15.10% from the $2.71 billion recorded in July-November of FY23.

In the July-October period of FY24, with a moderate YoY growth of 14.61%, Bangladesh exported apparel goods worth $2.25 billion to the UK, the third highest destination for the country’s RMG products, up from last year’s $1.96 billion, EPB data stated. 

Other destinations

During the July-November period of FY24, the apparel export to the overall EU market witnessed a very narrow negative growth of 0.18% to $9.05 billion, down from $9.07 billion in the same period of last fiscal. 

Apparel export to some major destinations such as Spain, France, Netherlands, and Poland registered positive growth by 10.15% to $1.53 billion, by 2.88% to $1.17 billion, by 8.06% to $799.92 million, and by 20.06% to $674.71 million respectively.

However, exports to Italy declined by 1.60% to $813.15 million in the mentioned period. 

During July-November, of FY2023-24, exports to Canada also fell by 2.71% to $606.63 million, EPB data stated.

In the context of Bangladesh’s key export destinations, Japan, Australia, Russia, India, China, South Korea, UAE, Malaysia, Brazil, Mexico and some other countries are known as non-traditional markets.

The apparel export to the non-traditional markets reached $3.64 billion with 14.12% year-over-year growth, from $3.19 billion in the last FY.

Among the major destinations of the non-traditional markets, exports to Japan reached $682.68 million, with a Y-o-Y growth of 14.19% from $597.83 million in the last fiscal year.

Although India emerged as a potential non-traditional market, export earnings from India witnessed a downward trend since the first month of FY24. 

From India, Bangladesh bagged $393.38 million in the July-November period of FY24, registering a negative growth of 17.09% from $474.45 million in the last fiscal. 

Among the major destinations of the non-traditional markets, exports to Australia and South Korea increased by 35.69% to $515.68 million and by 26.93% to $252.03 million respectively, said the EPB data.

Talking to Dhaka Tribune, Mohiuddin Rubel, director of BGMEA, said that exports to non-traditional markets, especially Australia and Japan, were growing and providing support given the current situation. 

However, negative growth in Germany as well as the overall Europe and the USA is a concern for them.

Traditional markets are unable to make a comeback from the global economic turmoil, which impacted export, he observed.

Manufacturers are focusing on new markets and producing diversified products which help them to maintain consistency despite the current global situation.

He also said that the exports to India decreased, which is another concern for them.

“We have to work to increase the orders. Still, there is stagnation in the market with low demand.  If the global situation changes, then the market will turn around, and we will be better than everyone because we are ahead in all aspects of safety, infrastructure and buyers have confidence in us,” Rubel added.

BGMEA president for harnessing power of tech to propel industry’s growth

Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) President Faruque Hassan said students have to equip themselves with the knowledge and skills necessary to thrive in the evolving landscape of the fashion world.

In his speech at a seminar today, Faruque Hassan highlighted the profound impact of technological advancements, particularly in Artificial Intelligence, on reshaping the fashion industry.

He was speaking at a seminar titled “Opportunities and Prospects in SEIP and Probable Career Build-up in the RMG Sector,” jointly organised by the Skills for Employment Investment Programme (SEIP) and the BGMEA at the BGMEA Complex in Uttara.

The BGMEA president noted that from design to production, technology is driving efficiency, sustainability, and creativity in unprecedented ways.

Recognising the significance of embracing these advancements, Faruque Hassan said the present generation needs to harness the power of technology to propel Bangladesh’s RMG industry to new heights.

The seminar, held on the sidelines of the BGMEA Career Summit and Fest 2023, featured insights from distinguished guests including Fatema Rahim Veena, additional secretary, and executive project director, Skills for Employment Investment Programme; Khandoker Rafiqul Islam, vice president (Finance), BGMEA; and Md Sanwar Jahan Bhuiyan, joint secretary, and deputy executive director, Skills for Employment Investment Programme.

Trainees of the BGMEA-SEIP project were present at the seminar, where guests shared their perspectives on the RMG industry’s prospects and the importance of skills development in the face of evolving technological advancements.

The participants also took part in the BGMEA Career Summit and Fest to explore job opportunities offered by 132 leading RMG companies participating in the summit.

In his address, Faruque Hassan highlighted the continuous process of skilling, reskilling, and upskilling to align with the changing dynamics of garment manufacturing and the global market.

He underscored the role of the Skills for Employment Investment Programme in meeting the industry’s demand for a skilled workforce by upgrading skill levels for enhanced productivity and efficiency.

Implemented by BGMEA in the RMG sector, the BGMEA-SEIP project focuses on re-skilling and up-skilling workers and mid-level management in garment factories.

The initiative is funded by the Asian Development Bank and implemented by the Finance Division of the government of Bangladesh.

8 Congress members urge US apparel assoc to back Bangladesh RMG workers’ wage demand

The letter delved into the aftermath of Bangladesh’s wage board’s recent wage hike announcement, critiquing the increase as insufficient to meet the surging cost of living. 

A group of eight US Congress members penned a letter to the American Apparel and Footwear Association (AAFA) urging support for fairer wages and the safeguarding of labour rights for Bangladeshi workers.

The signatories, comprising Rep Ilhan Omar (D-MN), Rep Jim McGovern (D-MA), Rep Jan Schakowsky (D-IL), Reps Raúl Grijalva, Barbara Lee, Alexandria Ocasio-Cortez, David Trone, and Susan Wild, collectively emphasised the need for AAFA’s robust backing for fair compensation among Bangladesh’s RMG workforce.

“We are writing to urge the American Apparel & Footwear Association to strongly support the demands of Bangladesh’s garment workers for fairer wages,” the lawmakers wrote.

The letter delved into the aftermath of Bangladesh’s wage board’s recent wage hike announcement, critiquing the increase as insufficient to meet the surging cost of living. 

“As you know, the recent wage increases announced by Bangladesh’s wage board, which would not even meet the rising cost of living, have led to extended mass protests. Police have responded with violence against protesters and trade union leaders, resulting in at least four deaths, numerous injuries, and a wave of unjust arrests, detentions, and indefinite factory shutdowns,” the letter reads. 

Aligning with the Biden administration’s stance, the letter advocated for Bangladesh’s government to respect workers’ rights to peaceful assembly and collective bargaining without intimidation or violence.

“We agree with the Biden administration’s call for the government of Bangladesh to respect and protect workers’ rights to organise, protest peacefully, and collectively bargain without fear of retaliation, violence, or intimidation,” it added.

Highlighting the mounting unrest due to wage negotiations falling far short of sustaining livelihoods, the letter underscored the imperative for US brands to exercise their influence and stand alongside workers in demanding better wages and rights for Bangladeshi families.

“Brands with factories in the Export Processing Zones (EPZ) sector should note that EPZs have their own Minimum Wage Board, which has just recently been constituted. Brand engagement can play a critical role in ensuring that the EPZ wage-setting process does not follow the same disastrous and unfair path as in the garment sector outside the zones. There is still a chance for a better outcome that will not trap EPZ workers in poverty for another five years,” said the letter.

It further echoed the sentiments of local worker organisations, international trade unions, and the US government, emphasising the necessity to reassess the minimum wage decision while upholding workers’ fundamental rights, particularly the freedom of association.

The letter is endorsed by Academics Stand Against Poverty, Asian Pacific American Labor Alliance (AFL-CIO Affiliate), IndustriALL Global Union, Institute for Policy Studies – Global Economy Project, Labour Behind the Label, Oxfam America, and Workers United (SEIU Affiliate).

RMG BANGLADESH NEWS