Home Bangla Recent রানা প্লাজার ন্যায় মাল্টিফ্যাবসের শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের পক্ষে অ্যাকর্ড

রানা প্লাজার ন্যায় মাল্টিফ্যাবসের শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের পক্ষে অ্যাকর্ড

রানা প্লাজার শ্রমিকদের সমান মাল্টিফ্যাবসের বয়লার বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড। এ জন্য কারখানা মালিক ও কারখানার ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। অ্যাকর্ডের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, অ্যাকর্ডের পরিদর্শনের তালিকায় এতদিন বয়লারের নিরাপত্তা বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত না থাকলেও আগামী তা অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে মাল্টিফ্যাবসের বয়লার মূল ভবন থেকে আলাদা করার জন্য অ্যাকর্ড শর্ত দিয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী বয়লার আলাদা করা হয়েছিল বলেও জানায় অ্যাকর্ড।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরো অন্তত এক হাজার শ্রমিক। ওই দুর্ঘটনার পর সেখানে অবস্থিত কারখানার ক্রেতাদের ক্ষতিপূরণের জন্য আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া আইএলও’র মানদণ্ড অনুযায়ী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তা ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটি শ্রমিকদের প্রাপ্ত বেতন ও ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আয়ের ক্ষতি (লস অব আর্নিংস) ও দুর্দশার আলোকে অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের একটি হিসাব তৈরি করে। ফলে প্রত্যেক নিহতের জন্য গড়ে ১০ লাখ টাকা এবং আহতদের ক্ষেত্রে তা গড়ে তিন লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বেতনের তারতম্যের কারনে কিংবা আহতদের ক্ষতির মাত্রা অনুযায়ী এ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বেড়েছে। কেউ কেউ ২০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৮ লাখ টাকাও পেয়েছে। ওই অর্থ কয়েক কিস্তিতে ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে।

গাজীপুরে অবস্থিত কারখানাটি ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করত। কারখানাটি অ্যাকর্ডের পরিদর্শনের আওতায় ছিল। কারখানা মালিক মহিউদ্দিন ফারুকী ইত্তেফাকের কাছে দাবি করেছেন, অ্যাকর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী (ক্যাপ) তারা প্রায় শতভাগ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছেন। অবশ্য অ্যকর্ডের বিবৃতিতে এ ইস্যুতে কোন কথা বলা হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার অ্যাকর্ডের প্রকৌশলীদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই দুর্ঘটনার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি, কী ধরণের সংস্কার করতে হবে এবং অন্যান্য বিষয়ে তাদের মূল্যায়ন জানানো হবে।  বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কারখানাটির অগ্নি, ভবনের কাঠামো ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষায় বয়লারকে আলাদা স্থানে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয় এবং তা কার্যকর করা হয়।

অ্যালায়েন্সের বিবৃতি

এক বিবৃতি বাংলাদেশে কারখানার নিরাপত্তায় কাজ করা আমেরিকাভিত্তিক ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, সব কারখানার শ্রমিকের নিরাপত্তার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার বিষয়টি জোরালো করেছে। সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here