Home বাংলা নিউজ দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে বসুন্ধরা গ্রুপ: বেজা

দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে বসুন্ধরা গ্রুপ: বেজা

দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে বসুন্ধরা গ্রুপ: বেজা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করতে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এর উন্নয়নে ব্যয় হবে ৬ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। ঢাকার পাশে কেরানীগঞ্জ, হাজারীবাগ ও পানগাঁও এলাকায় এ দুটি অঞ্চল স্থাপন করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স দেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। বেজা এ পর্যন্ত ৮টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স দিয়েছে।

বেজার কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির জন্য রাজধানীর অদূরে অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন করবে বসুন্ধরা গ্রুপ। কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের হাজারীবাগ, পানগাঁও ও আইন্ডা এলাকার ২১৮ একর জমিতে ইস্ট-ওয়েস্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করবে বসুন্ধরা গ্রুপ। এ অঞ্চল উন্নয়নে প্রায় তিন হাজার ৬২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোন নামে অপর অঞ্চল উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হবে প্রায় দুই হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। দক্ষিণ হাজারীবাগ, কোন্ডা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ২২৩ একর জমিতে এ অঞ্চল স্থাপন করা হবে। দুটি অঞ্চলেরই উন্নয়নকাজ পাঁচ বছরে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে। বসুন্ধরা ও ইস্ট-ওয়েস্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে তেল রিফাইনারি, এলপিজি সিলিন্ডার প্ল্যান্ট, প্যাকেজিং, টাইলস, সিরামিক, ওষুধ, ফার্মাসিউটিক্যালস অ্যাক্সেসরিজ, কেমিক্যাল, চামড়া, জাহাজ নির্মাণ, স্টিল, পেপার, অটো ব্রিকস, পাওয়ার প্ল্যান্ট, আইটি, প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল, টেলিফোন সংযোজন শিল্পসহ অন্যান্য খাতের বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগ হবে। এ অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ইতিমধ্যে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সমকালকে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব জমিতে দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার আশপাশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা জমি খুঁজছেন। তাদের সুবিধা বিবেচনায় বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে ঢাকার পাশে কেরানীগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে কাজের উন্নয়ন হলে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হবে। বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রধান পরিচালনকারী কর্মকর্তা মো. ফখরুদ্দিন সমকালকে বলেন, প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স পাওয়ার পর উন্নয়নকাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে ডেভেলপার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ভূমি ও সড়ক উন্নয়নকাজ করবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সব ধরনের সুযোগ এ অঞ্চলে থাকবে। পরিবেশ সম্মতভাবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে উন্নয়ন করা হবে।