Home বাংলা নিউজ সব পোশাক কারখানা বেতন-ভাতা দেয়নি

সব পোশাক কারখানা বেতন-ভাতা দেয়নি

rmg wroker

ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে কাল মঙ্গলবার। তবে অধিকাংশ পোশাক কারখানা এখনো শ্রমিকের জুন মাসের বেতন দেয়নি। তা ছাড়া উৎসব ভাতা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা গত ২৬ জুন শেষ হলেও এখন পর্যন্ত ১৫ শতাংশ কারখানা ভাতা দেয়নি।

পোশাকশিল্প খাতের শ্রমিকনেতারা বলছেন, অধিকাংশ কারখানা জুন মাসের বেতন পরিশোধ করেনি। ছোট-মাঝারি ও ঠিকা কাজ করা কারখানাগুলো শেষ পর্যন্ত বেতন-ভাতা দিতে পারবে কি না, সেটি নিশ্চিত নয়। ফলে সব পোশাকশ্রমিকের জন্য ঈদ আনন্দের হবে কি না, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতাদের দাবি, অধিকাংশ কারখানার মালিক আজ সোমবার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবেন। তাই কোনো ঝামেলার আশঙ্কা নেই।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে ৪ হাজার ৮০৯ পোশাক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুর, আশুলিয়া-সাভার, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের ৩ হাজার ২১০ কারখানা বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়মিতভাবে নজরদারি করছে শিল্প পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৮৫২টি কারখানার মধ্যে মাত্র ১৪০ কারখানা জুন মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। তার মানে চট্টগ্রামের ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ কারখানার শ্রমিক বেতন পেয়েছেন। গাজীপুরে ৯৫৫টি কারখানার মধ্যে মাত্র ৩৫ কারখানা বেতন দিয়েছে। অর্থাৎ মাত্র ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ কারখানা শনিবার পর্যন্ত শ্রমিকদের জুন মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। এ ছাড়া শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৫১২ ও গাজীপুরের ৯৪০ কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উৎসব ভাতা দিয়েছে।

জানতে চাইলে শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজি) আবদুস সালাম গতকাল রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজকে (গতকাল) পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ কারখানা জুন মাসের বেতন দিয়েছে। বাকিরা কাল-পরশু (আজ ও কাল) দিয়ে দেবে।’ তিনি জানান, প্রায় ৮৫ শতাংশ কারখানা উৎসব ভাতা পরিশোধ করেছে।

নারায়ণগঞ্জে ছোট-মাঝারি কারখানাগুলো বেতন পরিশোধ করেনি বলে অভিযোগ করেন জেলার ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০ রমজানের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে মালিকদের আহ্বান জানিয়েছিল শ্রমিক সংগঠন। সরকারও একই অনুরোধ করেছিল। তবে মালিকেরা তা মানেননি।

জানতে চাইলে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বড় কারখানাগুলো কম-বেশি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিচ্ছে। তবে ঠিকা কাজ করা কারখানাগুলো সময়মতো বেতন-ভাতা দিতে পারবে কি না, এ নিয়ে দুশ্চিন্তা। এ ধরনের কারখানার সংখ্যা হাজার খানেক হবে।’

যোগাযোগ করা হলে বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ঈদের আগে যেসব কারখানার শিপমেন্ট (রপ্তানিযোগ্য পণ্য জাহাজীকরণ) নেই, তারা শ্রমিকের বেতন দিয়ে ছুটি দিয়ে দিয়েছে। যাদের শিপমেন্ট আছে তাদের অধিকাংশই কাল (আজ) বেতন দেবে। মঙ্গলবারও কোনো কোনো কারখানা শ্রমিকের বেতন-ভাতা দিতে পারে।