Home বাংলা নিউজ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ শতাংশ

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ শতাংশ

rmg

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১ থেকে পৌনে ২ শতাংশের ঘরে আটকে গেছে। গত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চার মাস ধরে এই অবস্থা চলছে। তবে বিভিন্ন দেশ থেকে গত বছরের তুলনায় এবার তৈরি পোশাক আমদানি করা কমিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি বছরের প্রথম সাত মাস অর্থাৎ জানুয়ারি-জুলাই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৩২৩ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি হওয়া ৩১৯ কোটি ডলারের পোশাকের চেয়ে মাত্র ১ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) গত শুক্রবার বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, গত জানুয়ারি-জুলাই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১১৩ কোটি ৯২ লাখ বর্গমিটার সমপরিমাণ কাপড়ের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২ হাজার ৬৬০ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২০ শতাংশ বা ৫৪০ কোটি ডলারের পোশাক। এই আয় ২০১৪ সালের ৪৮৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির চেয়ে ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান গত রোববার রাতে বলেন, প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি না হলে সেটা আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচনের বছর পোশাকের বাজার একটু মন্দা থাকে। সে জন্য সেখানকার ব্যবসায়ীরা পোশাকের ক্রয়াদেশ কম দেন। চার বছর আগেও আমরা এমন চিত্র দেখেছি। ইউরোপের মতো আমেরিকার বাজারেও পোশাকের দাম কমেছে। সে জন্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কম।

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, গত জুলাইয়ে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর বিদেশি ক্রেতারা একটু ভয় পেয়েছিলেন। তবে সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ায় তাঁদের আস্থা ফিরেছে। ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী মৌসুমের জন্য পোশাকের ক্রয়াদেশ দেওয়া শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে চীন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে এই বাজারে চীন ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ শতাংশ কম। অন্যদিকে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ৬১৩ কোটি ডলারের পোশাক। তাদের প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া ও ভারত। বছরের প্রথম সাত মাসে ইন্দোনেশিয়া ২৮৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তাদের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ভারত রপ্তানি করেছে ২৩২ কোটি ডলারের পোশাক। তাদের প্রবৃদ্ধিও ঋণাত্মক।