Home বাংলা নিউজ পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশকে বন্দর ব্যবহার করার আহ্বান স্লোভেনিয়ার: বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্লোভেনিয়ার উপমন্ত্রীর...

পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশকে বন্দর ব্যবহার করার আহ্বান স্লোভেনিয়ার: বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্লোভেনিয়ার উপমন্ত্রীর বৈঠক

ইউরোপীয় ইউনিয়নে পণ্য রফতানির কাজে স্লোভেনিয়ার বন্দর ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ। এ আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির উপমন্ত্রী তানজা স্ট্রুনিসা। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। তার মতে, এতে বাংলাদেশের লাভ হবে। গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন ঢাকা সফররত স্লোভেনিয়ার কৃষি, বন ও খাদ্য-বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি (ডেপুটি মিনিস্টার) তানজা স্ট্রুনিসা। এ সময় মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব মুনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

স্লোভেনিয়ার ডেপুটি মিনিস্টার বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতে খুবই ভালো করছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে স্লোভেনিয়ায়। স্লোভেনিয়া বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আরো আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ স্লোভেনিয়ার বন্দর ব্যবহার করলে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করে ডেপুটি মিনিস্টার বলেন, প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করা হবে। এতে উভয় দেশ লাভবান হবে।

মত বিনিময়কালে  বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্লোভেনিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ সেখানে রফতানি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। স্লোভেনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। এ মুহূর্তে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য খুুব বেশি না হলেও তা বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে স্লোভেনিয়ার দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তৈরি পোশাক উত্পাদন করে দেশটিতে রফতানি করছে। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা হবে। এজন্য উভয় দেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল সফর করবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, স্লোভেনিয়ায় উন্নত মানের বন্দর রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে স্লোভেনিয়ায় বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।  তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের রফতানি সবচেয়ে বেশি। তবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশ স্লোভেনিয়ায় ৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৩ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ১ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্যিক দিক থেকে বাংলাদেশ ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। তবে এ রফতানি আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব। বাংলাদেশ রফতানি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।