Home বাংলা নিউজ ট্যানারির পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ বহাল

ট্যানারির পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ বহাল

রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারি কারখানাগুলো অবিলম্বে বন্ধ এবং বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ট্যানারি মালিকদের করা আবেদন রোববার খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেয়।

আপিল বিভাগে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস। আর হাইকোর্টে আবেদনকারী পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার পক্ষে ছিলেন সংগঠনের প্রধান নির্বাহী আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যারার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে এ আবেদন করেন।

গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট হাজারীবাগের সব ট্যানারি কারখানা বন্ধ এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন।

চামড়া শিল্পের পরিবেশ দূষণের কারণে বেলার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের জুনে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি কারখানাগুলো সাভারে নির্ধারিত স্থানে সরানোর আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

এর জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়। তবে ২০১০ সালের অক্টোবরে আরেক আদেশে ২০১১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে ট্যানারি কারখানা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এক নোটিশে বলেন, ২০১৭ সালের ৩১ মার্চের পর থেকে হাজারীবাগে কোনো কাঁচা চামড়া ঢুকবে না এবং কোনো ট্যানারি চালুও থাকবে না।

চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বেলা হাইকোর্টে এক পিটিশনে বলে, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া ট্যানারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কারখানা সরানোর সময় বর্ধিত করার এখতিয়ার রাখেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রোববারের আদেশ।

হাজারীবাগ থেকে ১৫৪টি ট্যানারিকে সাভারের পরিকল্পিত চামড়াশিল্প নগরে সরিয়ে নিতে ২০০৩ সালে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। তবে নানা কারণে ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ট্যানারি সাভারে নেয়া শেষ করা যায়নি। গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্যানারিগুলোকে সাভারে যাওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।