Home বাংলা নিউজ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ শতাংশ কম রপ্তানি

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ শতাংশ কম রপ্তানি

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রপ্তানি আয় বাড়ছে না। বরং লক্ষ্যমাত্রা এবং রপ্তানি আয়ের মধ্যে ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে। গেল ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ২৭৩ কোটি ডলার। এ মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০১ কোটি ডলার। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ মাসে সাড়ে নয় শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে। আর অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ২৮৩ কোটি ডলার। এ সময়ে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪০৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র দেখা গেছে।

রপ্তানি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকেই বড় করে দেখছেন রপ্তানিকারকরা। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রানাপ্লাজা ধসের পর সংস্কার প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় দেড় হাজার পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। রপ্তানি আয়ে এসব কারখানার অবদান না থাকায় মোট আয় কমে গেছে। এছাড়া পোশাক রপ্তানিতে আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারত। এর প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে। রপ্তানিকারকরা বলছেন, গত এক বছরে বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমেছে প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ। তাছাড়া আমদানিকারক দেশের স্থানীয় মুদ্রা দর হারিয়েছে ডলারের বিপরীতে। এ পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতে চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম নিজেদের মুদ্রার দর কমিয়েছে। নুতন নতুন প্রণোদনা দিচ্ছে। অথচ ডলারের বিপরীতে টাকার বর্ধিত দর আগের মতোই আছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছে রপ্তানি খাত।

ইপিবি’র তথ্যে দেখা গেছে, অর্থবছরের প্রথম আট মাসে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ কম হয়েছে। এ খাতে আয় এসেছে এক হাজার ৮৬৪ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ আয় ৫১ কোটি ডলার বেশি। তবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১১১ কোটি ডলার কম। এ খাতের ওভেনের (শার্ট, প্যান্ট) অবস্থা বেশি খারাপ। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এ খাতে আয় কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। তবে আগের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ। তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে পোশাকের নিট খাত (গেঞ্জি জাতীয়)। লক্ষ্যমাত্রা থেকে দেড় শতাংশ আয় কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৫ শতাংশ। পোশাকের বাইরে চিংড়িসহ সব ধরনের হিমায়িত মাছের রপ্তানি কমেছে ৪ শতাংশের মতো। টেরিটাওয়েলের রপ্তানি কমেছে ১৫ শতাংশ। তবে রপ্তানি বেড়েছে পাট পণ্যের। এ খাতের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর চামড়া ও চামড়াপণ্যের ১০ শতাংশ এবং ওষুধের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০ শতাংশ।