Home বাংলা নিউজ গার্মেন্টস শিল্পে পাঁচ বছরের নীতি সহায়তা দাবি বিজিএমইএ’র

গার্মেন্টস শিল্পে পাঁচ বছরের নীতি সহায়তা দাবি বিজিএমইএ’র

গার্মেন্টস খাতের উন্নয়নে বাজেটে প্রতিবছর নীতি সহায়তা (পলিসি) না দিয়ে একবারে পাঁচ বছরের জন্য নীতি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। একই সঙ্গে তিনি রফতানি খাত হিসেবে অন্তত আগামী দুই বছরের জন্য উৎস কর বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।  গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচায় পোশাক শিল্পের বিজিএমইএ ও বিকেএমইএসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এসব দাবি করেন। আলোচনা সভায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে মোট ১২টি বিষয়ের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গার্মেন্টস শিল্প বর্তমানে ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। গত ১০ বছরে এই সেক্টরে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশ। সেখানে আমাদের দেশে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ শতাংশের নীচে। নানা প্রতিবন্ধকতায় ইতোমধ্যে ১ হাজার ২শ’ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাসের সঙ্কটসহ নানা সমস্যার কারণে বর্তমানে নতুন কোনো ইন্ডাস্ট্রি করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। তিনি বলেন, পাঁচ বছরের জন্য এ সেক্টরে আমাদের পলিসি ঠিক করা দরকার। কারণ প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে কর্মপরিকল্পনায় সমস্যা তৈরি হয়। ফলে এ খাত পিছিয়ে পড়ছে। এজন্য অন্তত পাঁচ বছরের জন্য পলিসি নির্ধারণ করা দরকার। উৎস কর তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমানে গার্মেন্টস সেক্টরে ০.৭০ শতাংশ উৎস কর বিদ্যমান রয়েছে। যদিও আমাদের দাবি ০.৫০ শতাংশ। তবে রফতানি খাত হিসেবে অন্তত আগামী দুই বছরের জন্য উৎস কর বন্ধ রাখা উচিত। কারণ এই সেক্টর দেশের বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। এ সুবিধা পেলে এই সেক্টর এগিয়ে যাবে। তাই উৎস কর অবশ্যই থাকা উচিত নয়। রফতানি খাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রফতানি খাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি থাকবে। এছাড়া যাদের পণ্য নিয়ে সমস্যা কেবল তার বিষয়টি ভিন্নভাবে তদারকি করা উচিত। কিন্তু সব ব্যবসায়ীকে হয়রানি করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়রানি করলে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। ব্যবসায়ীদের ছাড়া দেশ আগাবে না। আমরা সত্ মানুষের সঙ্গে আছি, অসত্ মানুষের সঙ্গে নেই। আমাদের সত্ভাবে কাজ করতে দিন।  সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে এমন কিছু বিষয় আছে যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়, তেমন বিষয়গুলো ভেবেচিন্তে এটা কার্যকর করা উচিত হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর কারখানার অডিট করা হয়। এতে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হন। তাই হয়রানি বন্ধ করতে প্রতিবছর অডিট বন্ধ করা উচিত। তবে অসৎ ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলেও জানান তিনি। করপোরেট কর বিষয়ে প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য করপোরেট কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা। সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআর সৎ ব্যবসায়ীদের সব ধরনের প্রণোদনা দিতে বদ্ধপরিকর। আমরা সব সময় সৎ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আছি।