Home Bangla Recent ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি’র প্রস্তাব দিতে হবে

৭ জুলাইয়ের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি’র প্রস্তাব দিতে হবে

গার্মেন্টস শিল্পে নিযুক্ত সকল শ্রমিকের পদ ও শ্রেণীবিন্যাস এবং ন্যূনতম মজুরি হারের প্রস্তাব বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি- বিজিএমইএ’কে ৭ জুলাই এর মধ্যে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সচিব মো: শহীদুল্লাহের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের পক্ষ থেকে বিজিএমইএ’তে পাঠানো হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সচিব মো: শহীদুল্লাহ সাক্ষরিত একটি চিঠি বিজিএমইএ’তে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ন্যূনতম মজুরি কত হতে পারে এ বিষয়ে মালিপক্ষের প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের বয়স যেহেতু প্রায় পাঁচ মাস হয়ে গিয়েছে তাই এবার কাজে গতি এসেছে। মজুরি বোর্ডের দ্বিতীয় বৈঠক ৮ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগেই প্রস্তাবনা সচিব বরাবর জমা দেয়ার বিষয়ে লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’কে।

দ্বিতীয় বৈঠক ৮ জুলাই এর আগে বিজিএমইএ’কে ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে যে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের মালিকপক্ষের সদস্য বিজিএমইএ এর সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করায় এ জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়।

বিজিএমইএ’কে ন্যূন্যতম মজুরি’র প্রস্তাব দেয়ার নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ন্যূনতম মজুরি বোর্ড থেকে আমাদের প্রস্তাবসমূহ লিখিতভাবে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। তবে মালিকপক্ষের সদস্য হিসেবে মজুরী বোর্ডে রয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। তিনি ২৯ জুন দেশে ফিরলে এ বিষয়ে কাজ চূড়ান্ত করে নির্দিষ্ট সময়েই আমরা আমাদের প্রস্তাবনা জমা দিতে পারবো।

তবে বিজিএমইএ থেকে বারবারই ন্যূনতম মজুরির কাজে ধীরগতি আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে শ্রমিকরা। তাদের দাবি, ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন হয়েছে ২৯ জানুয়ারি। ছয় মাসের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডে সুপারিশমালা জমাদানের নির্দেশনা থাকলে পাঁচ মাস পর বছরের ১৯ মার্চ মাত্র একটি বৈঠক করে। তারপর ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় বৈঠকের দিন ধার্য করা হলেও মালিকপক্ষের প্রতিনিধি উপস্থিত না হওয়ার ফলে বৈঠকটি বাতিল করা হয়।

এ বিষয়ে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর সাধারন সম্পাদক তপন সাহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠনের পর পাঁচ মাসে কেবল একটি বৈঠক হয়েছে তার উদাহরণ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। মালিকপক্ষ থেকেই এই ধীরগতি আনয়ন করা হয়েছে মজুরি বোর্ডের কাজে। ছয় মাস পেরুতে আর মাত্র এক মাস সময় আছে। তারা যদি মজুরি বোর্ডের সময় বাড়াতে চান তা কিছুতেই শ্রমিকরা মেনে নিবে না। প্রয়োজনে আন্দোলনে যাবে শ্রমিকরা।

২৯ জুলাইয়ের মধ্যেই ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সুপারিমালা শ্রম মন্ত্রনালয়ে জমা দিতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here