Home বাংলা নিউজ শ্রমিকদের মানবিক মর্যাদা ও অধিকার

শ্রমিকদের মানবিক মর্যাদা ও অধিকার

কোভিড-১৯ এবং তজ্জনিত নানা বিধি-নিষেধের গোলকধাঁধায় নাকানি-চুবানি যারা খাচ্ছেন বা খেতে বাধ্য হচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের পোশাকশ্রমিক বোন ও ভাইয়েরা। যারা কিনা সময়ের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় শক্তি, জাতীয় অর্থনীতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী হিসেবে অগ্রগণ্য জনগোষ্ঠী ইত্যাদি নানা অভিধায় অভিহিত হয়ে আসছেন।

অথচ সেই তাদের নিয়ে এখন যা হচ্ছে তা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং ক্ষেত্রবিশেষে যা তাদের অধিকার বঞ্চনারও নামান্তর। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর আজ প্রায় দু’বছর হতে চলল অথচ এই সময়ে শ্রমিকদের নিয়ে যতবার যতকিছু হলো এবং হচ্ছে তা কি মেনে নেয়ার মতো? না কি তা কারো সাথে হওয়া উচিত? করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এ সংক্রান্ত যে ব্যবস্থাপনা নেয়া হচ্ছে তার অনিবার্য বিভ্রান্তির নাম হয়েছে গার্মেন্টস কারখানায় ছুটি অথবা ছুটি না দেয়ার খামখেয়ালির সালতামামি।

এমনতরো ছুটি অথবা ছুটির ঘোষণা আসলেই তা যেমন শুরুর সময়ে এবং শেষে দুই তরফেই লেজেগোবরে অবস্থায় পর্যবসিত হচ্ছে। গত কয়েকবারে অতি স্বল্প সময়ে ‘‘ছুটি এবং ছুটি শেষ তাই কর্মস্থলে যোগ দাও” বলে যে কায়দায় ঘোষণা দেয়া হচ্ছে তাতে পড়িমড়ি করে কর্মস্থলে ফিরে আসার আসার ক্ষেত্রে লক্ষ শ্রমিকের জীবনে যে অবর্ণনীয় কষ্টকর বাস্তবতা নেমে আসছে তা মানবিক চোখে সহ্য করার মতো না। আর এ চিত্র বার বার দেখে এখন মনের অজান্তেই বেরিয়ে আসছে ‘‘শ্রমিকরা কি মানুষ নাকি মানুষরূপী দাস” এই শব্দগুলি!!

কেন? কেনো তাদের সাথে এমন করা হচ্ছে? কী কারণ? এসব প্রশ্নের উত্তর যেমন জানা জরুরি তেমনি এর জন্য কার দায়, আসলেই কে দায়ী এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখে একটি মানবিক ও মর্যাদাপূর্ণ সমাধানের পথ সন্ধান করাও সময়ের অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয় বলে অনেকেই মনে করছেন। তা না হলে শ্রমিক বোন ও ভাইদের প্রতি গত প্রায় দুই বছর ধরে যা চলছে তা রীতিমতো রীতিতে (অলরেডি তেমনটিই হয়েছে) পরিণত হবে।

এদেশের শিল্প শ্রমিকদের প্রতিই শুধু নয়, এমন একটি অসহনীয় অবস্থা চলতে থাকলে নতুন প্রজন্মের শিল্পোদোক্তারা শ্রমিক অথবা শিল্পের একটি অনিবার্য অঙ্গ-কে হয়তো দাস-ই ঠাহর করবে। কিন্তু এমন তো হবার কথা নয়।

আর কেনই বা হবে? যে দেশের শিল্পউদ্যোক্তারা বিশেষ করে পোশাক শিল্প খাতে যারা যুক্ত তারা প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে এবং তিলে তিলে পরিশ্রম করে খাতটিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে সেখানে তো তাদের সাংগঠনিক ও ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতাই ছিল অন্যতম পুঁঁজি। তারা তো এদেশের সস্তা শ্রম আর মানুষের দক্ষতাকে সুদক্ষ হাতে কাজে লাগিয়েই এমন সফলতা দেখিয়েছেন।

তাহলে আজ কেন এমন হচ্ছে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন এবং দেশের তৈরি পোশাক শিল্প খাতের বৃহত্তর স্বার্থেই বিষয়গুলোকে যথাযথ গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা এবং সে মতো ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

বিগত কয়েকবারের মতো শেষবার (এখন পর্যন্ত) গত ১ আগস্ট তারিখে তৈরি পোশাক কারখানা খোলা নিয়ে এবং হতোদ্যম শ্রমিকদের কাজে যোগদানের জন্য যেভাবে ঢাকায় ফিরতে হলো তা ছিল অত্যন্ত পীড়াদায়ক, মর্মস্পর্শী। মানুষগুলো একেকজন কারখানার শ্রমিক হওয়ায় কি তাঁর অপরাধ? শুধু শ্রমিক বলেই কি ঢাকায়, চিটাগাং-এ কোথাও বাঁশি দিলেই তাঁকে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে কর্মস্থলে ফিরতে হবে? শত শত মাইল পথ পাড়ি দেয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট বাহন নাই, পায়ে হেঁটে, রিকশায়, কোথাও ট্রাকে, ফেরিতে গাদাগাদি করে ফিরতে হবে?

শ্রমিকদের এমন মানবেতরভাবে ফিরতে দেখে দেশের সর্বস্তরের মানুষ বিশেষ করে নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনামুখর হয়ে উঠলে সরকারের টনক নড়ে। তারা এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে বলে যে আগামী শনিবার (৩১ জুলাই ২০২১) দুপুর পর্যন্ত গণপরিবহন ও ফেরি চলাচল করতে পারবে। কিন্তু ততক্ষণে অধিকাংশ শ্রমিক যেভাবেই হোক কর্মস্থলে চলে এসেছে এবং এই ফিরে আসার পথে তারা ফেলে এসেছে ভাষায় প্রকাশ অযোগ্য কষ্টের স্মৃতি এবং পরেরদিন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সরকারের তরফে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলতে গিয়ে এ বিষয়ে যে সরকার ও পোশাক কারখানা মালিকদের পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি ছিল না সেটা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেছেন-কারখানা ব্যবস্থাপকরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ছাড়াই বিষয়টি মোকাবিলা করতে চেয়েছে। হয়তো সে কারনে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বিষয়টি কি শুধু কারখানা ব্যবস্থাপনার বিষয়? শ্রমিকরা তো প্রথমত দেশের নাগরিক। দেশের প্রতিজন নাগরিকের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব যেমন সরকারের তেমনি প্রতিজন শ্রমিকের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষার জন্যও সরকারের তরফে তৎপরতা দৃশ্যমান ও কার্যকর হতে হবে।

এর অন্যথা হলে তার জন্যও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমরা সবাই দেখেছি যে করোনার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বেশ কয়েকবারই কারখানা বন্ধ করা, শ্রমিকদের কর্মস্থলে থাকা-না থাকা, যার যার গ্রামদেশে যাওয়া এবং ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই না সরকারের দিক থেকে না কারখানা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে ঠিকমতো সামলানো হয়েছে বা গেছে! প্রত্যেকবারই কিন্তু একই ঘটনা অর্থাৎ হয় তারা ঠিক মতো হয় যেতে পারেনি, নয়তো ফিরতে পারেনি।

হয় গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ ছিল, নয়তো ফেরি চলেনি, নয়তো স্বল্প সময়ের নোটিসে কষ্টকর পরিস্থিতিতে ফেরার অভিজ্ঞতা তাদের নিতে হয়েছে। আর সেটা যেহেতু লক্ষ লক্ষ মানুষের একই সময়ে যাওয়া ও আসা এবং তাদের কল্যাণ-অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার মতো বিষয়ের সাথে যুক্ত তাই বিষয়টি তেমন কারও নজর এড়ায়নি। দেশের প্রায় প্রতিটি নাগরিক (হয়তো শুধু সম্মানিত কারখানা মালিকগণ ব্যতীত!) এর বিরুদ্ধে কোনো না কোনোভাবে তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। আর এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে মানুষের এ সকল প্রতিক্রিয়া সর্বমহলে খুব দ্রুত ও দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবেই পৌঁছায়।

কিন্তু হতাশার জায়গা হলো দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত, যেখানে লাখ লাখ শ্রমিক কর্মরত, যাদের আয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নির্ভরশীলদের সংখ্যা গণনায় নিলে যা কয়েক কোটি মানুষের বিষয় হবে-তেমন একটি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বার বার সীমাহীন ব্যর্থতা কোনো সরকার বা শেষ বিচারে দেশের জন্য ভালো নয়।

দেশে সরকার আছে, সরকারের প্রশাসন আছে সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্ত্রণালয়, পরিদফতর, রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের যে বিশেষ বিশেষ অঞ্চল সেগুলোর আলাদা আলাদা অথরিটি আছে-তারা কি করছে তাহলে? বিগত প্রায় দেড় বছরে এমন ঘটনা ঘটা না ঘটা এবং তারজন্য ব্যর্থতার দায় কার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কি তৎপরতা জনগণ দেখেছে? কিছু একটা হলেই-তার প্রতিক্রিয়ায় বিশেষ করে কোভিডের সময়ে সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি কথা বলছেন।

এক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত তৎপরতা এবং স্বভাবসুলভ ভাষায় বিভিন্ন মিডিয়ায় বা টক-শোতে এসে কথা বলার মধ্য দিয়ে মানুষ হয়তো প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য পাচ্ছে কিন্তু তিনি যা বলছেন সেটা সরকারের তরফে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যায়; এর বেশি কিছু নয়। কিন্তু তাতে কি শ্রমিকের স্বার্থ তথা অধিকার কি রক্ষিত হয়? তাতে কি এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের অধিকারের প্রশ্নটি, পোশাক শিল্পমালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, যখন-তখন শ্রমিকদের আসা-যাওয়ার হ্যাপা-হয়রানি এগুলো কি বন্ধ করা যায়? না, তা নিশ্চয়ই যাবে না।

তাহলে কি হবে সেই প্রশ্নটি কিন্তু এখন খুব জোড়ালোভাবেই জনমনে দানা বাধছে। এভাবে তো চলতে পারে না। শ্রমিকরা মানুষ, তারা এদেশের সম্মানিত নাগরিক। তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকারের এবং কারখানা মালিকদের আরও যত্নবান হতে হবে-এটা এখন সময়ের দাবি। তাই করোনা মোকাবিলাজনিত যে সার্বিক ব্যবস্থাপনা তার অংশ হিসেবেই পোশাক কারখানা শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষায় একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হওয়া বাঞ্ছনীয়।

এমন একটি পরিকল্পনা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সাথে নিয়ে সরকারের দিক থেকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এক্ষেত্রে লিড মিনিস্ট্রি পুরো প্রক্রিয়াটির নেতৃত্ব দিতে পারে অথবা সরকারের তরফে কোনো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও গঠন করা এক্ষেত্রে দরকারি বলে মনে করি। এজন্য কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব সরকারের বিবেচনার জন্য পেশ করছি-

এক. সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য একটি নীতি-কাঠামো তৈরি হতে পারে। যেমন-লকডাউন, কারখানা বন্ধ করা বা খোলা সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত সেই সুনির্দিষ্ট ফোরামে বসে এবং এর পূর্বাপর চিন্তা-ভাবনা করেই নেয়ার বাধ্যবাধকতা চালু করা। শুধুমাত্র মালিকদের সংগঠন বা বিচ্ছিন্নভাবে কোনো পক্ষ যাতে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারে সেটাও এ ফোরাম থেকে তদারক করা যেতে পারে।

দুই. গণপরিবহন, সড়ক যোগাযোগ, নৌ-পথ বন্ধ, সচল এবং তার যথাযথ পরীবিক্ষণ নিশ্চিত করতে একটি ‘‘দূরপরিবহন টাস্কফোর্স” গঠন করা যেতে পারে। যাতে করে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলেই সংশ্লিষ্ট বক্তিবর্গ/কর্তৃপক্ষ সরকারের তরফে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ যখাসময়ে জানতে পারে, বুঝতে পারে এবং প্রতিপালন করতে পারে।

তিন. শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টিতে একটি ধারণাগত স্বচ্ছতা ও কনসেনসাস তৈরি করাও জরুরি। হাড়খাটানো পরিশ্রমের পরে মাস শেষে কিছু বেতন দেয়া এবং বছরে দুইবার উৎসব বোনাস (যদিও বোনাস দেয়া-নেয়া নিয়েও নানাকথা শোনা যায়) দেয়াই যে শ্রমিক স্বার্থ সুরক্ষা নয়, বরং শ্রমিক স্বার্থ সুরক্ষা বলতে যে তার মানবিক মর্যদা, আইনী সুরক্ষা প্রাপ্তি, হয়রানির মধ্যে নিপতিত না হওয়া, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকারও অন্তর্ভুক্ত- সে বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা ও কমিটমেন্ট তৈরি করারও এ সময়ে এক জরুরি কাজ। সেটি করতে পারলে অনেক ছোটখাটো সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে।

চার. স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সংক্রমণরোধ ইত্যাদি যে কারণেই হোক, যে কোনো জরুরি ছুটি ও ছটি থেকে জরুরি ফিরে আসার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তা দেয়ার বিষয়টি ছুটি ব্যবস্থার সাথে যুক্ত করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কি পরিমাণ অর্থ বা সুবিধা শ্রমিকদের জন্য দেয়া হবে, বা গ্রামদেশে যাওয়া ও ফিরে আসার বিষয়ে অনান্য লজিস্টিক সুবিধা (রিজার্ভ পরিবহন ইত্যাদি) দেয়া হবে তা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করেই সুনির্দিষ্ট করা যেতে পারে;

পাঁচ. শ্রমিকদের আবাসনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিবেচনায় নেয়া। আজ শ্রমিকদের কর্মস্থলের পাশে বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে অবস্থায় থাকতে দেখা যায় সেটাও তার ছটি পেলেই গ্রামদেশে ছুটে যাবার অন্যতম কারণ কি না সেটা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে যত ধরনের গবেষণা এখন পর্যন্ত হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করা যেতে পারে এবং তার ভিত্তিতে শ্রমিকদের সুষ্ঠু আবাসনের জন্য দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। সেটা হয়তো এখনই হবে না কিন্তু একটা সময়ে এসে দেখা যাবে ভালো ও নিশ্চিত আবাসনের ব্যবস্থা হলে তারা আর মরিমরি করে দেশে ফেরার অবর্ণনীয় ঝুঁকি নেবে না।

পোশাক খাত আমাদের দেশের অর্থনীতি, বিপুল সংখ্যক মানুষের আয়ের এবং সেদিক থেকে লক্ষ লক্ষ পরিবারের চলার অন্যতম উপায়ের নাম। আর বিশ্বে বাংলাদেশে এই শিল্পের যে মান ও সুনাম তৈরি হয়েছে তা ধরে রাখতে হলে এর অন্যতম শক্তি শ্রমিকদের স্বার্থকে অবজ্ঞা করলে তা হিতে বিপরীত হতে বাধ্য। তাই তাদের সর্বোত্তম স্বার্থকে সমুন্নত রেখেই এবং দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আর এক্ষেত্রে সরকারকেই সর্বাগ্রেই এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক: অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন সন্ধানী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here