Home Blog Page 153

Japan unveils export control plans for chip equipment

An employee works on the production line of a semiconductor chip company in Suqian, Jiangsu province, China 28 February 2023Reuters

Japan on Friday unveiled planned export controls on 23 items used to make semiconductors, following US pressure for countries to restrict Chinese access to the technology.

The move was immediately slammed by Beijing, which warned against moves that “politicise, instrumentalise and weaponise” trade.

It comes as Tokyo confirmed its top diplomat will visit Beijing this weekend, the first Japanese foreign minister to make the trip in more than three years.

As the world’s second- and third-largest economies, China and Japan are key trading partners, but diplomatic ties have been strained in recent years, with Tokyo wary of Beijing’s growing military and economic power.

The two are also divided by their approach to the Ukraine conflict, with Tokyo backing Kyiv, and China seeking closer ties with Russia.

Friday’s export announcement came after the Netherlands implemented similar restrictions this month, citing “international and national security”.

Western officials, particularly in Washington, have repeatedly raised the alarm over the provision of core components in the manufacture of semiconductors to increasingly adversarial trading partners.

And while the Netherlands did not cite China specifically in announcing its restrictions, Beijing lashed out at the move.

Japan too declined to characterise the rules as targeting any one country, with trade minister Yasutoshi Nishimura saying they were intended to “prevent the military diversion of technologies”.

Japan “intends to play a responsible role in the international community” as a country with advanced memory-chip technology, he added.

Still, Washington has been clear that it wants to see allies join it in limiting Chinese access to the technology.

And in Beijing, foreign ministry spokeswoman Mao Ning criticised Tokyo’s decision.

“To politicise, instrumentalise and weaponise trade and technology issues is artificially destabilising the global production and supply chain,” she told reporters.

“With this type of action, they are harming others, but they are also harming themselves at the same time.”

‘Bullying and hegemony’

Japan’s trade ministry will now solicit public opinion on the measures, which are expected to come into force from July.

About 10 major companies including Tokyo Electron and Nikon will be affected by the new measures, Jiji Press reported, citing unnamed government sources.

The United States in October announced export measures aimed at curbing China’s ability to buy and make high-end chips with military applications.

They included restrictions on some chips used in supercomputing as well as stricter requirements on the sale of semiconductor equipment.

At the time, the US Commerce Department said those moves were to prevent “sensitive technologies” from being acquired by China’s military, intelligence and security services.

Beijing has sunk billions of dollars into building up its own semiconductor industry over the past decade, and filed a dispute with the World Trade Organization over the US measures.

And it called the Dutch move the result of “bullying and hegemony” by the West.

The chip measures came on the eve of a trip by Japanese Foreign Minister Yoshimasa Hayashi to Beijing, where he will hold talks with his Chinese counterpart.

Last November, Japanese Prime Minister Fumio Kishida and Chinese President Xi Jinping met on the sidelines of a summit in Bangkok and pledged to continue high-level contact.

But the policy differences between them were laid bare this month when Kishida visited Ukraine to offer support to the country’s president as Xi visited Russian leader Vladimir Putin.

Kishida has supported Western-led sanctions on Russia over its invasion, and offered Ukraine aid.

The Japanese prime minister has also repeatedly warned that “Ukraine may be the East Asia of tomorrow”, echoing growing fears in the region about China’s territorial ambitions.

Last year, Kishida’s government announced a major security overhaul, including plans to boost defence spending to two percent of GDP, and labelling China its “greatest strategic challenge ever”.

তৈরি পোশাক খাতে নতুন বাজার, বেড়েছে রপ্তানি

যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘিœত বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও পোশাক রপ্তানিতে ঠিক পথেই হাটছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি সরকার এবং পোশাক প্রস্ততকারকদের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং উদ্যোক্তারা নতুন বাজার খোঁজার কারণে এই খাতে বেড়েছে রপ্তানিও। ২০২১-২২ অর্থবছরে অপ্রচলিত বাজারে ৬৩৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

প্রধান পোশাক রপ্তানির গন্তব্য হিসেবে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো ঐতিহ্যবাহী বাজার হিসাবে পরিচিত। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রধান ইউরোপীয় দেশগুলোর বাইরের নতুন বাজার বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে অপ্রচলিত বাজারে ৬৩৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ২৫.৪% বেশি।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, পোশাক সামগ্রীর মধ্যে বাংলাদেশ ২৮৫ কোটি ডলারের বোনা কাপড় এবং ৪৭৮ কোটি ডলারের নিটওয়্যার পোশাক রপ্তানি করেছে। অপ্রচলিত বাজারে হওয়া রপ্তানি থেকে স্থানীয় পোশাক খাত ৪% নগদ প্রণোদনা ভোগ করে। তাছাড়া, মোট রপ্তানির ১৪.৯৬%-এর গন্তব্য ছিল অপ্রচলিত বাজার হিসাবে চিহ্নিত ১৫টিরও বেশি দেশে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সেই দেশগুলোতে ৫০৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো উল্লেখযোগ্য।

ইপিবির তথ্য অনুসারে, অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরে জাপানে সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এশিয়ার দেশটিতে ১০৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে ১৬.২৮% বেশি।

এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮১ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, ভারতে ৭১ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার ডলার, রাশিয়ায় ৫৮ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪৩ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৮ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার, মেক্সিকোয় ২৭ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং চীনে ২২ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি করা হয়।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এশিয়ার বাজারকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো গড়ে তোলাই আমাদের পরিকল্পনা। ইতোমধ্যেই জাপান, ভারত ও কোরিয়ায় আমাদের রপ্তানি ধীরে ধীরে বেড়েছে। যুদ্ধের কারণে রাশিয়ায় রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বাজারও তাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে।

সরকারের সঙ্গে মিলে পোশাক প্রস্ততকারকদের বৈশ্বিক এক্সপোতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করেছে বিজিএমইএ; যা নতুন এবং অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়াতে অনেক অবদান রেখেছে। সেইসঙ্গে পোশাক খাতে নিরাপত্তার উন্নতির কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বেড়েছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, পূর্ব এশীয় ও ভারতীয় বাজারে রপ্তানির এই প্রবণতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের উচিত বাজার বৈচিত্র্যের দিকে নজর দেওয়া। উৎপাদনশীলতা, দক্ষতাচালিত প্রতিযোগিতা, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর এবং রপ্তানি বৈচিত্র্যের ওপরেও কর্তৃপক্ষের জোর দেওয়া উচিত।

পোশাক রপ্তানির পালে হাওয়া

ভারতে পোশাক রপ্তানিতে চমক দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের এ ছয় মাসে ৩৬ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। অন্যদিকে একক দেশ হিসেবে পোশাক রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা আসা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই ছয় মাসে বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর থেকেই বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতেও বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারতে পোশাক রপ্তানির এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।

তারা বলছেন, এমনিতেই ভারতে রপ্তানি বাড়ছিল। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা পেয়েছে। তার ফলেই রপ্তানি বাড়ছে।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ভারতে ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিলেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। আগস্টে তা বেড়ে ২২ কোটি ২৪ লাখ ডলারে ওঠে। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে ২৪ কোটি ডলারে ওঠে। অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য।

নভেম্বরে পণ্য রপ্তানি থেকে ১৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার আয় হয়েছে। সবশেষ ডিসেম্বরে ১৭ কোটি ১৭ লাখ ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বৃহস্পতিবার দেশভিত্তিক পণ্য রপ্তানির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) পণ্য রপ্তানি থেকে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশ। এ সংখ্যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।

এ আয়ের মধ্যে ২৩ বিলিয়ন ডলার বা ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ছয় মাসে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয় ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা দেয়, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ভারতে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এই ছয় মাসে ভারতে ১১৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আলোচ্য সময়ের মোট রপ্তানি আয়ের ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।

ভারতে সার্বিক পণ্য রপ্তানিতে ৭ শতাংশের কিছু বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এ ছয় মাসে ভারতে রপ্তানি আয়ের অর্ধেকেরও বেশি ৫৫ কোটি ডলার এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক থেকে আসে ২৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার; বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে আসে ২৯ কোটি ৫৭ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয় ৪৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।

অন্য পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আসে ১১ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এসেছিল ১০ কোটি ৩৩ লাখ ডলার; বেড়েছে ১২ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আসে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ ডলার।

কটন ও কটন প্রোডাক্টস থেকে এসেছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এর চেয়ে একটু বেশি ২ কোটি ১২ লাখ ডলার। প্লাস্টিক পণ্য থেকে এসেছে ৩ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এসেছিল ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, একক দেশ হিসেবে পোশাক রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা আসে যে দেশ থেকে, সেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ৪২৭ কোটি ৮৫ লাখ (৪ দশমিক ২৮ বিলিয়ন) ডলার আসে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ১১ শতাংশ।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। স্পেন ও ফ্রান্সে রপ্তানি যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ৩৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার এবং ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।

অন্যদিকে এ ছয় মাসে পোল্যান্ডে রপ্তানি ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে। যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন এবং ৭৭ কোটি ৬১ লাখ ডলারে পৌঁছায়।

প্রচলিত বাজারগুলো ছাড়াও অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের মধ্যে ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে রপ্তানি ৪২ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৭৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার হয়।

পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘এ কথা ঠিক যে, গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, তাহলে পোশাক শিল্পের জন্য খুবই ভালো হবে।’

২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক রপ্তানির পরিকল্পনা ১০০ বিলিয়ন ডলার

গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে এবং সরকারের নীতি সহায়তা পেলে বৈশ্বিক মন্দার মাঝেও একটি ভালো অবস্থানে থাকবে দেশের তৈরি পোশাক খাত। এমনটিই ভাবছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকরা। শুধু তাই নয়, আগামী ৮ বছরের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার। সংগঠনটির ধারণা, ২০৩০ সালে পোশাক শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০ লাখে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান বলেন, ‘বর্তমানে আমরা যেসব পোশাক রপ্তানি করি, তার সঙ্গে বেশি মূল্য সংযোজিত হয়তো এমন পোশাক উৎপাদনের টার্গেট নিয়েছি। সে সঙ্গে আমরা টেকনিক্যাল টেক্সটাইল রপ্তানিতেও জোর দিচ্ছি। আমরা আশা করছি, ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’ তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে ২০টি লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে টেকসই পোশাক শিল্প গড়তে একটি রোডম্যাপ তৈরির কাজ চলছে। তিনটি আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেই কাজ করছে।

যদিও বিদায়ি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। অর্থাৎ, ১০ হাজার কোটি ডলারের লক্ষ্য অর্জনে আগামী ৮ বছরের মধ্যে বাড়তি ৫ হাজার ৭৮৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করতে হবে।

এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বা ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল বিজিএমইএ। ২০১৪ সালে এই লক্ষ্য ঘোষণার পর একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছিল সংগঠনটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনাসহ নানা কারণে লক্ষ্যমাত্রাটি অর্জিত হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম জানান, বাজার সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে এই লক্ষ্য অর্জন করতে চান তারা। এজন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির কাজ এখন চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবাই ভালোভাবে কাজ করতে পারলে এটা সম্ভব। ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও এটা সম্ভব হবে। এটা অসম্ভব কোনো ব্যাপার না। তিনি বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও গত কয়েক বছরের প্রবৃদ্ধিই এই খাতের উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য নির্ধারণে সাহসী করে তুলেছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, এ বছর ১১ বিলিয়ন ডলার বেশি শিপমেন্ট হয়েছে, যেটা আমাদের টার্গেটের কাছাকাছি। আমরা চেষ্টা করব আগামী ৮ বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের টার্গেট অর্জন করতে। সম্প্রতি তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের এই সংগঠনটি টেকসই পোশাক শিল্প গড়তে ২০টি লক্ষ্য ঘোষণা করে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসব লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চায় সংগঠনটি। তার মধ্যে একটি হচ্ছে পোশাকের রপ্তানি ১০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া।

বিজিএমইএর ২০টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম কার্বন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানো, টেকসই কাঁচামাল ব্যবহার ৫০ শতাংশে উন্নীত করা, শোভন কাজের পরিবেশ শতভাগ নিশ্চিত করা, পানির অপচয় ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা, ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার শতভাগে নামিয়ে আনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ২০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া, গ্যাস-বিদ্যুতের ব্যবহার ৩০ শতাংশ হ্রাস, নারী-পুরুষের সমতা শতভাগ নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান ৬০ লাখে উন্নীত করা, উৎপাদনশীলতা ৬০ শতাংশে উন্নীত করা, পৃথিবীর সব দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি করা, শতভাগ সুশাসন নিশ্চিতকরণ, মোট কারখানার ৮০ শতাংশ পরিবেশবান্ধব করা, ১০ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানি অর্জন ইত্যাদি। এগুলোকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) ১৭টি গোল বা লক্ষ্যের সঙ্গেও সমন্বয় করে করা হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাকের হিস্যা ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২০২১ সালের হিসাব এখন প্রকাশ না করলে বাংলাদেশের হিস্যা ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে মনে করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সেটি ১০ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন বিজিএমইএ’র নেতারা।?

বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ি অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। সংগঠনটির নেতারা মনে করেন, চীন থেকে গত কয়েক বছরে অনেক ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে এসেছে। আগামী ৮ বছরে এর পরিমাণ আরো বাড়বে। চীন যেহেতু পরিবেশগত কারণে টেক্সটাইল থেকে সরে আসছে, ফলে সেগুলো সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের দিকেই আসবে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই পোশাক খাতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও নতুন নতুন বাজার খোঁজার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছিল। বিজিএমইএ বলছে, উৎপাদনশীলতা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের সব দেশেই বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি করতে চান তারা।

পোশাক খাতের মালিকদের দাবি, বাংলাদেশেই এখন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরিবেশবান্ধব কারখানা কাজ করছে। বিশেষ করে ২০১২ সালের নভেম্বরে তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু ও ২০১৩ সালের এপ্রিলে ঢাকার কাছে সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এক হাজারের বেশি শ্রমিক মারা যান। এরপর বেশ কয়েক বছর ধরে পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ নিয়ে কাজ করেছে ‘অ্যাকর্ড’ ও ‘অ্যালায়েন্স’-এর মতো বিদেশি ক্রেতাদের জোটগুলো।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য হচ্ছে তৈরি পোশাক। বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কারণে আমাদের আরো ৫ থেকে ৬টি পণ্য বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ২০৩০ সালের আগেই পোশাক রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে একের পর এক শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডির) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে পোশাক রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিতে হলে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ পোশাক খাতকে মোকাবিলা করতে হবে। কারণ, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন আর আমরা ইউরোপসহ নানা বাজারে কোটা মুক্ত সুবিধা পাব না। একই সঙ্গে কমপ্লায়েন্স ইস্যু আরো শক্তভাবে সামনে আসবে। এছাড়া দেশের রাস্তাঘাট, বন্দর, পরিবহন ও জ্বালানির ওপরেও লক্ষ্য অর্জনের বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করবে। এর বাইরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এছাড়া চীন, ভিয়েতনাম ও তুরস্কের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগোতে হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বেশি দামের পণ্যগুলো এখনো আমরা করতে পারছি না, যেগুলো চীন ও ভিয়েতনাম করে থাকে। এগুলো করতে না পারলে লাভের মার্জিন বাড়বে না। আর লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে বাজার বহুমুখীকরণ করতেই হবে।’

গার্মেন্টসকর্মীদের ঈদের ছুটি ২০ এপ্রিল থেকে: বিজিএমইএ

পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অবিক্রিত পোশাকের মজুদ থাকায় তৈরি পোশাকের অর্ডার কম পাচ্ছে বাংলাদেশ। রপ্তানির এই খাত থেকে বাংলাদেশের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। তৈরি পোশাকের অর্ডার কমে যাওয়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আরও তীব্র হতে পারে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এপ্রিল-জুনের মধ্যে অর্ডার ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে।

দেশের শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের অন্যতম এ কে আজাদ বলেন,  ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোর অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তার কারখানায় আগামী মৌসুমের অর্ডার ২০ শতাংশ কমেছে।

তিনি বলেন, ‘গত নভেম্বর থেকে তৈরি পোশাকের অর্ডার কমতে শুরু করে। এই প্রবণতা এখনো অব্যাহত আছে।’

ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেন, পোশাকের চালানে যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে এবং অর্ডারে মন্দা দেখা দেওয়ায় তা এখন দৃশ্যমান হচ্ছে।

আরেক প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক স্টার্লিং গ্রুপের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত এক বছর ধরে মন্দা অবস্থা চলছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রপ্তানিকারক বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান বেশি দামের পোশাক সরবরাহ করছে তাদের ব্যবসার অবস্থা ভালো। কিন্তু, কম দামের ও সাধারণ মানের পোশাক উৎপাদনকারীদের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। 

সবমিলিয়ে গার্মেন্টস পণ্যের অর্ডার কমছে, বলেন তিনি। 

ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। সিএনবিসির জানায়, এটি অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের ৮ দশমিক ২ শতাংশের থেকে বেশি।

ফ্রান্স এবং স্পেনের মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্য সূচক গত মাসে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশটির বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি অর্ডার আসে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সুতরাং এসব অঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের ওপর আরও চাপ বাড়াবে। যা বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস আইটেমের চাহিদা কমাবে।

স্থানীয় রপ্তানিকারকরা অর্ডার কমে যাওয়ার কথা বললেও চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে এখনো পর্যন্ত গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানি চালান স্থিতিশীল আছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।

অর্ডারে মন্দা সত্ত্বেও পোশাক রপ্তানি থেকে আয় বৃদ্ধির জন্য গত সপ্তাহে ৩টি কারণ উল্লেখ করেছিলেন পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।

দামি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে উপার্জন বাড়ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, স্থানীয় রপ্তানিকারকদের অনেকেই ৫০ ডলার মূল্যের শীতকালীন জ্যাকেট রপ্তানি করছেন। যা পোশাক খাতের জন্য একটি বড় অর্জন এবং ৫ বছর আগেও প্রায় অকল্পনীয় ছিল।

বিজিএমইএ প্রধান বলেন, এশিয়ার দেশগুলোতে পোশাকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নতুন নতুন গন্তব্যে রপ্তানি বাড়ছে।

বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ সালে উদীয়মান বাজারগুলোতে চালান ছিল ৮৪৯ মিলিয়ন ডলার এবং মোট পোশাক রপ্তানিতে অবদান ছিল ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে এবং মোট রপ্তানিতে অবদান বেড়েছে হয়েছে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

২০২০-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপ্রচলিত বাজারে শিপমেন্ট ছিল ৫ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার এবং রপ্তানিতে অবদান ছিল ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এশিয়ার বাজারে রপ্তানি বেড়ে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।

ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ জব্বার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্থানীয় উদ্যোক্তারা পোশাক শিল্পে ৫-৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।

‘এই তহবিলের বেশির ভাগই কারখানার আধুনিকায়নে ব্যবহার করা হয়েছে এবং বিনিয়োগের সুফল পাওয়া শুরু হয়েছে,’ বলেন তিনি।

বর্তমানে গার্মেন্টস খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং স্পিনিং, বয়ন ও ডাইং শিল্পসহ প্রাথমিক টেক্সটাইল খাতেও একই পরিমাণ বিনিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ৫ বছরে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতে আরও ২৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ আসতে পারে। পোশাক রপ্তানি থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য আছে।

স্টার্লিং গ্রুপের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘করোনার সময় বকেয়া পাওনা ফেরত পাওয়ায় রপ্তানি বাড়ছে। কাঁচামাল, পরিবহন খরচ ও ইউটিলিটি খরচ বাড়ার কারণে ক্রেতারা বেশি দাম দিচ্ছেন।’

রপ্তানকারকরা আশা করছেন, জুলাইয়ে আবার অর্ডার বাড়বে। কারণ আমদানিকারকরা মজুদে থাকা পোশাক বিক্রি শেষ করবেন এবং পরবর্তী শীত মৌসুমের জন্য রপ্তানি শুরু হবে।

Related

তৈরি পোশাকের রপ্তানি আদেশ কমেছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত

পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অবিক্রিত পোশাকের মজুদ থাকায় তৈরি পোশাকের অর্ডার কম পাচ্ছে বাংলাদেশ। রপ্তানির এই খাত থেকে বাংলাদেশের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। তৈরি পোশাকের অর্ডার কমে যাওয়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আরও তীব্র হতে পারে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এপ্রিল-জুনের মধ্যে অর্ডার ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে।

দেশের শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের অন্যতম এ কে আজাদ বলেন,  ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোর অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তার কারখানায় আগামী মৌসুমের অর্ডার ২০ শতাংশ কমেছে।

তিনি বলেন, ‘গত নভেম্বর থেকে তৈরি পোশাকের অর্ডার কমতে শুরু করে। এই প্রবণতা এখনো অব্যাহত আছে।’

ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেন, পোশাকের চালানে যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে এবং অর্ডারে মন্দা দেখা দেওয়ায় তা এখন দৃশ্যমান হচ্ছে।

আরেক প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক স্টার্লিং গ্রুপের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত এক বছর ধরে মন্দা অবস্থা চলছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রপ্তানিকারক বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান বেশি দামের পোশাক সরবরাহ করছে তাদের ব্যবসার অবস্থা ভালো। কিন্তু, কম দামের ও সাধারণ মানের পোশাক উৎপাদনকারীদের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। 

সবমিলিয়ে গার্মেন্টস পণ্যের অর্ডার কমছে, বলেন তিনি। 

ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। সিএনবিসির জানায়, এটি অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের ৮ দশমিক ২ শতাংশের থেকে বেশি।

ফ্রান্স এবং স্পেনের মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্য সূচক গত মাসে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশটির বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি অর্ডার আসে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সুতরাং এসব অঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের ওপর আরও চাপ বাড়াবে। যা বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস আইটেমের চাহিদা কমাবে।

স্থানীয় রপ্তানিকারকরা অর্ডার কমে যাওয়ার কথা বললেও চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে এখনো পর্যন্ত গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানি চালান স্থিতিশীল আছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।

অর্ডারে মন্দা সত্ত্বেও পোশাক রপ্তানি থেকে আয় বৃদ্ধির জন্য গত সপ্তাহে ৩টি কারণ উল্লেখ করেছিলেন পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।

দামি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে উপার্জন বাড়ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, স্থানীয় রপ্তানিকারকদের অনেকেই ৫০ ডলার মূল্যের শীতকালীন জ্যাকেট রপ্তানি করছেন। যা পোশাক খাতের জন্য একটি বড় অর্জন এবং ৫ বছর আগেও প্রায় অকল্পনীয় ছিল।

বিজিএমইএ প্রধান বলেন, এশিয়ার দেশগুলোতে পোশাকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নতুন নতুন গন্তব্যে রপ্তানি বাড়ছে।

বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ সালে উদীয়মান বাজারগুলোতে চালান ছিল ৮৪৯ মিলিয়ন ডলার এবং মোট পোশাক রপ্তানিতে অবদান ছিল ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে এবং মোট রপ্তানিতে অবদান বেড়েছে হয়েছে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

২০২০-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপ্রচলিত বাজারে শিপমেন্ট ছিল ৫ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার এবং রপ্তানিতে অবদান ছিল ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এশিয়ার বাজারে রপ্তানি বেড়ে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।

ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ জব্বার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্থানীয় উদ্যোক্তারা পোশাক শিল্পে ৫-৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।

‘এই তহবিলের বেশির ভাগই কারখানার আধুনিকায়নে ব্যবহার করা হয়েছে এবং বিনিয়োগের সুফল পাওয়া শুরু হয়েছে,’ বলেন তিনি।

বর্তমানে গার্মেন্টস খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং স্পিনিং, বয়ন ও ডাইং শিল্পসহ প্রাথমিক টেক্সটাইল খাতেও একই পরিমাণ বিনিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ৫ বছরে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতে আরও ২৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ আসতে পারে। পোশাক রপ্তানি থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য আছে।

স্টার্লিং গ্রুপের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘করোনার সময় বকেয়া পাওনা ফেরত পাওয়ায় রপ্তানি বাড়ছে। কাঁচামাল, পরিবহন খরচ ও ইউটিলিটি খরচ বাড়ার কারণে ক্রেতারা বেশি দাম দিচ্ছেন।’

রপ্তানকারকরা আশা করছেন, জুলাইয়ে আবার অর্ডার বাড়বে। কারণ আমদানিকারকরা মজুদে থাকা পোশাক বিক্রি শেষ করবেন এবং পরবর্তী শীত মৌসুমের জন্য রপ্তানি শুরু হবে।

Swiss textile industry to unveil sustainable and economical innovations at ITMA 2023

ITMA 2023 aims to transform the world of textiles to explore new ways of improving environmental protection within the industry by using right technology

The Swiss Textile Machinery Association represents Swiss producers of textile equipment, systems, and services. Currently, there are 44 affiliated companies that include machine and component manufacturers as well as service providers for the textile industry. These companies offer solutions for the entire textile value chain from spinning to quality control. The association has been in operation for 83 years and aims to support and promote the Swiss textile machinery industry. They organize symposia in important textile markets, participate in exhibitions and events where a Swiss presence is advantageous, and hold innovation workshops on topics such as additive manufacturing and digitalization.

The association is a member of the European textile industry committee CEMATEX, which is the owner of ITMA, the largest international textile machinery exhibition in the world. The upcoming ITMA exhibition will be held from 8 June to 14 June, 2023 in Milan, Italy. Recently, during a pre-ITMA press conference in Berne Switzerland, Ernesto Maurer, President, Swiss Textile Machinery Association who is also the President of CEMATEX, shared his thoughts with Textile Today.

Ernesto-Maurer-Swiss-Textile-Machinery-Association-ITMA-2023
Figure 1: Ernesto Maurer, President, Swiss Textile Machinery Association and President, CEMATEX.

Textile Today: Can you share with us the specialty of Swiss technology in the textile industry?

Ernesto Maurer: In my opinion, sustainability and innovation go hand in hand and are crucial to reducing our environmental impact in the textile industry. However, innovation needs to be supported by an economic foundation to be viable. Swiss technology is known for being both sustainable and economical, making it an ideal choice for the textile industry.

Textile Today: In light of the current struggle with profitability due to the economy, what can we expect from ITMA?

Ernesto Maurer: At ITMA, we will showcase how sustainability and environmental protection are not in contradiction with economic development. In fact, they complement each other. With increasing regulations and demands, investing in equipment that fulfills requirements is crucial to avoid wasting money, resources, and impacting the economy negatively.

Textile Today: Manufacturers are facing high energy prices, and it’s becoming a matter of survival. What solutions do you suggest?

Ernesto Maurer: One solution is to introduce new energy-saving components and operations to make the best use of existing equipment. Additionally, when investing in new machines, go for the ones with the lowest possible operation costs. It is essential to consider acquisition and operational costs, energy consumption, and waste production carefully.

Textile Today: What do you think about companies making existing machinery more cost-effective and efficient?

Ernesto Maurer: It’s crucial to synchronize sustainability with machine optimization. While keeping machines running longer can protect investments, putting off upgrades that can reduce energy and waste consumption is counterproductive.

Swiss-textile-industry-innovations-ITMA-2023
Figure 2: Tareq Amin, Founder & CEO, Textile Today with Ernesto Maurer in Swiss Textile Machinery Association pre-ITMA 2023 press conference in Bern Switzerland.

Textile Today: How feasible do you think retrofitting existing machines to recycle materials is?

Ernesto Maurer: While this is currently done on a small scale, I believe it is feasible to scale up. We should start today, taking small steps to address this pressing issue.

Textile Today: How do you see circularity growing in the industry?

Ernesto Maurer: Circular production has accelerated over the past ten years, but it’s still in its early stages. Legislative action and research will help advance it, and with increasing energy costs, governments worldwide are investing in renewable and recyclable energy, which benefits circularity as well.

Textile Today: Will there be any incentives for manufacturers to align with the legislation?

Ernesto Maurer: Yes, governments are investing in renewable and recyclable energy, which benefits circular production. Manufacturers can also benefit from incentives, but we need to consider the political and technological sides to achieve sustainable results.

Textile Today: What about the challenge of distributing the benefits of sustainability?

Ernesto Maurer: It is crucial for the textile industry to unite and work together towards sustainability. We need to be vigilant and take action when we see sustainability initiatives taking place. Additionally, we need to educate end-users that purchasing clothing at exceptionally low prices, such as $12-$25 for a pair of jeans or t-shirts, is not a sustainable practice. We must use our industry associations to spread this message, so that we can collectively absorb the costs of sustainable practices and pass on the benefits to end-users.

Textile Today: Can you talk about ITMA 2023 and how you are planning for it?

Ernesto Maurer: The theme of ITMA 2023 is ‘Transforming the world of textiles’, which means we are looking at ways to improve environmental protection through the right equipment. ‘Transforming the world of textiles’, does not refer to exploring new fashion trends or presentation techniques. Instead, the focus is on exploring new ways to improve environmental protection within the industry. The use of the right equipment and technology is crucial in achieving this goal, and it must be done correctly from the outset. The emphasis is on finding innovative ways to make textile manufacturing processes more eco-friendly and sustainable.

RMG BANGLADESH NEWS