Home Blog Page 438

IFC launches web portal to monitor resource usage in RMG sector

The International Finance Corporation on Tuesday launched a web tool named PaCT Portal to calculate resource consumption in the country’s readymade garments industry. The initiative comes as the IFC-led Partnership for Cleaner Textile (PaCT II) enters its third year with eight partners working together to reduce the environmental impacts of the activities of the exportoriented sector, said a press release. The portal was launched at the PaCT annual meet held in Dhaka where panel discussions focused on issues including low-carbon opportunities in the textile industry.  The panelists also highlighted how emerging consumer behaviour and choices are now shaping the global apparel market, the release said. Supported by Denmark, Australia, and the Netherlands, PaCT’s multi-stakeholder partnership has already helped the industry to save 25 billion litres of water and 2.5 million megawatt hours of energy annually. Launched in 2018, PaCT II works with 132 factories to adopt state-of-the-art efficiency solutions and reduce water, energy, and chemical use to meet global standards. Five textile brands – VF Corp, PUMA, Levi Strauss & Co, TESCO, and GAP Inc – have partnered with the PaCT programme while the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association is the implementing partner. The IFC release said that the data-driven monitoring software would provide realtime analytics for readymade garment factories, helping them in their efforts to improve use of resources, such as water and energy.  ‘Through programmes like PaCT, we hope to contribute towards improving sector competitiveness by promoting resource efficiency through innovative ways and evolving with global trends,’ IFC country manager Wendy Werner said. Nishat Chowdhury, programme manager for PaCT, said that this monitoring tool would work as an analytical information exchange platform to help with users’ decision-making regarding water and energy consumption. It can play a big role in leading the industry towards sustainability and achieve results that are right for the industry, the planet and our future generation, she said. In a video message, BGMEA president Rubana Huq said that the industry had saved a huge amount of water and energy through the collaborative partnership with PaCT. ‘We would like to think and shape tomorrow for the better and we can only do that by being the best of partners in the days to come,’ she said.

RMG exports to US grow moderately in 2019

The country’s apparel exports to the United States in 2019 registered a moderate growth riding on the excellent performance of readymade garment products in the first half of the year. Apparel exports to the US in last year grew by 9.83 per cent to $5.93 billion from $5.40 billion in the year 2018, according to data of the Office of Textiles and Apparel under the US Department of Commerce, released on Wednesday. Exporters said that the export growth in the US in the first half of 2019 was a first-rate on and the second half of the year witnessed a gradual slowdown in growth. They said that RMG exports to the US in 2019 registered a 9.83-per cent growth due to a first-rate growth in the first half of the year. The OTEXA data showed that Bangladesh’s RMG export to the US in January-June of 2019 stood at $3.08 billion, which is 14.49 per cent higher than $2.69 billion in the same period of 2018. Apparel export to the US in the second half (July-December) of 2019 grew by only 5.19 per cent to $2.85 billion from $2.71 billion in the same period of 2018, according to the data. ‘We failed to achieve the required export growth in the US market in 2019 as we could not take advantage of the US-China trade war,’ Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association first vice-president Mohammad Hatem told New Age on Thursday. He said that the export growth to the US market was satisfactory until the first half of 2019 but it declined in the second half of the year. Hatem said that the export growth of Vietnam and Cambodia, two competing countries of Bangladesh, to the US were much higher than Bangladesh as they grabbed most of the business shifted from China due to the trade war. He expressed his worry over the competitiveness eroding of Bangladesh due to increasing production cost and overvalued local currency and said that export might decline more in the coming months. Although the US import of apparel from China declined by 9.10 per cent in 2019, the import still remained the highest. The US apparel import from China in 2019 decreased to $24.88 billion  from $27.37 billion in 2018. Vietnam’s RMG export to the US in 2019 grew by 11.01 per cent to $13.56 billion from $12.22 billion in 2018, the OTEXA data showed. The US apparel import from India in 2019 stood at $4.06 billion with a 6.80-per cent growth while the import from Indonesia fell by 1.68 per cent to $4.40 billion in the year. Apparel exports of Cambodia in 2019 grew by 11.29 per cent to $2.68 billion while the exports of Mexico to the US in the year fell by 6.49 per cent to $312 billion, the data showed.

Coronavirus outbreak: BD apparel makers eye surge in work orders

In recent years, China is losing its market share to its competitors in the global apparel market already hit by the trade war with the US.

Global apparel buyers, both existing and new, are thinking to relocate work orders to Bangladesh from China which has been badly hit by the outbreak of coronavirus. However, the opportunity is wider for the knitwear sector with a strong backward linkage industry.  In the last couple of days, Bangladeshi manufacturers and exporters of such goods have received an increased number of queries from the US and the European Union buyers, who are looking for alternative sources. In recent years, China is losing its market share to its competitors in the global apparel market already hit by the trade war with the US. New virus rubbed salt in the wound of previous business relocation as buyers are thinking now of alternative sourcing destinations. “One of my European buyers has started negotiating to shift its part of work orders from China to Bangladesh as it fears the virus may affect the supply chain,” Mohammad Hatem, managing director of MB Knit Fashion Ltd, told Dhaka Tribune.  “But they have wanted to know how we will ensure supply of fabrics, accessories and other raw materials as Bangladesh is highly dependent on China for raw material,” said Hatem.

ইইউর সঙ্গে ভিয়েতনামের মুক্তবাণিজ্য চুক্তিতে দুশ্চিন্তা বাংলাদেশে

মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সত্ত্বেও ভিয়েতনাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে একটি মুক্তবাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপের পার্লামেন্ট। ইভিএফটিএ নামের এ চুক্তির ফলে আগামী ১০ বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে প্রায় বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাবে ভিয়েতনাম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী সংসদীয় বাণিজ্য কমিটি গত মাসে এই চুক্তির পক্ষে সুপারিশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে এই চুক্তি অনুমোদন পায়। এতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প, এমন আশঙ্কার কথা বলছেন খাতটির উদ্যোক্তারা। মুক্তবাণিজ্য চুক্তিটি ইইউ ও ভিয়েতনামের মধ্যেকার ৯৯ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক দূর করবে। তাতে দুই দেশের কোম্পানির জন্য বাজার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে ভিয়েতনামে ইইউর ৬৫ শতাংশ পণ্যের রপ্তানি শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে। বাকি পণ্যের শুল্ক ১০ বছর ধরে ক্রমান্বয়ে কমবে। একইভাবে ইইউতে রপ্তানি হওয়া ভিয়েতনামের ৭১ শতাংশ পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার হয়ে যাবে শুরুতেই। বাকিটা হবে সাত বছরে ধাপে ধাপে। ইইউর হিসাবে বাণিজ্য চুক্তিটির ফলে ২০৩৫ সাল নাগাদ ইইউতে ভিয়েতনামের বার্ষিক রপ্তানি বেড়ে ১ হাজার ৫০০ কোটি ইউরোতে দাঁড়াবে। অন্যদিকে ভিয়েতনামে ইইউর রপ্তানি ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ২০০ কোটি ইউরোতে পৌঁছাবে। এ ছাড়া চুক্তির ফলে ২০২৫ সাল নাগাদ ভিয়েতনামের জিডিপি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে দেশটির পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়। ইভিএফটিএ নিয়ে ভিয়েতনাম ও ইইউ নিজেদের লাভ-লোকসান হিসাব–নিকাশ করলেও চুক্তিটির বিরোধিতা করে আসছিল বেশ কিছু এনজিও। ২৮টি এনজিওর একটি গ্রুপ ইইউ আইনপ্রণেতাদের বলেছে, শ্রম ও মানবাধিকার রক্ষায় ভিয়েতনাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত চুক্তিটি স্থগিত করা উচিত। তবে গতকাল পার্লামেন্টে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল চুক্তিতে সমর্থন করেছে। চুক্তিটি কার্যকরে ইইউ কাউন্সিলের ও ইইউ সদস্য ২৭ দেশেরও অনুমোদন লাগবে। অবশ্য অতীতে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় ভিয়েতনামের কাছে শ্রম ও পরিবেশ মানদণ্ডের দাবি করেছে ইইউ। তবে শ্রম মানদণ্ড নির্ধারণে খুব একটা আগ্রহী নয় ভিয়েতনাম। তারপরও ইউরোপের পার্লামেন্টে অনুমোদন পেয়েছে এই চুক্তি। গত ২০ বছরে অসংখ্য মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করেছে ভিয়েতনাম। তাদের রপ্তানিমুখী অর্থনীতি বছরের পর বছর ধরে মুক্তবাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প ভিয়েতনাম বিশ্বের অন্যতম উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর একটি। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশ। ভিয়েতনাম ইইউভুক্ত দেশে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি, খাদ্য ও পোশাক রপ্তানি করে। অন্যদিকে ইইউর দেশগুলোর রপ্তানি পণ্যের তালিকায় আছে যন্ত্রপাতি, পরিবহন সরঞ্জাম, রাসায়নিক এবং কৃষিপণ্য।

বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা

অগ্রাধিকারমূলক বাজার–সুবিধা বা জিএসপির কারণে ইইউ হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় গন্তব্য। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ২ হাজার ১১৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। তার মানে বাংলাদেশি পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ইইউতে গিয়েছে। তবে ইভিএফটিএ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের মতো শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে ভিয়েতনামের তৈরি পোশাকও। সেটিকেই বড় দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। কয়েক মাস আগেই তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলেছে, ইইউতে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশের ১২ শতাংশ ও ভিয়েতনামের ১১ শতাংশ তৈরি পোশাক একই রকম। চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব পণ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। আবার ধাপে ধাপে শুল্কমুক্ত হওয়ায় ৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পণ্যও ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পড়ে যাবে। জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তিটির কারণে ভিয়েতনাম ইইউতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম–অবস্থানে চলে এল, যা বাংলাদেশের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। কারণ, এত দিন ভিয়েতনামকে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পোশাক রপ্তানি করতে হতো। চুক্তি কার্যকর হলে সেটি আর লাগবে না। অন্যদিকে বাংলাদেশ ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছালে ২০২৭ সাল থেকে ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা আর থাকবে না। কিন্তু ভিয়েতনামের ওটা থাকবে। তাই বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটা এখন অনেক বড়। বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘ভিয়েতনাম ও ইইউর চুক্তি আমাদের জন্য সতর্কবার্তা। কারণ, বর্তমানে আমাদের বড় প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ইইউতে আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘পোশাকশিল্পে বর্তমানে খারাপ সময় যাচ্ছে। তাই ইভিএফটিএ চুক্তির পর আমাদের বাড়তি সতর্কতা দরকার। ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দ্রুত আমাদের করণীয় ঠিক করে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

কম্বোডিয়ার জিএসপিতে থাবা

গত বুধবার মানবাধিকার ইস্যুতে কম্বোডিয়ার বাণিজ্যসুবিধা কমিয়ে দিয়েছে ইইউ। তারা বলেছে, কম্বোডিয়াকে দেওয়া অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যসুবিধা জিএসপি আংশিক স্থগিত করা হবে। এতে ইউতে দেশটির ২০ শতাংশ রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইইউর পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে, মানবাধিকার নষ্ট হচ্ছে, এমন কিছুর পাশে ইইউ দাঁড়াবে না। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার শক্তিশালী বিরোধীদলীয় নেতা হুন সেন বলেন, ইইউর সমালোচনার মুখে এই দেশ মাথা নত করবে না। আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ইইউর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার আছে। কারণ, শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যই তাদের জিএসপির আংশিক বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা থেকে আমরা বুঝতে পারি, এসব বিষয়ে আমরা যদি সাবধান না হই, তাহলে আকস্মিক খড়্গ নেমে আসতে পারে।’

Apparel makers want extra prices for clothing manufactured in green factories

They also urged the buyers to consider the sustainable manufacturing units, which are complaints and green, as commercial investment to ensure their continued sustainability

The country’s apparel makers on Tuesday called upon global brands to offer better prices for clothing items produced in the environment-friendly green factories.They also urged the buyers to consider the sustainable manufacturing units, which are complaints and green, as commercial investment to ensure their continued sustainability. RMG makers made the call at the Partnership for Cleaner Textile (PaCT ) 2020 annual meet held at a local hotel in the capital.International Finance Corporation (IFC), a member of the World Bank Group, organized the event. IFC played a major role in the formation of PaCT that consists of local apparel makers, buyers and other stakeholders.“The global apparel buyers do not even pay an extra cent for sourcing products from green garment factories”, said KM Rezaul Hasanat, chairman of Viyellatex Group.Viyellatex Group is the first recipient of green garment factory certificate in the country.“I now regret making my factories green,” he lamented.MA Jabbar, managing director of DBL Group, said if all initiatives for remodeling factories into green ones were considered commercial, than the move would be sustainable. Bangladesh’s RMG sector, a $34 billion industry, has taken the lead in green manufacturing as it has established 108 eco-friendly green buildings, the highest in the world, which approved by the US Green Building Council (USGBC).The panel discussions focused on issues such as low-carbon opportunities in the textile industry. Panelists also highlighted how emerging consumer behavior and choice are now shaping the global apparel market.

চীনের বাইরে নজর দিচ্ছেন পশ্চিমা পোশাক ক্রেতারা

সাধারণত বছরের এই সময়ে, পশ্চিমা বাজারের ক্রেতারা পোশাক রফতানিকারকদের সঙ্গে পরবর্তী মৌসুমের আলোচনার জন্য চীনে ভ্রমণ করে থাকে। কিন্তু এবার নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সিংহভাগ ক্রেতাকে চীনে সফর বাতিল করতে দেখা যাচ্ছে। চীনের বদলে পশ্চিমা ক্রেতারা অন্যান্য দেশের রফতানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করতে শুরু করেছে, যার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি ভারতও রয়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। চীনা ভাইরাস ইস্যুর কারণে চলতি বছর তৈরি টেক্সটাইল পণ্য, পোশাক ও বস্ত্র রফতানি অন্তত ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান টি রাজকুমার।  কিন্তু এর বিপরীত সুর শোনা যাচ্ছে ভারতের রফতানিকারকদের কণ্ঠে। প্রতিযোগিতার দামের সঙ্গে তাল মেলানো সম্ভব না হওয়ায় পশ্চিমা ক্রেতাদের এ ধরনের অনুসন্ধানগুলোকে কার্যাদেশ পরিণত করার মতো অবস্থানে তারা নেই বলে রফতানিকারকরা জানাচ্ছে। দেখা গেছে, মেড-ইন-ইন্ডিয়ার পণ্যগুলো সাধারণত বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় ১০-১৫ শতাংশ বেশি ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। এর বাইরে বেশকিছু রফতানিকারক ইউনিটের জন্য একটি বড় সমস্যা হলো, এ মুহূর্তে তারা চীন থেকে আনুষঙ্গিক পণ্য আমদানি করতে পারছে না। চীনে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায়, বহু টেক্সটাইল কারখানা তাদের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। ফলে বস্ত্র ও কাঁচামাল উভয় খাতের রফতানিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে ভারতের মতো এর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোও বস্ত্র শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্যাপকভাবে চীনের ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে ভারত সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ও কিছু কর সুবিধা পেলে দেশটির পক্ষে এসব ঘাটতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।  এদিকে তৈরি পণ্য ও পোশাক খাতে মার্চেন্ডাইজ এক্সপোর্টস ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিমের (এমইআইএস) আওতায় যে ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল, তা সম্প্রতি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। ভারতের পোশাক শিল্পের অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী ও মুম্বাইভিত্তিক ক্লথিং ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট রাহুল মেহতা বলেন, আমাদের বর্তমান অবকাঠামো ও মূল্য কাঠামো রয়েছে, তাতে বলা যায় আমরা পশ্চিমা ক্রেতাদের অনুসন্ধানের সুবিধা নেয়ার মতো অবস্থানে নেই। এটা সত্যি, আনুষঙ্গিক সরবরাহ প্রভাবিত হবে, তবে সেটাও নিকট ভবিষ্যতে নয়। ভারতীয় ম্যানুফ্যাকচারারসরা চীন থেকে যে আনুষঙ্গিক পণ্য ক্রয় করত, তা থমকে রয়েছে। চীনের নববর্ষের পর এখনো সরবরাহ শুরু হয়নি এবং সবগুলো ইউনিট বন্ধ। এ প্রসঙ্গে তিরুপুর এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিআর বিজয়াকুমার বলেন, এ পরিস্থিতি প্রকৃতপক্ষে গ্রাহকদের কাছে আমাদের সরবরাহে প্রভাব ফেলবে। এখন আমাদের স্থানীয় উৎসগুলোর সহায়তা নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। কিন্তু তাত্ক্ষণিকভাবে পণ্য তৈরি ও গুণগত মান রক্ষা করা আমাদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়বে। উল্লেখ্য, প্রায় ১০ শতাংশ বস্ত্র ও ২০ শতাংশ আনুষঙ্গিক পণ্য চীন থেকে আমদানি করে ভারত। অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্কলন অনুসারে, ভারতের গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো চীন থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি রুপির আনুষঙ্গিক (বোতাম, জিপ, হ্যাঙ্গার, সুই, প্রভৃতি) আমদানি করে থাকে। যা স্থানীয় উৎস বা অন্যান্য দেশের আমদানি থেকে ৪০-৫০ শতাংশ সস্তা হয়। চীন থেকে এত বিপুল পরিমাণ আমদানি এখন ভারতের পোশাক শিল্পের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এস্তে এক্সপোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টি তিরুকুমারণ। তিনি বলেন, চীন যদি দ্রুত কারখানা চালু না করে, তবে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ব। এর আগে ২০০৩ সালে চীনে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় পোশাক শিল্পে এত উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি বলে মনে করছেন ভারতের এক নেতৃস্থানীয় রফতানিকারক। কিন্তু এবার পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না এলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

Coronavirus impact: Disruption in supply chain worries garment exporters

Bangladesh’s clothing industry is likely to be seriously affected by the impact of coronavirus as the country imports almost half its raw materials requirement for the sector, exporters say. They said the sector is facing uncertainties as the death toll from the novel virus exceeded 900 on Monday. The country imported textiles and other raw materials from China worth $5.02 billion during fiscal year 2018-19, according to the lobby group Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association, or BGMEA. Besides, about 40 per cent of the capital machinery and spare parts for the textile and garment industry comes from China, whose Wuhan city was the epicenter for viral infection. Garment export contributed 84.21 per cent to Bangladesh’s total exports income of $40.53 billion in the last fiscal. Total garment exports amounted to $34.13 billion posting an 11.49 per cent growth during the period, the state-run Export Promotion Bureau (EPB) data shows. In contrast, Bangladesh’s total raw materials and other imports from China totalled $13.65 billion last fiscal. Former BGMEA president Siddiqur Rahman told the FE that exporters are worried about the garment shipments as China is the country’s biggest raw material supplier. “If the coronavirus epidemic lingers on in China, Bangladesh’s apparel production will definitely be affected,” he added.The opening of letters of credit (L/Cs) for raw materials import from China has been affected, Mr Rahman said. He said, “Buyers from the US and the EU are not travelling to Asian countries, including Bangladesh. We are also not visiting Hong Kong and China. So, the business is almost going to be stagnant.” BGMEA president Dr Rubana Huq told the FE that the coronavirus crisis has become a concern for the textile and RMG industry in Bangladesh since “we source a significant amount of our raw materials from China.” “While we are deeply sympathetic to the people of China…, it seems the deepening crisis and continued shutdown of facilities in China would have some disruption in our supply chain.” Dr Huq expressed the fear that the impact would be severe for sweater and woven sub-sectors. “The Chinese holidays have been extended for seven days… if the crisis persists, it will lead us to an irrevocable disaster of the supply chain.” The waiting time of vessels berthing has come down to zero from 4-5 days during mid-January, she said, sensing a slowdown in imports has already started. “If the crisis prolongs, the impact would be severe and perhaps unmanageable,” the BGMEA chief said. Former lead economist at the World Bank Dr Zahid Hussain said the impact on Bangladesh’s garment sector could become severe in case of a lingering coronavirus crisis. He said the country’s woven garment is the most vulnerable to the impact as China is the main raw material supplier. “Bangladesh’s apparel export is already in the negative trajectory. When we need to overcome the sluggish export trend, the Chinese impact is going to make us vulnerable,” he added. Local apparel manufacturers should look for alternative raw materials suppliers like India and Pakistan for offsetting the China effects, Dr Hussain argued.

‘অপুষ্টির কারণে গার্মেন্টসে ২০ শতাংশ উৎপাদন কমছে’

বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৩৫ লাখ থেকে ৪২ লাখ শ্রমিক কাজ করেন; যাদের ৬০-৮০ শতাংশই হচ্ছেন নারী। সচেতনতার অভাব, খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে জ্ঞানের স্বল্পতা এবং সীমিত আয়ের কারণে এই শিল্পে নিয়োজিত অধিকাংশ শ্রমিক-ই পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে ৪৩ শতাংশ শ্রমিক দীর্ঘমেয়াদি অপুষ্টির শিকার। এতে পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের ২০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে।  রোববার (০৯ ফেব্রুযারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পোশাক শিল্পখাতে মৌলিক পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহ বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন।   অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য তুলে ধরে কর্মশালায় জানানো হয়, রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ আসে পোশাক শিল্প খাত থেকে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ২০১৮-১৯ অর্থবছর তথ্য অনুযায়ী, এ খাত থেকে দেশে মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ১১ দশমিক ৭ শতাংশ এসেছে। এ ধরনের বিকাশমান খাত হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে পোশাকশিল্প। এদিকে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অফিস (আইএলও) সমীক্ষা অনুযায়ী, অপর্যাপ্ত পুষ্টির কারণে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ২০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। আয়োজকরা বলেছেন, কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্যসমূহ, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবারের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি গার্মেন্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যবস্থাপকদের খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে করণীয় এবং তদারকি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের অবহিত করা। একই সঙ্গে  পোশাক শিল্পে এই কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া। 

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমফ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এর সহযোগিতায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- গেইন-এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার, জনস্বার্থ পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাম্প্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গেইন-এর পোর্টফোলিও লিড মনিরুজ্জামান বিপুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কে এম আলী আজম বলেন, মেধা ও মননকে কাজে লাগানো ও জ্ঞানের রূপান্তরের জন্য এ ধরনের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করছি, এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আপনারা মালিক ও শ্রমিক এই উভয় পক্ষের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারবেন।   অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেন ডা. রুদাবা খন্দকার। কর্মশালায় কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা বিভাগ। সোমবার (১০ ফ্রেবুয়ারি) কর্মশালার সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

গতবছর চাকরি গেছে সাড়ে ৩২ হাজার পোশাক শ্রমিকের

তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর আওতাধীন ৬৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গতবছর চাকরি হারিয়েছেন ৩২ হাজার ৫৮২ জন শ্রমিক।

আর নিটওয়্যার খাতের কোনো কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও এই এক বছরে এক হাজার ২৮০টি কারখানা ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বিকেএমইএর আওতাধীন ২ হাজার ২০০ কারখানার মধ্যে ৯২০টি কারখানা ২০১৯ সালে সদস্যপদ নবায়ন করেছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো সক্রিয় নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। রপ্তানি আদেশ পেলে কারখানাগুলো পুনরায় সক্রিয় হতে পারে।” আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানির দিক দিয়ে চীনের পরেই এখন বাংলাদেশের অবস্থান। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ খাতে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন, যাদের একটি বড় অংশ নারী।  ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাংলাদেশ ৩৪.১৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে, যা ছিল মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেই আয়ে ভাটা পড়েছে। জুলাই-জানুয়ারি সময়ে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৬.২১ শতাংশ, নিট পোশাক রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, আর উভেন পোশাক রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই নেতিবাচক ধারা কাটাতে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমানো, আয়কর প্রত্যাহার, বন্দরের জট কমানো, নগদ সহায়তা দেওয়ার মত একগুচ্ছ দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এর আগে বলেছিলেন, কাজ পাওয়ার জন্য রপ্তানিকারকদের দাম কমিয়ে দেওয়াও প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার একটি কারণ। লক্ষ্মীপুর-১ আসনের এমপি আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার সংসদে জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পেঁয়াজ সংগ্রহের মৌসুম। মৌসুম শুরু হলে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং মূল্য স্থিতিশীল হবে বলে ‘আশা করা যায়’। এই সংসদ সদস্যের আরেক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি জানান, গত বছর বারো মাসে ১৬৯ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলারের খাদ্যশস্য বাংলাদেশ রপ্তানি করছে। বিএনপির হারুনুর রশীদ ও সংরক্ষিত আসনের বেগম রত্না আহমেদের পৃথক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে ছয় লাখ ২৬ হাজার ৯৯১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।  এর বিপরীতে ২৭ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত দুই লাখ ৬১  হাজার ৩২৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। সেজন্য ৬৭৯ কোটি ৪৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আওয়ামী লীগের হাজী সেলিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের খাদ্য গুদামগুলোর মধ্যে ১৪৪টি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, যেগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৮৪ হাজার ২১০ মেট্রিক টন। সংরক্ষিত আসনের নাজমা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে এক কোটি ২৮ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৩ জন কর্মী কাজ নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গেছেন। নির্যাতন বা অন্যান্য কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০১৯ সালে মোট ৭১৭ জন নারী কর্মী ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে দেশে ঠিরেছেন বলে গণফোরামের মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নে জানান ইমরান আহমদ। আওয়ামী লীগের মনজুর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাক ফর গুড’ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫২ হাজার বাংলাদেশি গত ১ অগাস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে ফিরেছেন, যারা সেখানে অবৈধ অথবা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন।  সরকারি দলের হাজী সেলিমের প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান জানান, দেশে ১০টি শ্রম আদালত ও একটি শ্রম আপিল ট্র্যাইব্যুনাল রয়েছে। এসব আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৯ হাজার ৭৬৩টি।

ব্যাক টু ব্যাক এলসি ও বন্ডেড সুবিধার দাবি জানিয়েছে ডিসিসিআই

তৈরি পোশাক খাতের মতো দেশের সম্ভাবনাময় সব খাতের জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়িক সংগঠনটির নেতারা।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদের নেতৃত্বে সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক খাতের মতো দেশের সম্ভাবনাময় সব খাতের জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা প্রদান করা প্রয়োজন। তা না হলে সম্ভাবনাময় এসব খাতের দ্রুত বিকাশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

এ সময় শামস মাহমুদ সম্প্রতি প্রকাশিত ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আট ধাপ উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য সালমান এফ রহমানকে ধন্যবাদ জানান। দেশে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুততম সময়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু, বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধন ও দ্রুততর কার্যকর করার প্রস্তাব রাখেন তিনি।

এছাড়া তিনি দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে প্রতিযোগী দেশগুলোর মতো অবকাঠামো খাতে জিডিপির ৬-৮ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি এ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য বন্ড মার্কেট উন্নয়ন, বন্ড ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং গ্রিন ফিল্ড অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে বাজার সম্প্রসারণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করার জন্য অর্থনৈতিক কূটনীতি আরো শক্তিশালী করা, বন্দরের কার্যক্রমকে দ্রুত ও সহজ করার প্রস্তাব করেন। তিনি বিদ্যমান কোম্পানি আইনে ঋণ গ্রহণে পরিচালকের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বিলোপ, কোম্পানির বিলোপ, একীভূতকরণ, কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি, বিশেষত ই-ভোটিং, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসা পরিচালনা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নে সরকার বেশকিছু কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। ব্যবসা পরিচালনার সূচকে উন্নতি করতে হলে শুধু সংস্কার কার্যক্রম চলালেই হবে না। এর সুবিধা ব্যবসায়ীদের দোরগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে করপোরেট করহার কমানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে কৃষি, চামড়া, তথ্যপ্রযুক্তিসহ অন্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে তৈরি পোশাক খাতের মতো ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে। এটা এসব খাতের জন্য প্রয়োজনীয় একটি দাবি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এনকেএ মবিন, এফসিএ, এফসিএস, সহসভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, পরিচালক ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, আন্দালিব হাসান, নূহের লতিফ খান, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, আশরাফ আহমেদ, আরমান হক, মো. জিয়া উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জোহা চৌধুরী, এসএম জিল্লুর রহমান, এনামুল হক পাটোয়ারী, মনোয়ার হোসেন, মো. শাহীদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

RMG BANGLADESH NEWS