fbpx
Home Blog Page 59

আমেরিকায় বাংলাদেশের একটি পোশাক বিক্রি হয় ১০০ ডলারে, শ্রমিকের মাসিক বেতন তারও কম

২৮ বছর বয়সী নাইম প্রামাণিক বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশ্রমিক। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে বেকার হয়ে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁর অপরাধ, তিনি ন্যায্য মজুরি দাবি করেছিলেন।

নাইমের মতো বাংলাদেশের লাখো গার্মেন্টস শ্রমিক দীর্ঘ এক দশক ধরে পশ্চিমা বিশ্বের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর জন্য দ্রুত ও দক্ষ হাতে পোশাক তৈরি করে যাচ্ছেন। টমি হিলফিগার ও জর্জ ব্র্যান্ডের পোশাক দেখিয়ে নাইম বলেন, ‘আমেরিকা-ইউরোপে আমাদের তৈরি করা কিছু পোশাকের প্রতিটি বিক্রি হয় ১০০ ডলারে। অথচ আমরা মাসেও ১০০ ডলারের বেশি বেতন পাই না।’

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে সাকল্যে ৪৮ বর্গফুটের এক বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকেন নাইম। সেখানেই তাঁর সঙ্গে কথা হয়। ভাতের প্রায় খালি পাতিল দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এই পাতিলে রান্না হওয়া ভাতই ছিল শেষ। এগুলো শেষ হলে খাওয়ার আর কিছু থাকবে না। খাবার জোগাতে হলে হয় আমাকে ধার করতে হবে, নয়তো ভিক্ষা করতে হবে।’

প্রায় ১৯ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ। ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার (২০৮ ডলার) টাকা করার দাবিতে গত মাসে দেশে ব্যাপক শ্রমিক বিক্ষোভ হয়; হাজারো শ্রমিক মাঠে নেমে আসেন। বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি হয়। নাইম প্রামাণিকও এই আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন।

বাংলাদেশের দারুণ অর্থনৈতিক উন্নতির পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে গার্মেন্টস শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দারুণ! দেশটি মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। জারা, ইউনিকলো, লিভাইজ ও এইচঅ্যান্ডএমের মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো—অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও তৈরি পোশাক খাতে কাজ করা লাখো শ্রমিকের দারিদ্র্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।

পাঁচ বছর আগে নির্ধারিত মজুরির চেয়ে মাত্র ৮ হাজার ৩০০ টাকা বেশি দাবি করেছেন শ্রমিকরা। নাইমের মতে, ৭৫ ডলার মাসিক মজুরি জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট নয়। তখন একটি গণমাধ্যমকে দাবি-দাওয়া নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন নাইম। সেই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছুদিন পরই তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এ বিষয়ে নাইম বলেন, ‘আমরা ন্যায্য দাবির আদায়ে রাস্তায় নেমেছিলাম এবং সে কারণেই আমার কারখানা আমাকে বরখাস্ত করেছিল।’ তবে নাইম প্রামাণিকের সাবেক কর্মস্থল ওয়্যার ম্যাগের মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তাঁকে বরখাস্ত করার কারণ হলো—তিনি টানা কয়েক দিন কাজে যোগ দেননি।’

চাকরি ছাড়ার সময় এককালীন ৬৭ হাজার টাকা পেয়েছিলেন নাইম প্রামাণিক। কিন্তু ঋণ শোধ করতেই ব্যয় হয়ে গেছে অধিকাংশ অর্থ। যে পরিমাণ অর্থ আছে তা দিয়ে তিনি আগামী মাসে বাসা ভাড়া দেবেন নাকি দৈনন্দিন ব্যয় মেটাবেন তা নিয়ে সন্দিহান।

নাইম প্রামাণিকের আয়ের বড় একটি অংশই চলে যায় সিরাজগঞ্জে তাঁর গ্রামের বাড়িতে। তিনি বলেন, বাসা ভাড়া ও ঋণ শোধের পর তাঁর হাতে আর কিছুই থাকে না। ফলে সন্তানদের প্রয়োজনীয় চাহিদাও পূরণ করতে পারেন না তিনি।

পল্লবীর যে বস্তিতে নাইম থাকেন, সেখানে আরও আটটি পরিবারের সঙ্গে মিলে রান্নাঘর ও টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। পোশাকশ্রমিকের জীবনযাত্রার মান কত নিম্ন হতে পারে তা বুঝাতে এএফপির প্রতিবেদকের উদ্দেশে নাইম বলেন, ‘স্রেফ আমার ঘরের দিকেই তাকান, এখানে কিছুই নেই। আমরা ঘুমাইও একটি ভাঙা বিছানায়।’
 
সরকারের নিয়োগ করা মজুরি বোর্ড গত মাসে ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু এই টাকায় বাসা ভাড়া, চিকিৎসা, খাদ্য ইত্যাদির ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে শ্রমিক সংগঠনগুলো এই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে।

আন্তর্জাতিক গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্লিন ক্লদস ক্যাম্পেইন এই ন্যূনতম মজুরি প্রসঙ্গে বলেছে, এই পরিমাণ অর্থও (২৩ হাজার) আসলে জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট নয়, তবে এই পরিমাণ অর্থ শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের সর্বনিম্ন পরিমাণ।

পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের পর শ্রমিক অধিকার সংগঠনগুলো আন্দোলন বন্ধ রেখেছে। তবে আগামী জানুয়ারির মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে তাঁরা আবারও মাঠে নামবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।

আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ধনিকশ্রেণিদের মধ্যে অন্যতম হলেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা এবং তাঁদের কয়েকজন আবার আইনপ্রণেতাও।

তবে নাইম প্রামাণিকই একমাত্র শ্রমিক নন, যাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, আন্দোলন-বিক্ষোভে যোগ দেওয়া শত শত শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রদীপ রায় (৩৮) বলেন, আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা এখন ‘সংস্কৃতিতে’ পরিণত হয়েছে। আন্দোলনে যোগ দিয়ে চাকরি হারানো একজন স্বামী পরিত্যক্তা নারী, যার এক সন্তানও আছে।

নিরাপত্তা হুমকির ভয়ে তিনি পরিচয় প্রকাশ করেননি। তখন তাঁর কাছে মাত্র ৪ ডলার বা ৫০০ টাকার মতো ছিল। এই নারী বলেন, ‘আমি জানি না, এই মাসটা আমি কীভাবে কাটাব। আমি জানি না, আমি কীভাবে আমার ছেলের যত্ন নেব…এদিকে বাসা ভাড়া দেওয়ার সময়ও ঘনিয়ে আসছে।’

বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ‘কারণ দেখছেন না’ পোশাকমালিকেরা

শ্রম অধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সব শর্তই মেনে চলছে। সুতরাং, এই কারণে বাংলাদেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নিট ও ওভেন খাতের পোশাকশিল্পের মালিকেরা।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় নিট পোশাক খাতের সংগঠন বিকেএমইএয়ের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম ও ওভেন পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএয়ের  প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান প্রায় একই সুরে এই মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, আমেরিকাসহ বহু দেশ এখনো শ্রমিকদের অধিকার প্রশ্নে ‘কোর বা ফান্ডামেন্টাল কনভেনশনালগুলো’ মেনে সই করেনি। অথচ আটটা শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ সবগুলোতেই সই করেছে। আমেরিকা সই করেছে মাত্র দুটো।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আইএলও কনভেশনে ট্রেড ইউনিয়নের কথা বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেই ১৯৭৪ সালে এটাতে সই করেছেন। আমেরিকা, চায়না, ভারত এবং আমাদের তৈরি পোশাকের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম এখনো আইএলও কনভেশনে সই করেনি।’

শ্রম অধিকার ইস্যুতে আমেরিকার কথা বলার ‘নৈতিক অধিকার’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই এই প্রশ্নে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা ডিউটি বাড়ানোর অধিকার নেই। তবে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো পদক্ষেপ যদি আমেরিকা নেয়, তাহলে বাংলাদেশ সরকারকে তা কূটনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। মালিকেরা সরকারের পাশে থাকবে।

বিজিএমইএয়ের সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা শ্রম আইন মানছি না- এটা সত্য না। আমরা কোনো শ্রম আইন লঙ্ঘন করিনি। এটা যাতে লঙ্ঘন না হয় সে নিয়ে কাজ করছি। শ্রম ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো কারণ নেই, সেটা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে আমেরিকার কংগ্রেস সদস্যরা পোশাকের মূল্য বাড়ানোর কথা বলেছেন। আমরা ৫৬ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করেছি। এখন ক্রেতাদের উচিত মূল্য বাড়ানো।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. সুবোধ দেবনাথ ও ড. মো. আবু ইউসুফ বক্তব্য রাখেন।

আবু ইউসুফ বলেন, ‘আমাদের বিশ্বের ১০টি শীর্ষ কারখানার মধ্যে ৯টিই বাংলাদেশে। সবুজ কারখানার ২০৬টি এখন আমাদের দেশে। তাহলে ক্রেতার কাছে সেটাকে সেভাবেই উপস্থাপন করতে হবে।’

ইইউর বাজারে নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে ছাড়াল বাংলাদেশ

নিট পোশাক রপ্তানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে চীনকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে বাজারটিতে সবচেয়ে বেশি নিট পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত নিট পোশাক ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ রপ্তানিকারকের অবস্থান অর্জন করলো বাংলাদেশ।

চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইইউর বাজারে বাংলাদেশ ১৩৩ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি করেছে, চীনের রপ্তানি ১৩১ কোটি কেজি। এর মধ্যে বাংলাদেশি ৫৭ কোটি কেজি নিট পোশাকে আয় ৯০০ কোটি ডলার। আর ৪৪ কোটি কেজি চীনের নিট পোশাকে আয় ৮৯৬ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ইইউ বাজারে ২০১৪ সাল থেকে ডেনিম পোশাক রপ্তানিতেও শীর্ষস্থানে আছে। যদিও চলতিবছর সামগ্রিক ভাবে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে চিনের চেয়ে বাংলাদেশের ৭৩০ কোটি ডলার পিছিয়ে আছে। News Sources : shodeshbidesh

বিজিএমইয়ের প্রথম চাকরি মেলা শুরু শনিবার

দেশের পোশাক শিল্পের মালিকদের বৃহৎ সংগঠন বিজিএমইএ প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ‘ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট-২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।

আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরায় ১৭ নম্বর সেক্টরে বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় এ ‘চাকরি মেলা’ অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল মঙ্গলবার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ তথ্য জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি এ সময় বলেন, উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্তই হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তাই আমরা শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী এ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট আয়োজন করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, এই ইভেন্টের লক্ষ্য হচ্ছে পোশাক শিল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং নেতৃস্থানীয় কোম্পানির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা এবং শিক্ষার্থীদের পোশাক শিল্প বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করা, যাতে করে তারা দক্ষতাসমৃদ্ধ হয়ে ক্যারিয়ারে সফল হতে পারে।

তিনি জানান, ২৩ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্টের উদ্বোধন হবে। ইভেন্টে ৪০টিরও বেশি স্বনামধন্য নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করবে। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল কলেজ, বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শেষ বর্ষের এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যারা পোশাক শিল্পে চাকরি করতে ইচ্ছুক, তাদের সবার জন্য এখানে অবারিতভাবে সিভি ড্রপ এবং অন স্পট ইন্টারভিউ প্রদানের সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, নতুন বছরে প্রতি মাসেই বিজিএমইএ এ ধরনের ক্যারিয়ার সামিট আয়োজন করবে।

বিজিএমইএ সভাপতি আরও জানান, ক্যারিয়ার সামিটে বিভিন্ন গ্লোবাল ব্র্যান্ড বা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের  প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ইভেন্ট চলাকালে তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করবেন। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিবেন। এই ইভেন্টটি সামগ্রিক শিল্প নিয়ে মতবিনিময় এবং অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতমূলক মনোভাব গড়ে তুলবে। 

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ক্যারিয়ার সামিট শিক্ষার্থী এবং নিয়োগদানকারী কোম্পানিগুলোকে একই ছাদের নিচে আনবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সম্ভাব্য সুযোগ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে। এই ইভেন্ট থেকে অংশগ্রহণকারী গ্রাজুয়েটরা জানবে বর্তমানে পোশাক শিল্পে চাকরির চাহিদা কেমন ধরনের এবং তারা সে অনুযায়ী নিজেরা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের দেশে অনেক গ্রাজুয়েট আছে, তারা এ বিষয়ে প্রকৃত ধারণা না থাকার কারণে যোগ্য স্থানে যেতে পারছে না। চাকরির বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাদের অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে।

ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প তার যাত্রাপথে অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে আজ ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বার্ষিক রপ্তানি টার্নওভারের শিল্পে পরিণত হয়েছে। জিডিপিতে ১১ শতাংশ অবদান রাখা পোশাক শিল্প প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ মিলে প্রায় ২ কোটির মানুষের জীবন-জীবিকা পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরশীল। পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি।

পোশাক শিল্পের দৃপ্ত পদচারণা, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৌরবময় পরিচিতি এনে দিয়েছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে আর্থসামাজিক প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে।

তিনি বলেন, গত ৪৫ বছরে, আমরা পোশাক ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছি। বিগত এক দশকে আমরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনন্য অগ্রগতি অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, এই সামিটের আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন অনুষদের ডিনরাও উপস্থিত থাকবেন। ফলে শিল্প-একাডেমিয়া সংযোগ তৈরিতে এই ইভেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে বৈচিত্র্যময় পণ্যগুলোতে যাওয়ার জন্য আমাদের সক্ষমতার উপর। আর এর জন্য উন্নত দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষার প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে শিল্পের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে এবং এ সংযোগে ব্যবহারিক শিক্ষাকে আরও নিবিড়ভাবে একীভূত করতে হবে। বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট ও ফেস্টের অন্যতম উদ্দেশ্যও এটি। আমি আশা করি, এই উদ্যোগটি অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, বিজিএমইএর পরিকল্পনা রয়েছে নতুন বছরে থেকে প্রতি মাসেই কোনো না কোনো সেন্টারে এ ধরনের ইভেন্ট আয়োজন করা। News Sources : khaborerkagoj

Bangladesh top knitwear source in EU markets for first time: BGMEA

Bangladesh has been ranked as the top source of knitwear, one of the two major for the European Union markets for the first time.

The robust performance can be attributed, in part, to strategic investments in higher value-added items, particularly in the active-wear segment.

Recent data from the European Union’s statistics agency, Eurostat, showed that Bangladesh has secured its position as the leading source of knitwear for the EU during the period of January to September 2023, said Faruque Hassan, president of Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), according to a press release, reports UNB.

Bangladesh’s knitwear imports to the EU surpassed those of any other country, both in terms of dollar value and weight, he said.

Over the nine-month span, the EU imported knitwear, which is one of the two major components of the worth a staggering $9 billion from Bangladesh, outpacing the imports from China, which stood at $8.96 billion. Additionally, in terms of weight, Bangladesh exported 571 million kilogramme (KG) of knitwear to the EU, compared to China’s 442 million KG. This significant achievement underscores Bangladesh’s dominance in the European knitwear market, said the BGMEA president.

The country’s duty-free, quota-free access to the EU for most products, under the Everything But Arms scheme, has undoubtedly contributed to the country’s competitive edge in the European market.

Despite the impressive volume and weight figures, it is worth noting that in terms of overall clothing imports, China still holds the lead, with the EU importing 1.33 billion kilogrammes of clothing from Bangladesh and 1.31 billion kilogrammes from China in 2022, said Faruque.

Bangladesh’s success extends beyond knitwear, as it also stands out in other apparel categories. Notably, Bangladesh has been the global leader in EU denim sourcing since 2014, followed by Turkey and Pakistan. In 2020, Bangladesh topped the list of sourcing countries for denim in the US, surpassing Mexico by a significant margin, the release also said.

While the nation briefly lost its top spot in cotton apparel exports to the USA to Vietnam in the second half of 2023, Bangladesh remains a formidable player, securing a 14.55 per cent share of the US cotton apparel market valued at $47.50 billion in 2022. Industry insiders are optimistic that Bangladesh will reclaim its position in the cotton apparel category in the US market by the end of the next year.

The success in the EU knitwear market and other apparel categories solidify Bangladesh’s standing as a major player in the global textile industry, with strategic investments and favourable trade schemes propelling the nation to new heights in the competitive international marketplace, added the BGMEA president in his statement circulated in the press.

পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে বাংলাদেশ

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে গেছে বাংলাদেশ। দাম ও পরিমাণ, উভয় ক্ষেত্রেই এখন ইইউতে শীর্ষ নিট পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশ। ইইউ’র পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাট সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইইউ’র পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ) এ তথ্য জানিয়েছে। বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে বাংলাদেশ থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলো ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের নিট পোশাক নিয়েছে। একই সময়ে চীন থেকে তারা ৮৯৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক আমদানি করে। বছরের ৯ মাস বিবেচনায় এই প্রথমবারের মতো ইইউতে বাংলাদেশের নিট পোশাক রপ্তানি চীনকে ছাড়িয়ে গেল। একই সঙ্গে পরিমাণের দিক থেকেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ৯ মাসে ইইউ বাংলাদেশ থেকে ৫৭ কোটি ১০ লাখ কেজি নিট পোশাক আমদানি করেছে। একই সময়ে চীন থেকে তাদের আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৪ কোটি ২০ লাখ কেজি। বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান সোমবার এক চিঠির মাধ্যমে সংগঠনটির সদস্য ও সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। চিঠিতে তিনি বলেন, গত বছর ইইউতে পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশ নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত বছর ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৩৩ কোটি কেজি। একই সময়ে ইইউতে চীনের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৩১ কোটি কেজি। ওই বছর ইইউতে বাংলাদেশ ৭৩০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল, যা ছিল চীনের চেয়ে কম। কিন্তু এ বছরের প্রথম ৯ মাসে প্রথমবারের মতো নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে টপকে গেছে বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয়। বিজিএমইএ সভাপতি তার চিঠিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোয় আরও কিছু তৈরি পোশাকপণ্যে নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ কয়েকটি গন্তব্যের অন্যতম হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। এই বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়লে সামগ্রিকভাবে তা রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এদিকে, ইউরোস্ট্যাটের তথ্য মতে, নিট রপ্তানিতে বাংলাদেশ চীনকে টপকে ইইউতে শীর্ষ স্থান দখল করলেও সামগ্রিক পোশাক রপ্তানিতে চীন এখনো শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ইইউতে চীনের সামগ্রিক তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল পোশাকের মূল্যের দিক থেকে ১৮ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি; অন্যদিকে বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ১৪ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের তুলনায় চীন প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক বেশি রপ্তানি করেছে। জানা গেছে, গত বছরেও বাংলাদেশ নিট পোশাকের পরিমাণের দিক থেকে চীনকে ছাড়িয়ে যায়। ২০২২ সালে ইইউতে পরিমাণের দিক থেকে মোট পোশাকের রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন কেজি। অন্যদিকে চীন রপ্তানি করেছে ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন কেজি পোশাক। পরিমাণের দিক দিয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করার পরও মূল্যের দিক থেকে বাংলাদেশ চীনের চেয়ে ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার কম রপ্তানি আয় করতে পেরেছে। News Sources : probashirdiganta

RMG wages now up, where is buyers’ support?

A new wage structure – which hiked a readymade garment worker’s minimum salary by 56.25 per cent – came into effect on December 1 this year after a hard-fought battle, but brands and buyers are yet to increase product prices citing global economic crisis as an excuse.

Some buyers said they will not be able to hike product prices until June next year. It should be noted that due to the minimum wage hike, gross salary of RMG factory employees and staff has increased by at least 28 per cent. The situation has put most exporters’ backs to the wall.

Industry insiders are blaming the buyers for not keeping their commitment, made during RMG workers’ demonstrations. Exporters are staring at massive losses for at least the next seven-eight months, at a time when they are already in a crisis due to global economic headwinds.

A number of factory owners said at the moment they are trying to devise a plan to pay the workers’ salary and other dues on time. The overall situation is made complicated by the fact that the costs of utilities and transportation have gone up, along with bank interest rates.

Throughout the last two years, western brands, buyers and Bangladesh’s development partners have been pressuring the Bangladesh government to raise workers’ wages, and assuring that they will continue to support the manufacturers in the implementation of new wages.

Speaking to The Business Post, Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) President Faruque Hassan, “We already implemented the new wage structure and workers will get the salary from January.

“It is now the buyers’ responsibility to support us by increasing product prices. It is a commitment they have made.”

Adding he will write to the buyers and brands to increase product prices, Faruque said, “As far as I know, no buyers have increased the prices as yet. But our average wages have increased by at least 30 per cent, and we have to pay those figures from December.”

When asked why the EU brands are refusing to pay ethical prices to Bangladeshi apparel exporters despite the country raising workers’ wages significantly, GSP EU’s External Action Service Director Paola Pampaloni said, “We are not entering this discussion.

“It is for Bangladesh to agree on the prices and wages. What is important for us is that there is a process, a consensus around important elements which are very important for all the stakeholders.”

A hard fought battle

On October 23, workers began protests seeking an increase in wages to help them tackle skyrocketing inflation. The demonstrations soon turned violent, and continued till November 12.

During the unrest, at least four workers were killed, hundreds got injured, while 26 factories were vandalised, and two were torched. Factory owners and police filed 43 cases against workers and trade union leaders, and 115 workers were sent to prison.

To tackle the situation, over a hundred factories were forced to close, and as the situation cooled down following police action, most of the closed factories resumed production from November 15.

Though most of the workers already secured bail from the court, seven are still in prison, trade unions claim.

The US state department, other major global stakeholders, as well as apparel sector brands condemned the “violence” against garment workers in Bangladesh who are demonstrating for an increase in the minimum wage.

These stakeholders asked to ensure a decent wage for nearly 4 million RMG workers.

Besides, leading fifteen US clothing brands wrote to Bangladesh’s Prime Minister Sheikh Hasina recommending a hike in minimum wages for RMG workers, to a figure that is sufficient to cover basic needs, provide discretionary income, and takes into account inflationary pressure.

These brands are Adidas, Gap Inc, Under Armour, Patagonia, Burton, Hugo Boss, Abercrombie & Fitch, Amer Sports, AEO Inc, Levi Strauss & Co, Lululemon, SanMar, KMD Brands, PVH Corp and Puma.

Buyers Office Representative Forum in Dhaka, also known as the Buyers Forum, had expressed dissatisfaction over the RMG workers’ unrest, and assured that they will keep supporting Bangladesh to implement the new wage structure through an increase in product prices.

After much deliberation, and violent protests from workers, the minimum wage board for the readymade garment (RMG) sector finalised Tk 12,500 as the lowest grade monthly salary on November 26, leaving in the lurch many workers who have been demanding at least Tk 23,000.

Leaders of trade unions claim that workers were not involved in the vandalisation of factories, and the police are harassing protestors to halt demonstrations.

The leaders also claimed that in the new wage structure, workers’ rights and demand have been completely ignored, and the board accepted only the owners’ proposal. To ensure a decent salary, trade unions still continue peaceful protests.

Buyers gone back on words

Although most of the western buyers raised their voices in support of increasing workers’ wages, and stated that the RMG sector wages are not enough to cover the workers’ costs of living.

But now, after the wages have been hiked, buyers are saying that it will not be possible to increase product prices in the coming months as their business is not going well.

Accusing the buyers of having double standards, industry insiders claimed that the buyers never practice ethical buying and pay less to the Bangladeshi apparel manufacturers compared to its major competitors such as China, Vietnam and Cambodia.

An export-oriented apparel maker, who makes goods for the world’s top brands mostly in the US and EU, told The Business Post, “Buyers are yet to increase the product prices by a single penny despite our implementation of the new wages.

“Some of them even confirmed that it is not possible to raise prices before June next year.”

Adding that he is booking less orders to reduce losses, the RMG factory owner said, “I am still knocking the buyers’ doors to readjust the prices a little bit, but they did not agree. One buyer said they are likely to reconsider in the next order if they are able to release stocks this Christmas.

“That means we will have to face losses for the next one year.”

Another apparel maker said, “Only LPP increased prices a little bit in recent times, though that is not enough. The rest of the buyers clearly said they are not in a good position to increase product prices as the brands are facing huge losses due to the ongoing global economic crisis.”

A winter clothes manufacturer, who is making goods for EU nations, said, “Due to the new wage structure, our wages rose by at least 28 per cent. The new wages are already effective. But we are making goods against previous rates.

“I have already booked the next five months’ orders, but buyers have not increased the prices. I cannot say anything to the media or the BGMEA due to the buyers’ restrictions. This is not an isolated situation.” News Sources : businesspostbd

চীনকে হটিয়ে ইইউতে নিট পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে বাংলাদেশ

চীন, ভারত, তুরস্ক ও ভিয়েতনামকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে নিট পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষস্থান দখল করেছে। রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। 

এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাস সময়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজিএমইএ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এ খবর দিয়েছে। 

এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে মোট ৯০০ কোটি ২৫ লাখ (৯ বিলিয়নের একটু বেশি) ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে। ওজনে রপ্তানি করা নিট পোশাকের পরিমাণ ৫৭ কোটি ১০ লাখ কেজি।

উল্লিখিত সময়ে চীন থেকে ইইউতে রপ্তানি করা ৪৪ কোটি ২০ লাখ কেজি নিট পোশাকের মূল্য দাঁড়ায় ৮৯৬ কোটি ডলার। তবে, ইইউতে ওভেন পোশাক রপ্তানিতে এখনো চীন শীর্ষে রয়েছে। বাংলাদেশের স্থান দ্বিতীয়।

গত বছর বাংলাদেশ থেকে ইইউতে নিট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০৩ কোটি ৩ লাখ কেজি। মূল্য ৭৩০ কোটি ডলার। ২০২২ সালের ১২ মাসের রপ্তানি বিচারে এ বছর নয় মাসেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। 

ইইউতে তৃতীয় স্থানে থাকা তুরস্কের রপ্তানির পরিমাণ ৪৬৪ কোটি ডলার। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য ১৭১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। শীর্ষ পঞ্চম স্থানে থাকা কম্বোডিয়া গত নয় মাসে ইইউতে রপ্তানি করেছে ১৫২ কোটি ৪১ লাখ ডলারের নিট পোশাক। ষষ্ঠ স্থানে ভিয়েতনাম। রপ্তানি করা নিট পোশাকের মূল্য ১২৪ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। News Sources : khaborerkagoj

ইইউতে নিট পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে বাংলাদেশ

জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে গেছে ৯ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক, চীন থেকে রপ্তানি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রথমবারের মত চীনকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাটের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ)।

প্রায় এক দশক ধরেই ইইউর বাজারে ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সাল মেক্সিকোকে পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও ডেনিম রপ্তানিতে শীর্ষস্থানটি বাংলাদেশ দখল করে নেয়।

চলতি বছরে আরেকটি অর্জনের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশে পোশাক খাতে। বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুতির পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে প্রথম শীর্ষে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ।

তবে জুলাই থেকে ভিয়েতনাম আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুতির পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়।

বৈশ্বিক মন্দার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পণ্যের ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ার কথা বলে আসছিলেন বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকরা। গত দুই মাস ধরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও হয়ে যাচ্ছিল নেতিবাচক। এমন পরিস্থিতিতে পোশাক রপ্তানির সূচকে এই ইতিবাচক খবর এল।

বিজিএমএইর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “ভলিউম বিবেচনায় ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ চীনকে প্রথমবারের মত পেছনে ফেলেছিল। নিট পোশাকের এই অর্জন সেই রেকর্ডকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।”

২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে এক দশমিক ৩৩ বিলিয়ন কেজি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। সেই বছর চীন থেকে রপ্তানি হয়েছিল এক দশমিক ৩১ বিলিয়ন কেজি। তবে দামের বিচারে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন, যা চীনের রপ্তানি মূল্যের চেয়েও একটু কম।

বিজিএমইএ জানায়, এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে নিটওয়ার সাব ক্যাটাগরিতে যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের হিসাবে নিটওয়ার খাতে পণ্যের পরিমাণ ও মূল্য দুই দিক থেকেই বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে রয়েছে।

এই নয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে; চীন থেকে রপ্তানি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারের।

একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৫৭১ মিলিয়ন কেজি এবং চীন থেকে ৪৪২ মিলিয়ন কেজি নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির চিত্র শক্তিশালী হচ্ছে। চলতি ২০২৩ সালে নিট পোশাক একটা উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছাল।

“এ ধরনের অর্জন বিশ্ববাজারে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুতার পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবে। এর কারণ হচ্ছে, সম্প্রতি নিট পোশাক খাতে দামি পণ্যে বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে ভালো করছে।” News Sources : bangla.bdnews24

Release due Tk4,000cr cash incentive for exporters by Dec: BKMEA to finance ministry

In a letter, signed by BKMEA Executive President Mohammad Hatem, issued by the organisation today (18 December), it requested that the funds be released this December.

The Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA) has written to the finance ministry to disburse the pending Tk4,000 crore in cash incentives kept for exporters within December.

In a letter, signed by BKMEA Executive President Mohammad Hatem, issued by the organisation today (18 December), it requested that the funds be released this December.

The request coincides with the hike in minimum wage of RMG workers to Tk12,500, which was approved last month.

“Amidst the struggles faced by the industrial sector due to global economic crisis, the abrupt rise in the wage structure in the garment sector poses a challenge for many garment owners. This situation raises concerns about the timely disbursement of salaries and allowances, potentially leading to possible unrest among workers,” reads the letter.

It also stated that the factory owners require special assistance from the finance ministry to address this issue.

The BKMEA letter also mentioned that the sector is grappling with pending claims exceeding Tk4,000 crore in cash assistance from Bangladesh Bank, plunging it into severe financial distress.

According to the official data, the government allocated cash incentives of Tk7,825 crore for the local exporters, except for those in the jute sector, in the national budget for FY23.

In April, apparel exporters urged the government to provide at least Tk1,500cr in advance cash incentives from the export subsidy fund, saying that factory owners need special support to pay workers’ wages and bonuses ahead of the Eid-ul-Fitr.

RMG BANGLADESH NEWS