Home বাংলা নিউজ পোশাক ও বস্ত্র খাতের সব যন্ত্রপাতি একসঙ্গে

পোশাক ও বস্ত্র খাতের সব যন্ত্রপাতি একসঙ্গে

হেলিকপ্টারের মতো বিরাট পাখাওয়ালা ফ্যান ঘুরছে। হাই ভলিউম লো স্পিড বা এইচভিএলএস নামের এই ফ্যান ৮০টি সাধারণ ফ্যানের সমান পরিমাণ বাতাস দিতে সক্ষম। বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এসব ফ্যান বর্তমানে অনেক পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে।

‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস মেশিনারি এক্সিবিশন (ডিটিজি)’ প্রদর্শনীতে সেরাফিক লিমিটেডের স্টলে গিয়ে দৈত্যাকার ফ্যানটির দেখা মিলল। যুক্তরাষ্ট্রের স্কাই ব্লেড ব্র্যান্ডের এইচভিএলএস ফ্যান বিক্রি করে তারা। একটি ফ্যানের দামই ৪ লাখ টাকা।

দাম শুনে চোখ কপালে উঠলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা রাকিবুর রহমানের দাবি, ফ্যানটি ব্যবহার করলে কারখানাগুলোই শেষ পর্যন্ত লাভবান হয়। কারণ, ৮০টি সাধারণ ফ্যানে ৮০ ওয়াট করে মোট ৬ দশমিক ৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। আর এইচভিএলএস ফ্যানে লাগে মাত্র ১ দশমিক ১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। তাই ফ্যানটি ব্যবহারে বছর শেষে বিদ্যুৎ বিল অনেক কম দিতে হয়।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার চার দিনব্যাপী ডিটিজি শুরু হয়েছে। এতে ৩৫ দেশের ১ হাজার ২০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সেলাই মেশিন থেকে শুরু করে স্পিনিং, উইভিং, ডাইং, প্রিন্টিং, ফিনিশিং, ওয়াশিং টেস্টিং, এমব্রয়ডারি, কুলিং যন্ত্র, বয়লারসহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করছে।

বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ, তাইওয়ানের চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনাল এবং হংকংয়ের ইয়োকার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি সম্মিলিতভাবে প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে। রোববার পর্যন্ত দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিটিএমএর সভাপতি তপন চৌধুরী বলেন, বস্ত্র খাতের অনেক ব্যবসায়ী কারখানা করে বসে আছেন। তবে গ্যাস নেই। টাকা জমা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে ব্যবসায়ীরা ঘুরছেন। বয়লারে সংযোগ দেওয়ার মতোও গ্যাস নেই। সে জন্য ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে কঠিন সময় পার করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির পরিকল্পনা করছে। কিন্তু সেটির দাম কত হবে। প্রতিযোগিতামূলক দামে কি পাওয়া যাবে—এ রকম অনেকগুলো প্রশ্ন আছে। এসব সরকারকে শুনতে হবে।

তপন চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা আমাদের পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে আর বলছে, বিনিয়োগ করো। বিনিয়োগ করো। কিন্তু বিনিয়োগটা করব কোথায়? গ্যাস নাই, বিদ্যুৎ নাই।’ তিনি আরও বলেন, প্রাইমারি টেক্সটাইল বা বস্ত্র খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিদেশ থেকে সুতা ও কাপড় আমদানি করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৫ হাজার কোটি ডলার অর্জন কখনোই সম্ভব না। সে জন্য সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ২০১৮ সালের পর দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা থাকবে না। তিনি বলেন, ‘আগামী অধিবেশনে বস্ত্র আইন সংসদে উঠবে।’