Home বাংলা নিউজ বস্ত্র আইন হতে পারে চলতি অধিবেশনেই

বস্ত্র আইন হতে পারে চলতি অধিবেশনেই

বস্ত্র খাতের উন্নয়নে খুব শিগগির নতুন একটি আইন হচ্ছে। বস্ত্র আইনটি আগামী মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। সেখানে অনুমোদন হলে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই এ আইনটি পাস হতে পারে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

বুধবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডেনিম শো ২০১৭-উইন্টার এডিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। সেমস গ্লোবাল ইউএসএ ও সিসিপিআইটি টেক্স চায়না যৌথভাবে এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

মির্জা আজম বলেন, ‘২০২১ সালের লক্ষ্য সামনে রেখে আমাদের দেশের সব সেক্টরেই গত সাত-আট বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এর মধ্যে বস্ত্র খাত একটি। দেশের বস্ত্র খাতের প্রসার বিশ্বব্যাপী হলেও আমাদের নিজস্ব কোনো আইন এত দিন ছিল না। কারণ আমাদের দেশে বস্ত্র খাতের সঙ্গে অনেক মানুষ জড়িত। তাই আমরা গত দুই-তিন বছর ধরে বস্ত্র আইন তৈরিতে কাজ করছি। আইনটির সব কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটি উত্থাপন করা হবে। সভায় অনুমোদন হয়ে গেলে আইনটি সংসদে উত্থাপন করা হবে। আশা করছি, চলতি অধিবেশনেই এটি পাস হয়ে যাবে। ’ বস্ত্র খাতের উন্নয়নে এ আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ চীনের কারিগরি সহায়তায় কাঁচা পাট থেকে ‘ভিসকস’ তৈরির জন্য কাজ করছি। ভিসকস তৈরির প্রথম কারখানা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। আশা করছি প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে এটা টেক্সটাইলের চেয়েও বেশি হবে। এ জন্য আমি দেশের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাচ্ছি এখানে বিনিয়োগ করতে। দেশের চাহিদা মোতাবেক ভিসকস তৈরি করতে হলে প্রতিবছর ১০ লাখ টন কাঁচাপাটের ব্যবহার করতে হবে। ”

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং বলেন, চীন বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চায়। চীনারা সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে বিনিয়োগে বেশ উৎসাহী হচ্ছে। আর বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় স্থান। সর্বশেষ বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ শতাংশ। আর চট্টগ্রামে চীনাদের জন্য যে ইকোনমিক জোন হচ্ছে, এর ফলে এ বিনিয়োগে আরো গতি আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ প্রদর্শনীতে ১৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এতে সব ধরনের সুতা, ডেনিম, নিটেড, ফেব্রিক্স, ফ্লিস, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফাইবার, এমব্রয়ডারি, বাটন, মতো পণ্যগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বোস, বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান প্রমুখ।