Home বাংলা নিউজ বিজিএমইএ’র ১২ দফা প্রস্তাব

বিজিএমইএ’র ১২ দফা প্রস্তাব

আগামী বাজেট

bgmea

গার্মেন্ট পণ্য রফতানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ, কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ হারে নির্ধারণের প্রস্তাব রেখেছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণসহ গার্মেন্ট কারখানার নিরাপত্তায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতি দেয়াসহ ১২টি প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাবনা রাখা হয়।

সূত্রমতে, আগামী ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এনবিআরের সঙ্গে বিজিএমইএ’র প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংগঠনটির নেতারা উৎসে কর কমিয়ে আনার জোরালো দাবি উপস্থাপন করবেন। বর্তমানে তৈরি পোশাক রফতানির ওপর শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ উৎসে কর ধার্য রয়েছে। এর আগে তা দশমিক ৬০ শতাংশ ধার্য ছিল। জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সরকার সব ধরনের রফতানি পণ্যের ওপর উৎসে কর শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দেড় শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে সুপারিশ করা উৎসে করহার মেনে নেননি ব্যবসায়ীরা। সে সময় তারা উৎসে কর কমানোর দাবিতে একাট্টা হন। শেষ পর্যন্ত বিজিএমইএ’র নেতারা প্রধানমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হন। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত ওই করহার দেড় শতাংশ থেকে কমিয়ে এবং শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ হারে নির্ধারণ করেন। চলতি অর্থবছরে ব্যবসায়ীরা এই হারে কর দিয়ে এলেও আগামী অর্থবছরে তা আরও কমানোর প্রস্তাব করেছেন। পাশাপাশি তারা এটিকে সর্বনিন্ম কর হিসেবে বিবেচনা না করে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করারও দাবি জানান। এ ছাড়া পোশাক খাতের কর্পোরেট কর বর্তমানে ২০ শতাংশ হারে ধার্য রয়েছে। সেটি কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সংগঠনটি বলছে, এ সুযোগ পেলে তা বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণসহ গার্মেন্ট কারখানার নিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতি দেয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজিএমইএ। বর্তমানে ফায়ার ডোর, স্প্রিঙ্কলারসহ বেশকিছু যন্ত্রপাতি আমদানিতে ৫ শতাংশ হারে শুল্ক রয়েছে। এসব খাতে শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদাভাবে আনতে হওয়ায় এইচএস কোডে (পণ্যের পরিচিতি নম্বর) জটিলতা তৈরি হয়।