Home Bangla Recent বাজারে গার্মেন্টস পণ্য সুলভে মেলায় পুরনো কাপড়ের ব্যবসায় ধস

বাজারে গার্মেন্টস পণ্য সুলভে মেলায় পুরনো কাপড়ের ব্যবসায় ধস

চট্টগ্রামের আমদানিকারকদের দাবি

keraniganj apparel business nosedives

দেশিয় বাজারে গার্মেন্টসের তৈরির পণ্যের সহজলভ্যতায় পুরাতন কাপড়ের চাহিদা কমে গেছে। ফলে পুরাতন কাপড় আমদানি ব্যবসায় একপ্রকার ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, বর্তমানে বছরে প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাপড় আমদানি হচ্ছে। অথচ এক সময় শত কোটি টাকার পুরনো কাপড় আমদানি হতো। দেশে গার্মেন্টস পণ্যে ব্যাপক চাহিদার কারণে ক্রমশ পুরানো কাপড়ের আমদানি কমছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এক সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে পুরানো শীতকালীন কাপড় আমদানি হতো। এখন শুধুমাত্র জাপান, তাইওয়ান ও কোরিয়া থেকে তা আমদানি হচ্ছে। পুরানো কাপড়ের মধ্যে মূলত রয়েছে সোয়েটার, প্যান্ট, জ্যাকেট, কম্বল, কোট ইত্যাদি। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে শীতের পুরানো কাপড়ে প্রধান বাজার দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা। কারণ এই অঞ্চলের শীতের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। ফলে কম দামের শীতের কাপড়ের বেশি চাহিদা থাকে এসব অঞ্চলে। এসব এলাকার পাইকারী বিক্রেতারা ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের আমদানি কারকদের কাছ থেকে কাপড় নিতে শুরু করেছে।

পুরানো কাপড় আমদানি কারক মোঃ নাছির উদ্দিন ইত্তেফাককে বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এলসি করা সব কাপড় দেশে পৌঁছবে। দামও এবার ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। পুরানো কাপড় আমদানি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তাই এর সাথে জড়িত অনেকেই ব্যবসা পরিবর্তন করেছে।’ তিনি জানান, দেশে গার্মেন্টসের বিভিন্ন ধরনে শীতের কাপড় তৈরি হচ্ছে। এসবের কারণে বাজারে পুরানো শীতকাপড়ের চাহিদা কমে গেছে।’

এক সময় চট্টগ্রামের জহুর হকার মার্কেট পুরনো কাপড়ের জন্য খ্যাতি ছিল। শীতের পুরানো কাপড় কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এই মার্কেটে ভীড় জমাতেন। বর্তমানে জহুর হকার মার্কেটের আগের সেই খ্যাতি নেই। এই মার্কেটে পশ্চিম পাশে ৩০/৪০টি পুরানো কাপড়ের খুচরা দোকান রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here