Home বাংলা নিউজ মনে হচ্ছে সরকার শ্রমিকদের মানুষই ভাবে না: জিএম কাদের

মনে হচ্ছে সরকার শ্রমিকদের মানুষই ভাবে না: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, মনে হচ্ছে সরকার শ্রমিকদের মানুষই ভাবে না। অপরিকল্পিত লকডাউনের নামে শ্রমিকদের প্রতি যে উদাসীনতা দেখানো হয়েছে তা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। সোমবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে এক বছরের মাথায় আবারও শ্রমিকদের হেঁটে, কয়েকগুণ বেশি খরচ করে রাজধানীতে ফিরতে হয়েছে। যেসব শ্রমিক দেশের সমৃদ্ধির জন্য অর্থনীতির চাকা সচল রাখে তাদের সঙ্গে অশোভন ও নির্মম আচরণ করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, গেল ২১ জুলাই কুরবানির ঈদের আগে ঈদের যাত্রী পরিবহণে গণপরিবহণ চলেছে মাত্র ২ দিন। আবার ঈদের একদিন পরই কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহণ। স্বল্প সময়ে গণপরিবহণে গাদাগাদি করে ঈদযাত্রায় চলাচল করেছে লাখো মানুষ। এ সময় পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ভিড়ে আটকে পড়ে আরও কয়েক লাখ মানুষ। আবার কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গেল ৩০ জুলাই হঠাৎ ঘোষণা হয় ১ অক্টোবর থেকে তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এমন ঘোষণায় স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তারা হেঁটে, রিকশা বা ভ্যানে অথবা ট্রাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীর পথে ছোটেন।

জিএম কাদের বলেন, শুধু কষ্ট নয়, কয়েকগুণ বেশি খরচ করতে হয়েছে চাকরি রক্ষার্থে। প্রতিটি ফেরিতে কয়েক হাজার মানুষ গাদাগাদি করে নদী পার হয়েছেন। এসব কারণে মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। বিপর্যয় এড়াতে সরকারিভাবে ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট সীমিত পরিসরে গণপরিবহণ চালু করে সরকার। গেল বছর এপ্রিল মাসেও লকডাউনের মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানা খুলে এমন নির্মম পরিহাস করা হয়েছিল শ্রমিকদের সঙ্গে। তখনো শ্রমিকরা হেঁটে, অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রাজধানীতে এসেছিল। গেল বছরের লকডাউন থেকে শিক্ষা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। মনে হচ্ছে সরকার শ্রমিকদের মানুষই ভাবে না।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, মহামারি নিয়ন্ত্রণে যেখানে প্রয়োজন পরিকল্পিত লকডাউন, শুধু কথার লকডাউন নয় ও ব্যাপক হারে গণটিকা কর্মসূচি। সেখানে দেখা যাচ্ছে সব ক্ষেত্রে চরম সমন্বয়হীনতা। সে কারণে কমছে না করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here