Home বাংলা নিউজ দেশের পরিবেশবান্ধব কারখানা বিশ্বে মডেল

দেশের পরিবেশবান্ধব কারখানা বিশ্বে মডেল

বর্তমানে বিশ্বে সবুজ কারখানার জনপ্রিয়তা ও প্রয়োজনীয়তা সমানুপাতিক হারে বাড়ছে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত ১৪৮টি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানা রয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ এবং আরো ৫০০টি কারখানা পাইপলাইনে আছে যারা শিগগিরই সনদপ্রাপ্ত হবে। সাধারণত সবুজ কারখানাগুলো সংশ্লিষ্ট সব রকম আন্তর্জাতিক নীতিমালা মেনে তৈরি করা হয়। এ ধরনের কারখানা স্থাপনের সময় জ্বালানি সাশ্রয়, পানি সাশ্রয়, বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ এবং সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সৌরবিদ্যুৎ উৎস, সেন্সরসহ লাইট, সাইকেল স্ট্যান্ড রাখা উল্লেখযোগ্য। পানি সাশ্রয়ের জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, ওয়াটার রিসাইক্লিং ব্যবস্থা, পানির অপচয় কমানোর জন্য সেন্সরসহ কল ও অত্যাধুনিক স্যানিটারি ফিটিংসের ব্যবহার অপরিহার্য। শুধু তাই নয়, একটি সবুজ কারখানায় অভ্যন্তরীণ বায়ুর মানমাত্রা এএসএইচআরএই মানদণ্ড অনুযায়ী বজায় রাখা হয়। এছাড়া কারখানার অভ্যন্তরে সহনীয় মাত্রায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা একজন শ্রমিকের সুস্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আমাদের দেশের উদ্যোক্তারাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ নিয়ে সচেতন হচ্ছে। সবুজ কারখানার মাধ্যমে শ্রমিকদের সঠিক কর্মপরিবেশ ও পরিবেশ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করা যায়। একটি সবুজ কারখানায় শক্তি ও পানির ব্যয় যথাক্রমে ২৪ ও ৫০ শতাংশ সাশ্রয় হয়। বিশ্বব্যাপী ভোক্তারাও এখন কম কার্বন ফুটপ্রিন্টসম্পন্ন পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী। তাছাড়া সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের ব্র্যান্ডভ্যালুও অনেক বেশি। সুতরাং একটি সবুজ কারখানা পরিবেশের মান রক্ষার পাশাপাশি কারখানার উৎপাদনশীলতা, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পোশাক শিল্পের সামগ্রিক ইমেজ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই উদ্যোক্তাদের মধ্যে সবুজ কারখানায় বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে।

একটি সবুজ কারখানার প্রাথমিক প্রয়োজন হলো শক্তি-দক্ষ ও টেকসই উৎপাদন, যা পরিবেশ ও ব্যবসায়িক স্বার্থকে ভারসাম্যপূর্ণ করে। সবুজ কারখানা স্থাপন করার সময় ইউএসজিবিসির সব ধরনের নীতিমালাকে প্রাধান্য দেয়া হয়। একটি কারখানাকে লিড সার্টিফাইড হওয়ার জন্য ইউএসজিবিসির নির্দেশিত ছয়টি নির্দিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম মান অর্জনের মাধ্যমে ইউএসজিবিসি থেকে সনদ গ্রহণ করতে হয়। যার মধ্যে রয়েছে টেকসই স্থান, দক্ষ পানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার, উন্নত কর্মপরিবেশ ইত্যাদি। কোনো কারখানা যদি এ মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয় তখন প্রদত্ত নম্বরের ভিত্তিতে কারখানাটি লিড সনদ অর্জন করে। যেমন যখন কোনো কারখানার বিল্ডিং ৮০ বা তদূর্ধ্ব পয়েন্ট পায়, তখন সেটি ইউজিতে লিড প্লাটিনাম বিল্ডিং হিসেবে সার্টিফায়েড করা হয় এবং একইভাবে ৭০ বা তদূর্ধ্বকে গোল্ড ও ৬০ বা তদূর্ধ্বকে সিলভার হিসেবে সার্টিফায়েড করা হয়। টেকসই ডিজাইন হচ্ছে সবুজ কারখানার মূলকথা। জ্বালানি সাশ্রয়, পানি সাশ্রয়, বাতাস চলাচল, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় সবুজ কারখানা নির্মাণের সময় গুরুত্ব পায়। এ প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক সম্পদকে সাশ্রয়ী উপায়ে ব্যবহার করে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১১০ নম্বরের মানদণ্ডে স্থাপনাটিকে মূল্যায়ন করা হয়।

একটি সবুজ কারখানার ভবন কাঠামো সম্পূর্ণভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এটি একটি সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের নিশ্চয়তা দেয়। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ও থার্মাল কমফোর্ট থাকায় শ্রমিকরা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে, যা পরোক্ষভাবে উৎপাদনক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া সবুজ কারখানা দীর্ঘমেয়াদে একটি সাধারণ কারখানা থেকে পরিচালনা ব্যয় কমিয়ে কারখানার প্রফিটেবিলিটি বৃদ্ধি করে। সবুজ কারখানাগুলো এমনভাবে বানানো যেন যেকোনো দুর্ঘটনা সুষ্ঠুভাবে মোকাবেলা করা যায় এবং শ্রমিকরা দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।

একটি সবুজ কারখানা স্থাপনা কিংবা সংস্কার করা অনেকাংশেই ব্যয়বহুল। একটি সবুজ কারখানা তৈরি করতে উন্নত প্রযুক্তির ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করতে হয়। যেমন ভিওসি ফ্রি পয়েন্ট, আরইউজি সার্টিফায়েড, এফএসসি সার্টিফায়েড, এএসএইচআরএই, এনার্জি স্টারসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য ব্যবহার করতে হয়। ফলে একটি সবুজ কারখানা স্থাপন করতে সাধারণ কারখানার তুলনায় অন্তত ২০-৩০ শতাংশ ব্যয় বেশি হয়। কিন্তু যেহেতু সবুজ কারখানা স্থাপন একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ, তাই এক্ষেত্রে বিনিয়োগ সবদিক বিবেচনায় লাভজনক। তাই আমাদের সবুজ অর্থায়নের নীতিমালা আরো সহজ করা উচিত।

ইউএসজিবিসির সবুজ কারখানার যে নীতিমালা সেখানে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশকে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সবুজ কারখানার মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য কাজ করার পরিবেশ আরো মনোরম হয়। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, উন্নত যন্ত্রপাতি ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার কারণে সবুজ অবকাঠামোতে শ্রমিকরা কাজ করতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের প্রথম ১০টি কারখানার ৯টি স্থান বাংলাদেশের দখলে। নিম্নের কারখানাগুলোর নাম ক্রমানুসারে লেখা হলো দ্বিতীয় স্থানে রেমি হোল্ডিংস, তৃতীয় স্থানে তারাশিমা অ্যাপারেলস, চতুর্থ স্থানে প্লামি ফ্যাশনস, পঞ্চম স্থানে মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, ষষ্ঠ স্থানে ভিন্টেজ ডেনিম স্টুডিও, এ আর জিন্স প্রডিউসার, কারুনি নিট কম্পোজিট, সপ্তম স্থানে ডিজাইনার ফ্যাশন, অষ্টম স্থানে গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড ইউনিট ৩ ও কেনপার্ক ২, নবম স্থানে কলম্বিয়া ওয়াশিং প্লান্ট, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ ফেব্রিক ডিভিশন ও কিউট ড্রেস ইন্ডাস্ট্রি ও দশম স্থানে ইকোটেক্স লিমিটেড। এই সবগুলো কারখানা ইউএসজিবিসির নীতিমালা অনুসরণ করে বানানো এবং সর্বোচ্চ পয়েন্ট প্রাপ্ত।

বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন এখন শিল্পায়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফলে সবুজ কারখানার অপরিহার্যতা আরো বেশি করে অনুভূত হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সবুজ কারখানা স্থাপিত হয়েছে এবং আরো ৫০০টির বেশি কারখানা পাইপলাইনে রয়েছে, যা থেকে আমরা বুঝতে পারি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় টিকে থাকতে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। আর তাই আগামী দিনগুলোতে টিকে থাকতে হলে পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলোই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এ সবুজ ও টেকসই অনুশীলনগুলোর কারণে সচেতন ক্রেতাদের কাছে আমাদের পণ্য আরো বেশি বিপণনযোগ্য হবে।

বাংলাদেশে রফতানিমুখী পোশাক শিল্প চার দশক ধরে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এই তৈরি পোশাক শিল্প দেশের ৪.৪ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ক্রমবর্ধমান এ শিল্পের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশগত উন্নয়নের বিষয়গুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী পরিবেশসংক্রান্ত সচেতনতা অনেক বেড়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে বিশ্বের নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পও নিজেদের উন্নয়নের মূলধারায় পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো ও প্রযুক্তির সমন্বয় সাধন করতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।

বিশ্ব অর্থনীতির আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সমান্তরালে অগ্রগামী আর টেকসই শিল্পায়নের জন্য পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো ও কর্মপরিবেশের বিকল্প নেই। শিল্প যুগের আগে পৃথিবীর তাপমাত্রা যা ছিল তা থেকে এখন অনেক বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা আরো ১.৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে বলে আইপিসিসি (ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) রিপোর্টে বলা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে সবাই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অবগত ও সচেতন। ক্রেতারা বিশেষ করে তরুণ ক্রেতারা পণ্য ক্রয়ের সময় ওই পণ্যের পরিবেশগত মান যেমন কার্বন ফুটপ্রিন্ট, ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট, ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট ইত্যাদি বিষয়ে অবগত হতে চান। সবাই এখন পরিবেশবান্ধব কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারে আগ্রহী। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পে সবুজ শিল্পায়নের গুরুত্ব অনেক অনেক বেশি। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু যে ক্রেতাগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করা যায় তাই নয়, ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড ইমেজ বিল্ডিংরে ক্ষেত্রেও পরিবেশবান্ধব শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। পাশাপাশি এর মাধ্যমে উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি করার নজিরও তৈরি হচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ইউএসজিবিসি (ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল) থেকে সনদপ্রাপ্ত ১৪৮টি লিড কারখানা আছে, যেখানে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের প্রথম ১০০টি লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ৪০টি বাংলাদেশে অবস্থিত এবং আরো ৫০০টি কারখানা লিড সার্টিফায়েড হওয়ার জন্য পাইপলাইনে আছে। একটা সবুজ কারখানা স্থাপন করতে সাধারণত স্বাভাবিকের চেয়ে ২০-৩০ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশে পোশাক শিল্প মালিকদের দৃঢ়তা ও আগ্রহের জন্য সবুজ শিল্পায়ন প্রতিষ্ঠায় সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি দায়িত্বের সঙ্গে টেকসইভাবে শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন নিশ্চিত করছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পোশাক শিল্পের প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে উৎপাদনের সময় পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই। তাই বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান আরো দৃঢ় করতে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো উন্নয়ন ও উৎপাদন ব্যবস্থায় গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিজিএমইএ এরই মধ্যে ইউএনএফসিসিসির (ইউনাইটেড ন্যাশন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) উদ্যোগ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি চার্টার ফর ক্লাইমেট অ্যাকশনে স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক শিল্প থেকে কার্বন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। পোশাক শিল্পে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ এবং এসআরইডিএর (সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সবুজ অবকাঠামো ও কারখানার সম্প্রসারণে অন্যতম একটি বড় বাধা অর্থায়ন। বড় কারখানাগুলো অর্থায়নের জন্য খুব একটা সংকটে না পড়লেও ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলোকে অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। যদিও দেশে সবুজ অর্থায়নের অনেকগুলো স্কিম চালু রয়েছে কিন্তু ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো সেই সুবিধা নিতে পারছে না।

বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও পোশাক শিল্পকে পরিবেশবান্ধব করার জন্য অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে। পরিবেশ বিপর্যয় রোধকল্পে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সবুজবান্ধব অবকাঠামোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। স্বল্প কার্বন ফুটপ্রিন্টসম্পন্ন পোশাক প্রস্তুত করে চলমান বিশ্বের চাহিদার জোগান দিতে বাংলাদেশের পোশাক খাত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ফারুক হাসান: প্রেসিডেন্ট, বিজিএমইএ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here