Home Blog Page 844

অগ্নিনিরাপত্তা ত্রুটিতে ৩৯% কারখানা

garment factory

দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। কারখানার ত্রুটি সংস্কারে নানা উদ্যোগও চলছে। তার পরও সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এ খাতের ৩৯ শতাংশ কারখানা অগ্নিনিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। শ্রম আইন অনুযায়ী দেশের শিল্প-কারখানার কর্ম ও শ্রম পরিবেশ নজরদারির দায়িত্ব শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের। সব খাতের কারখানাই নিয়মিত পরিদর্শন করেন অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা। আর কমপ্লায়েন্স ইস্যু বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি হয় পোশাক খাতের। অধিদপ্তরের তৈরি পরিদর্শন প্রতিবেদনেই ৩৯ শতাংশ কারখানায় অগ্নিনিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি উঠে এসেছে।

জানা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পরিদর্শন করা হয়েছে মোট ১ হাজার ২৩৬টি কারখানা। এর মধ্যে ৮১৬টি কারখানা পোশাক শিল্প মালিক সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য। আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য কারখানা ২৩৬টি। কোনো সংগঠনের সদস্য নয়, এমন কারখানার সংখ্যা ১৮৪। এর মধ্যে ৭৫৩টি বা ৬১ শতাংশ কারখানায় অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ব্যবস্থা আছে।

তথ্যমতে, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ৮১৬টি কারখানার মধ্যে ৫০৩টি বা ৬২ শতাংশে অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। এ হিসাবে বাকি ৩৮ শতাংশ কারখানায় অগ্নিনিরাপত্তা ত্রুটি রয়েছে। বিকেএমইএর সদস্য ২৩৬টি কারখানার ৮৩ শতাংশ বা ১৯৫টিতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও অনুপস্থিত বাকি ১৭ শতাংশ কারখানায়। সংগঠনের সদস্য নয়, এমন ১৮৪টি কারখানার ৫৫টি বা ৩০ শতাংশে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলেও বাকি ৭০ শতাংশ অগ্নিনিরাপত্তায় ত্রুটি রয়েছে। জানতে চাইলে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, এত দুর্ঘটনার পরও কেন অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ব্যবস্থার ঘাটতি আছে, কেন তারা এখনো ঘুমিয়ে আছেন— এর উত্তর সংশ্লিষ্ট মালিকরাই ভালো বলতে পারবেন। প্রতিবেদনে পরিদর্শনের ফলাফলটাই উঠে এসেছে। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসব অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিয়মিতভাবে নেয়া হয়।

২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনন্সে অগ্নিকাণ্ডের পর ২০১৩তে ঘটে রানা প্লাজা ধস। এ দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগে প্রায় আড়াই বছর ধরে চলছে পোশাক খাত মূল্যায়ন কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের আওতায় থাকা সাড়ে তিন হাজার কারখানার অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও স্থাপত্য ব্যবস্থার পরিদর্শন চলছে। ইউরোপভিত্তিক অ্যাকর্ড, উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্সসহ জাতীয় উদ্যোগের পরিদর্শনে কারখানায় অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও স্থাপত্য ব্যবস্থার ত্রুটি শনাক্ত হয়েছে। শুধু অ্যাকর্ডের প্রায় ১ হাজার ৫০০ কারখানায় শনাক্ত হওয়া অগ্নি-সংক্রান্ত ত্রুটি আছে ৩২ হাজার ৮৯৪টি। শনাক্ত হওয়া ত্রুটির সংশোধন কার্যক্রমও চলমান।

তবে এতসব কর্মযজ্ঞের পরও ত্রুটিপূর্ণ অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সরকারি অনুসন্ধানের সঙ্গে একমত নয় পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরকারি সংস্থার হিসাবের সঙ্গে আমি একমত নই। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের আওতায় থাকা কারখানাগুলোর অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শনাক্ত হওয়া ত্রুটির অধিকাংশই সংশোধন হয়েছে। জাতীয় উদ্যোগের আওতায় থাকা কারখানায় কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। এদিকে পোশাক শিল্পের নিট খাতের সংগঠন বিকেএমইএ সূত্র বলছে, অধিদপ্তরের পরিদর্শনে বিকেএমইএর যেসব কারখানায় ত্রুটি দেখা গেছে তাদের মধ্যে অনেকে সংগঠনের সদস্য হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি রফতানির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। তবে রফতানির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলেও কারখানায় অগ্নি-সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি থাকা যাবে না, সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিকেএমইএর সহসভাপতি মনসুর আহমেদ বলেন, অধিদপ্তরের পরিদর্শনে যে কারখানাগুলোয় ত্রুটি শনাক্ত হয়েছে, তারা সংগঠনের সদস্য হলেও বেশির ভাগই একসময় রফতানির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এখন তারা পরোক্ষ বা প্রচ্ছন্ন রফতানিকারক। সরাসরি রফতানির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন কোনো কারখানায় ত্রুটি থাকলে তারা বিকেএমইএ থেকে কোনো সেবা পায় না। তবে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে পরোক্ষ রফতানিকারকদেরও সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের বাধ্যবাধকতা আরোপের। অধিদপ্তরের মাসভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাইয়ে তারা ১৪৮টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ১১২টি বিজিএমইএর সদস্য। বিকেএমইএর সদস্য ২৩টি ও সংগঠনের সদস্য নয়, এমন কারখানা ১৩টি। এর মধ্যে ২৯ শতাংশ কারখানায় অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি পাওয়া গেছে। বিজিএমইএর ২৫ ও বিকেএমইএর ২৬ শতাংশ কারখানায় এ ত্রুটি পাওয়া গেছে।

শিল্পের তিন গর্ব এনভয়, রেমি ও প্লামি: পরিবেশবান্ধব কারখানা বাড়ছে দেশে

%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%ad%e0%a7%9f
ডেনিম বা জিনস কাপড় উৎপাদনে বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া পরিবেশবান্ধব বস্ত্রকল ময়মনসিংহের এনভয় টেক্সটাইল। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ (বাঁয়ে) কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম দেখছেন l

বস্ত্র ও পোশাক খাতের বিশ্বের সেরা তিন পরিবেশবান্ধব শিল্পের গর্ব এখন বাংলাদেশের। শিল্প তিনটি হলো এনভয় টেক্সটাইল, রেমি হোল্ডিংস ও প্লামি ফ্যাশনস। এর মধ্যে এনভয়ের কারখানাটি ময়মনসিংহে। বাকি দুটি নারায়ণগঞ্জে। সবুজ শিল্প হিসেবে বিশ্বের সেরার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এ তিনটি। এ তিন সবুজ শিল্পে মোট বিনিয়োগ ১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। যার মধ্যে এনভয় টেক্সটাইলের একক বিনিয়োগ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর রেমি হোল্ডিংস ও প্লামি ফ্যাশনসের বিনিয়োগ ১২০ কোটি টাকা করে ২৪০ কোটি টাকা।

বিশ্বে জিনস বা ডেনিম কাপড় উৎপাদন করার প্রথম পরিবেশবান্ধব কারখানা হচ্ছে এনভয় টেক্সটাইল। রেমি হোল্ডিংস, সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা এটি। প্লামি ফ্যাশনস, নিট পোশাক তৈরি করা বিশ্বের প্রথম পরিবেশবান্ধব কারখানা। দেশের বস্ত্র ও পোশাকশিল্পকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠান তিনটি।

রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করার চাপ তৈরি হয়। পরিবেশ রক্ষার তাগিদ অবশ্য তারও অনেক আগের। সেই প্রেক্ষাপটেই তৈরি পোশাকশিল্পের নতুন দিনের যাত্রা শুরু হয়েছে। কর্মপরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় জোর দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের খাতটির উদ্যোক্তা। বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা পিছিয়ে নেই। নতুন নতুন পরিবেশবান্ধব পোশাক ও বস্ত্র কারখানা নির্মিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের এসব পোশাক ও বস্ত্র কারখানা অন্য কারখানার চেয়ে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসাশ্রয়ী, কম কার্বন নিঃসরণকারী ও উৎপাদনশীলতা বেশি।

সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে ৩২টি পরিবেশবান্ধব স্থাপনা আছে। এর মধ্যে ৩০টি হচ্ছে তৈরি পোশাক, বস্ত্র ও ওয়াশিং কারখানা। নির্মাণাধীন আছে এক শতাধিক পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির বিশ্বে পোশাকশিল্পে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস।

%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%bf
কাজ তদারক করছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরান আলী l

তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। ভবন নির্মাণ শেষ হলে কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও আবেদন করা যায়।

ইউএসজিবিসির লিড সনদ পেতে নয়টি শর্ত পরিপালন করতে হয়। যেমন এমন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে হয়, যাতে কার্বন নিঃসরণ কম হয়। এ জন্য পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ইট, সিমেন্ট ও ইস্পাত লাগে। এ ছাড়া কারখানার ৫০০ বর্গমিটারের মধ্যে শ্রমিকদের বাসস্থান, স্কুল, বাজার, বাস বা টেম্পোস্ট্যান্ড থাকতে হয়। দূরত্ব বেশি হলে শ্রমিকদের গাড়িতে করে কারখানায় আসতে হবে। এতে করে জ্বালানি খরচের পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ বেশি হয়। এর বাইরে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সূর্যের আলো, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতি ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হয়। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি পানিসাশ্রয়ী কল লাগে। এ ছাড়া কারখানাসহ অন্য ভবন নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ খোলা জায়গা রাখার বাধ্যবাধকতা আছে। কারখানার ভেতরের কর্মপরিবেশ উন্নত ও অবশ্যই শ্রমবান্ধব হতে হয়। উৎপাদনের জন্য সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়।

১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউএসজিবিসি। সংস্থাটির অধীনে কলকারখানার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভবন, স্কুল, হাসপাতাল, বাড়ি, বিক্রয়কেন্দ্র, প্রার্থনাকেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপনা পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা যায়। বর্তমানে বিশ্বের ১৬১টি দেশে লিড সনদ পাওয়া স্থাপনার সংখ্যা ৭৯ হাজার ৬০০ প্রকল্প। এর মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি বর্গফুট জায়গা পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে উঠেছে।

লিড সনদের জন্য নয়টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ পয়েন্ট আছে। এর মধ্যে ৮০ পয়েন্টের ওপরে হলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পয়েন্টে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ পয়েন্টে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ পয়েন্ট হলে ‘লিড সার্টিফিকেট’ সনদ মেলে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩০ পোশাক, বস্ত্র ও ওয়াশিং কারখানা লিড সনদ পেয়েছে। এর মধ্যে প্লাটিনাম ১০ কারখানা, গোল্ড ১৪ কারখানা ও সিলভার ৫টি কারখানা। শুধু সনদ পেয়েছে ১টি কারখানা। কারখানার বাইরেও দুটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় পরিবেশবান্ধব ছাড়পত্র অর্জন করেছে।

২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব লিড প্লাটিনাম কারখানার ছাড়পত্র পায় ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও। ঈশ্বরদী ইপিজেডের এই কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান মৃধা। কুমিল্লা ইপিজেডে শ্রুতি টেক্সটাইল কারখানা লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে গত বছর। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদ রাশিদ। গাজীপুরের জেনেসিস ফ্যাশনস ও জেনেসিস ওয়াশিং লিড প্লাটিনাম সনদ পাওয়া কারখানা। এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আহমেদ। ওসমান ইন্টারলাইনিংস নামের লিড গোল্ড সনদ পাওয়া কারখানাটি ঢাকা ইপিজেডে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সাবরিনা ইসলাম। টঙ্গীতে নর্দান তসরিফা গ্রুপের তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানাটিও লিড গোল্ড সনদ পাওয়া। এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিম হাসান।

%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf
বিশ্বের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া নিট পোশাক কারখানা প্লামি ফ্যাশনসের শ্রমিকদের সঙ্গেই দিনের অধিকাংশ সময় কাটান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক l

বিশ্বের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া নিট পোশাক কারখানা প্লামি ফ্যাশনসের শ্রমিকদের সঙ্গেই দিনের অধিকাংশ সময় কাটান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক l

বিটপি গ্রুপের দুই কারখানার লিড প্লাটিনাম সনদ আছে—রেমি হোল্ডিংস ও তারাসিমা অ্যাপারেলস। গ্রুপের চেয়ারম্যান রেজা আলী। এসকিউ গ্রুপের তিনটি কারখানা লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে—এসকিউ বিরিকিনা, এসকিউ কোলব্লেনস ও এসকিউ সেলসিয়াস-২। তাদের লিড গোল্ড সনদ পাওয়া কারখানা এসকিউ সেলসিয়াস। গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক। এনভয় গ্রুপের এনভয় টেক্সটাইল লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ। চট্টগ্রাম ইপিজেডের রিজেন্সি গার্মেন্টস (ইউনিট-১) লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান। ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। ময়মনসিংহের এই কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ।

ধামরাইয়ে একেএইচ গ্রুপের একেএইচ ইকো অ্যাপারেলস লিড গোল্ড পাওয়া কারখানা। এই গ্রুপের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। হংকংভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এপিক গ্রুপের ইপিক গার্মেন্টস মেনুফ্যাকচারিং কারখানাটি লিড সিলভার সনদ অর্জন করেছে। কারখানাটি নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে। একই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আশুলিয়ার পার্ল গার্মেন্টসের লিড সিলভার ও সাভারের কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজের (সিআইপিএল) লিড সিলভার সনদ আছে। লিড প্লাটিনাম সনদ পাওয়া নারায়ণগঞ্জের প্লামি ফ্যাশনসের কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক।

চট্টগ্রাম ইপিজেডে শ্রীলঙ্কান প্রতিষ্ঠান ইউনিভোগ গার্মেন্টস কোম্পানির কারখানাটি লিড সিলভার মানের। গাজীপুরে ইপিলিয়ন গ্রুপের ইপিলিয়ন স্টাইল কারখানা লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন আল-মামুন। গাজীপুরে ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের ইকো কোটার কারখানাটি লিড গোল্ড সনদ অর্জন করেছে। গ্রুপের চেয়ারম্যান ডেভিড হাসনাত। হবিগঞ্জের সায়হাম নিট কম্পোজিট লিড সিলভার সনদ পাওয়া কারখানা। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাফকাত আহমেদ।

BEPZA launches family planning service for workers at Uttara EPZ

workers

Mujibur Rahman, ADC (Rev), Nilphamari, inaugurates the service at a medical centre at Uttara EPZ recently. Bangladesh Export Processing Zone Authority (BEPZA) has launched family planning (FP) service for workers at Uttara Export Processing Zone (EPZ) at Sholgolshi in Nilphamari paving the way for the workers of different factories to get FP materials and counseling on maternal and child health free of cost. This initiative of BEPZA is the first of its kind undertaken at all the eight EPZs in the country as it was long-cherished demand of the workers to set up such a centre, said a press release. Mujibur Rahman, ADC (Rev) on behalf of the deputy commissioner, Nilphamari inaugurated the service at the medical centre of Uttara EPZ at a ceremony held at the conference room of Uttara EPZ which was attended by the workers’ representatives, officials of different factories and Uttara EPZ officials.Besides, high officials of health and family planning  (FP) department and district administration along with local journalists were also present there. Tanvir Hossain, general manager (GM) of Uttara EPZ in his speech said that 63% workers of the EPZ are female and a good number of them is married. After 8-10 hours of duty with overtime, they usually do not get any opportunity to collect FP materials and advice from union health centres or community clinics to adopt birth control procedure. “We are concerned about the matter and responding to the necessities of the workers. BEPZA starts a FP service in the EPZ medical centre from today from where they could get useful service in all six working days except Friday,” the GM further said. BEPZA sources informed that the FP service centres would be launched in other EPZs of the country following its success at Uttara EPZ.

BB’s fund for textile, leather sectors

bb's fund for textile, leather sectors

Bangladesh Bank (BB) has established the Green Transformation Fund (GTF) to accelerate sustainable growth in export-oriented textile and leather sectors conducive to transformation of green economy in the country. “It has been decided to stipulate a provision for a participation agreement to be signed between Bangladesh Bank and intended ADs (Authorised Dealer) to further fortify the financing arrangement under GTF,” said a BB circular in Dhaka on Monday. ADs have to apply in written to general manager, sustainable finance department, Bangladesh Bank, head office to enter into the agreement. ADs are advised to take necessary initiatives for entering into participation agreement under GTF immediately.

Govt considers Tk 50b special fund to support jute millers

govt considers tk 50b special fund to support jute millers

The government has taken a plan to create a Tk 50 billion special fund with an aim to facilitate the country’s jute millers, officials said. A senior official of the Ministry of Textiles and Jute (MoTJ) told the FE, “Process is on to prepare a proposal in this regard on completion of which it would be sent to the Ministry of Finance and then to the Bangladesh Bank (BB).” The advisory committee on jute took the decision in its last meeting on September 20 with State Minister for Textiles and Jute Mirza Azam in the chair. “Garments and textile sectors can use fund from the existing EDF for importing their industrial raw materials. But the jute sector can’t get low-cost loan facility from the fund although the sector uses domestic raw materials,” a source in the Bangladesh Jute Mills Association (BJMA) said. He also said, “We at the meeting requested the authorities concerned to form a fund like the EDF. It is now imperative for the greater good of jute sector to create a fund of EDF’s kind with the same rate of interest.” Besides, Bangladesh Jute Mills Corporation (BJMC) has called for bringing down the interest rate to single digit replacing the existing double digit rate. The BB provides loan from the EDF to the exporters to help them import industrial raw materials with a view to manufacturing the exportable items. A BB official said the EDF was launched in 2005 with an initial size of $100 million which was later increased to the shape of $2.0 billion. He, however, informed a $300 million fund is available with the central bank at a low interest rate for importing capital machinery which the country’s jute sector can also utilize subject to issuance of a letter in this connection by the MoTJ. Earlier, the central bank initiated a re-financing scheme worth Tk 2.0 billion for jute sector, of which Tk 800 million still remains unutilized, another BB official said, adding that it is also possible to increase the re-financing fund after disbursing the existing fund. When asked, BJMA Vice-President Shaikh Akram Hossain told the FE on Monday that the government is relentlessly working for the development of the country’s jute sector. It has already taken different steps in this regard. He informed that a meeting was also held on Sunday at the Prime Minister’s Office (PMO) regarding the formation of the proposed fund. BJMA Secretary A Barik Khan said, “We have recently asked the government to form a low-cost fund for jute sector which is very import for the country’s overall economy.”

দক্ষতার ঘাটতিতে ৬০০ কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছেন বিদেশিরা: এনপিও ও এফবিসিসিআই

garment factory

দেশে দক্ষ জনশক্তির অভাব থাকায় বাংলাদেশ থেকে বছরে ৬০০ কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছেন বিদেশিরা। এ দেশে ব্যবস্থাপনা পদের জন্য লোকের অভাব হয় না। কিন্তু কারিগরি বিষয়ে দক্ষ কর্মী খুঁজলেও পাওয়া যায় না। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে এর পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের এক আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার তাগিদ দেন। ‘টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য’ শীর্ষক এ আলোচনা সভাটি গতকাল রোববার ঢাকার মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) ও বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর ক্ষুধার্ত মানুষের দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন আর হাত পাতার দেশ নয়। দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, শুধু শিক্ষিত জাতি গড়লেই হবে না। মেধা ও মননে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধনে কারিগরি জ্ঞানসমৃদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে দক্ষ কর্মীর ঘাটতির কারণে ৬০০ কোটি ডলার বিদেশে চলে যাওয়ার কথাটি উল্লেখ করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেন, একটি ব্যবস্থাপনা পদের জন্য বিজ্ঞাপনের বিপরীতে ২২ হাজার আবেদন পাওয়া যায়। কারিগরি পদের জন্য আবেদন পাওয়া যায় না। উল্লেখ্য, দেশের ব্যবসা ও শিল্প খাতে প্রচুরসংখ্যক ভারতীয়, শ্রীলঙ্কান ও পাকিস্তানি কর্মী কাজ করেন। মাতলুব আহমাদ বলেন, প্রতিবছর ২০ লাখ লোক কর্মবাজারে প্রবেশ করছেন। তবে তাঁদের কার্যকর শিক্ষায় শিক্ষিত করা হচ্ছে না।

কৃষিসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ কৃষির উৎপাদনে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। তবে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে এখনো পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশ এখন সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, মাছ উৎপাদনে চতুর্থ অবস্থানে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থান ধরে রাখতে হলে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এনপিওর পরিচালক অজিত কুমার পাল, জাতীয় উৎপাদনশীলতা ও মজুরি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খান, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মাহবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত: গতকাল নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকালে এনপিও একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করে। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শিল্প মন্ত্রণালয়ে গিয়ে শেষ হয়। বিকেলে মতিঝিলের এনপিওর কার্যালয়ে ‘টেকসই উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনপিওর পরিচালক অজিত কুমার পালের সঞ্চালনায় এতে শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, প্রযুক্তিবিদসহ উৎপাদনশীলতার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন। শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অনুষ্ঠানে বক্তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি অর্জনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তথ্যপ্রযুক্তি, হাসপাতাল ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যশিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।

চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

world bank

চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পরবর্তী অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থাটির ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন উন্মোচন করা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছে বিশ্বব্যাংক। চ্যালেঞ্জগুলো হলো বেসরকারি বিনিয়োগে স্থবিরতা, অবকাঠামোর ঘাটতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান, ঢাকা কার্যালয়ে মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

UK retailers will need 60K technical employees by 2020

uk retailers will need 60k technical employees by 2020

The UK fashion industry will require around 60,000 people in analytical, digital, technical, merchandising and supply chain management departments by 2020 due to the rise in digital shopping channels, says a recent report. Analytical roles are likely to grow by more than 50 per cent, while technical roles are expected to grow by 30 to 40 per cent. Adoption of social media platforms to buy and engage with fashion is identified as one of the key drivers of this change, according to the report published by the Fashion Retail Academy (FRA) and OC&C Strategy Consultants. About 58 per cent of 18 to 24 year olds purchase clothing after seeing peers wearing an item on social media and 72 per cent report an appetite for shopping directly from social platforms. The rise in the digital platforms is expected to lead UK retailers to spend 20 per cent of their overall marketing budget on social media in the next five years as opposed to 9 per cent as of now, says the report. Over a quarter of retailers in the UK believe that social media will significantly change their business model by 2020. “Many retailers have already recognised current skills gaps within their organisation, with three quarters of retailers providing in-house training for experienced staff and management to plug these gaps. However, all of the retailers we spoke with believe that the skills required in these areas would be entirely new in five years’ time. In order to keep the UK at the forefront of the world’s fashion industry, retailers need to partner with educational institutions to develop bespoke training programmes which build the specific skills their employees need to learn,” said Michael Jary, Partner at OC&C Strategy Consultants and co-author of the report. In spite of the high demand for skilled head office roles, over 57 per cent retailers in the UK are struggling to find the right people for these roles, revealing an urgent skills gap over the next five years. To address this challenge, FRA has announced a campaign called ‘Retail Reimagined’ to help retailers acquire the talent that they need. Some new courses will also be introduced by FRA to help the existing employees of the industry learn new skills. “Technical, merchandising, digital and analytical roles, which are expected to grow significantly, are already areas where retailers struggle to recruit. Graduates and even GCSE and A-level students do not know about the exciting roles that retail increasingly offers and requires. One of the things we are doing to address that is launching ‘Retail Reimagined’, our industry-led careers campaign to ensure the FRA can help retailers acquire the talent they need to secure the future of the fashion industry in this country,” said Lee Lucas, principal, FRA. However, the need to create competitive operations will result in a loss of over 160,000 roles across sales and shop floor support over the next ten years, predicts the report.

 

 

উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছে না: আজ জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস

bangladesh factory

জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আজ রোববার দেশব্যাপী উদযাপন করা হবে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য’। এ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ৮টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন সংলগ্ন সড়ক থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হবে। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী র‌্যালির নেতৃত্ব দেবেন। ‘টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করেছে এনপিও। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হচ্ছে।

এনপিও পরিচালক অজিত কুমার পাল সমকালকে বলেন, শিল্প, কৃষি ও সেবা খাতের উন্নয়ন হলেও উৎপাদনশীলতার দিক থেকে পিছিয়ে আছে। বেশিরভাগ শিল্প উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছে না। আবার উৎপাদনে অপব্যবহার ও অপচয় বেশি হচ্ছে। এ কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, শিল্পের উৎপাদন হতে হবে পরিবেশবান্ধব। অপচয় কমিয়ে কম খরচে উৎপাদনে যেতে কৌশল নিতে হবে।

পোশাক খাতে স্টেপ আপ কর্মসূচি চালু

bangladesh-rmg-worker

পোশাক খাতে সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচি স্টেপ আপের সুফল পাবে মালিক-শ্রমিক সব পক্ষ। এ কর্মসূচির ফলে কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে সিআরএস কর্মকাণ্ড, শ্রম অধিকার ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে পেশাদার প্রশিক্ষণ পাবেন সংশ্লিস্টরা। ফলে সামাজিক কমপ্লায়েন্সে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়বে বাংলাদেশের।

গতকাল সোনারগাঁও হোটেলে স্টেপ আপ নামের এ কর্মসূচি চালু করা হয়। ডেনমার্কের সহযোগিতায় পরিচালিত এ কর্মসূচি শুরুতে শুধু ডেনিশ ক্রেতারা বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে পোশাক আমদানি করেন সেগুলোতে পরিচালিত হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে দুই বছর মেয়াদে ১০ কারখানায় স্টেপ আপ চালু হচ্ছে।

RMG BANGLADESH NEWS