Home বাংলা নিউজ তন্তুর পোশাকের রপ্তানি বেড়ে ২৯ শতাংশ

তন্তুর পোশাকের রপ্তানি বেড়ে ২৯ শতাংশ

দেশে গত তিন বছরে কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের রপ্তানি ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে বলে এক সমীক্ষায় তথ্য তুলে ধরেছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও  রপ্তানি খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। গতকাল রবিবার  ‘বিয়ন্ড কটন এ স্ট্র্যাটেজিক ব্লুপ্রিন্ট’ শীর্ষক এক সমীক্ষা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

প্রকাশিত সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে, স্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা কৃত্রিম তন্তুর পোশাকে দর ভালো পাওয়ায় এ খাতের পোশাক রপ্তানি বাড়ছে, একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের আগ্রহও বেড়েছে। এতে বলা হয়, কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের বৈশ্বিক বাজার ৭৫ শতাংশ।এর বিপরীতে বাংলাদেশ ৭৫ শতাংশ তুলার পোশাক রপ্তানি করে।

গতকাল ভারতীয় গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়াজির অ্যাডভাইজার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাবসায়িক পরিচালক বরুণ বৈদ রাজধানীর পূর্বাচলে বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন। দুই বছর  ধরে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে উজির অ্যাডভাইজার্স প্রাইভেট লিমিটেড এই সমীক্ষা পরিচালনা করে।

বিশ্বব্যাপী কৃত্তিম তন্তুর পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের নন-কটন ফাইবার ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নন-কটন ফাইবার শিল্পে এক হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করলে ২০৩২ সালের মধ্যে চার হাজার ৬০০ কোটি  ডলারের নন-কটন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কৃত্রিম তন্তু ব্যবহার করে বিজিএমইএ স্থানীয়ভাবে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজার হিস্যা বর্তমান ৭.৮৭ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নিয়ে যেতে চায়। কারণ তুলার তৈরি পোশাকের চেয়ে এসব পণ্যের পোশাকের মূল্য বেশি।

তিনি বলেন, এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ফ্যাশনেও পরিবর্তন এসেছে।কারণ ভোক্তারা সুতির আইটেমগুলোর চেয়ে নন-কটন পোশাক বেশি পছন্দ করে। এর স্থায়িত্বও বেশি। তাই সম্প্রতি নন-কটন ফাইবার আমদানি বেড়েছে। তুলার বৈচিত্র্যের অর্থ এই নয় যে উৎপাদনের ভিত্তিটি তুলা ফাইবার থেকে সরানো হয়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা বেশির ভাগ সুতি পোশাক তৈরি করছেন।এর ফলে বাজার বড় হলেও ভালো দামের জন্য এবার কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন।

News Sources :kalerkantho

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here