Sri Lanka’s textile exports up 4.5% in H1 2016
Continuing with the positive trend since the beginning of this year, exports of textiles and garments from Sri Lanka increased by 4.5 per cent year-on-year in the first six months of this year. During January-June 2016, Sri Lanka’s export earnings from textiles and garments stood at $2.514 billion, compared to $2.405 billion earned in the corresponding period of last year, according to the data released by the Central Bank of Sri Lanka. Export growth in June mainly came from the US and non-traditional markets. “Earnings from textiles and garments exports, which account for around 48 per cent of total export earnings, grew by 1.4 per cent year-on-year to $430 million in June 2016, as a result of higher garment exports to US and non-traditional markets such as Canada, China and UAE,” the Central Bank said. Textiles and apparel accounted for about 63.15 per cent of all industrial exports and about 49.23 per cent of all exports made by the South Asian nation during the six-month period. In 2015, the island nation’s export earnings from textiles and garments declined by 2.2 per cent year-on-year to $4.820 billion, compared to $4.929 billion in 2014.
রাজধানীর উত্তরায় হচ্ছে বিজিএমইএর নতুন ভবন
রাজধানীর উত্তরায় হচ্ছে বিজিএমইএর নতুন ভবন। ১৬ নম্বর সেক্টরের ৯ বিঘা সরকারি খাস জমিতে ভবন নির্মাণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিজিএমইএর একাধিক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ভবনটি ভাঙতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর পর থেকেই ভবনটি ভেঙে ফেলা এবং অন্য কোথাও নির্মাণ করার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। যদিও বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান সমকালকে বলেন, ভবন নিয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর রিভিউ আবেদন করবেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারওয়ান বাজারের বতর্মান ভবনটি সরকারের কাছ থেকে কেনা জায়গায় নির্মিত। ভবনটি ভেঙে ফেলা এবং জমি ছেড়ে দিতে হলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিজিএমইএ। এ বিবেচনা থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে উত্তরায় মোট জমির অর্ধেক পরিমাণ বিজিএমইএকে বিনামূল্যে দিতে রাজি হয়েছে সরকার। বাকি জমি সরকারের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে। তবে ৯ বিঘার পুরো জমিটিই বিনামূল্যে দাবি করেছে বিজিএমইএ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে বিজিএমইএর নেতাদের এক বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ওই বৈঠকে উপস্থিত বিজিএমইএর একাধিক সাবেক ও বর্তমান নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্মাণ ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিজিএমইএর নিজস্ব কোনো তহবিল না থাকায় উত্তরার ৯ বিঘার পুরো জায়গাটিই বিনামূল্যে পাওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করছেন তারা। কিন্তু অর্ধেকের বেশি জমি বিনামূল্যে দিতে রাজি হচ্ছে না সরকার। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে একটা সমাধানে আসা যাবে বলে মনে করেন বিজিএমইএর নেতারা।
বিজিএমইএর নেতারা বলেন, উত্তরার ৯ বিঘার প্রস্তাবিত জায়গাটিই নানা দিক থেকে উদ্যোক্তারা সুবিধাজনক মনে করছেন। বিদেশি ডেলিগেশন, কূটনীতিক, ক্রেতাদের জন্য অভিজাত এ এলাকা খুবই উপযোগী হবে। দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামের কারণে কূটনীতিকপাড়া ও বিমানবন্দর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে মিটিং-সিটিং নিয়ে এখন বেশ সমস্যা হচ্ছে। বেশিরভাগ উদ্যোক্তা নিজেরাও সাভার, গাজীপুরের কারখানা থেকে কাজ শেষ করে প্রয়োজনে সময়মতো বিজিএমইএর কার্যালয়ে আসতে সমস্যায় পড়েন। কারণ, অধিকাংশ সময় যানজট থাকে। এসব কারণে উত্তরার খাস জমিটির প্রতিই বিজিএমইএর নেতারা বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন।
বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান সমকালকে জানান, কারওয়ান বাজার থেকে বিজিএমইএ ভবন সরাতে সরকারের কাছে সময় চাইবেন তারা। সার্বিক অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান অনস্বীকার্য। বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বিজিএমইএর আলাদা ভাব-মর্যাদা রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকারের কাছে যুক্তিসঙ্গত সময় পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তারা। উত্তরায় নতুন ভবনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
দুই যুগ আগে ১৯৯২ সালে তৎকালীন পূর্ত সচিবের কাছে একখণ্ড জমির জন্য আবেদনের মাধ্যমে বিজিএমইএর নিজস্ব ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। লম্বা প্রক্রিয়া শেষে কারওয়ান বাজারের দুই বিঘা জমি পাঁচ কোটি ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩৫ টাকায় কিনে নেয় বিজিএমইএ। তবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ভবনের নকশা অনুমোদনের আগেই নির্মাণকাজ শুরু করায় ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেয় বিজিএমইএ। ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৬ সালের অক্টোবরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিজিএমইএর ভবন উদ্বোধন করেন। এর পর ১৪ তলা ভবনটি দেশের রফতানি বাণিজ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। তবে ভূমির মালিকানা স্বত্ব না থাকা এবং ইমারত বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনকে অবৈধ ঘোষণা করে এটি ভেঙে ফেলার রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বিজিএমইএ। গত ২ জুন হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট।
মুক্ত বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে সামুদয়িক প্রবৃদ্ধিতে জোরারোপ: জি২০ সম্মেলন
মুক্তবাজারের বিরুদ্ধে জনমতের উত্তুঙ্গ সময়ে অবাধ বাণিজ্যকে বাঁচানোর প্রত্যয়ে চীনের হ্যাংঝৌতে শেষ হয়েছে গ্রুপ অব টোয়েন্টি (জি২০) ফোরামের শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির নেতারা মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে প্রবৃদ্ধিকে সামুদয়িক রূপ দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও রয়টার্স।
বিশ্বজুড়ে জনমতে মুক্ত বাজারবিরোধী ঢেউ দেখা যাচ্ছে। ব্রিটেনের নাগরিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি বলবত্করণের পথ রুদ্ধ হয়ে আসছে। জি২০ সম্মেলনে বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকগুলোয় নেতারা তাই মুক্ত বাণিজ্যের প্রতি সমর্থন সৃষ্টি করতে নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের গুরুত্বের কথা বারবার বলেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে বলেছেন, ‘বিশ্বকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মুক্ত বাণিজ্যের ফলে সৃষ্ট সুযোগগুলো শ্রমজীবী মানুষের সত্যিকার কাজে আসে।’ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দের মন্তব্যে মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাকে বাঁচানোর মূলমন্ত্র উঠে এসেছে। আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দে বলেছেন, ‘আরো প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে এবং প্রবৃদ্ধি অবশ্যই সামুদয়িক হতে হবে।’ বিশ্বায়ন প্রসেঙ্গ ক্রিস্টিন লাগার্দে বলেন, ‘বিশ্বায়ন শুধু মুষ্টিমেয় মানুষ নয়, সবার উপকারে আসা চাই।’
জি২০ নেতাদের যৌথ ঘোষণায় ‘প্রবৃদ্ধিকে সামুদয়িক রূপ দেয়ার’ কথা বলা হয়, যাতে ‘আরো মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, বৈষম্য ও দারিদ্র্য দূর হয় এবং কেউ পিছিয়ে না থাকে।’ প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি জেনারেল জন ডানিলোভিচ বলেছেন, ‘জি২০-এর বিশ্লেষণের সঙ্গে আমরাও একমত যে, বাণিজ্য ও মুক্ত বাজারের সুফল আরো কার্যকরভাবে বৃহত্তর জনসমাজের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’ সংরক্ষণবাদী কৌশল ঠেকানো ও দেশীয় মুদ্রার প্রতিযোগিতামূলক অবমূল্যায়ন না করার ঘোষণাকে এবারের সম্মেলনের সাফল্য বলা যায়। কিন্তু প্রবৃদ্ধি জোরদার ও অতিরিক্ত উত্পাদন সক্ষমতা হ্রাসে কর্মপন্থা নির্ধারণের বিষয়টি অধরা রয়ে গেছে।
দুদিনের শীর্ষ সম্মেলন শেষে জি২০ ফোরামের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যায় নয় পৃষ্ঠার বিবৃতি দেয়া হয়। এতে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির নীতিনির্ধারকরা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি জোরদারে নতুন হাতিয়ার ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ওই হাতিয়ার কি হবে এবং তা কীভাবে কাজ করবে, সে ব্যাপারে চীনে নির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা আসেনি। জি২০ নেতারা স্বীকার করেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সুদহার কম রাখাই যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজনে অর্থনীতির কাঠামো ও খোলনলচে পাল্টে ফেলার সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখতে হবে।
জি২০ ফোরামের রুদ্ধদ্বার বৈঠকগুলোয় বিশ্ববাজারে ইস্পাত পণ্যের অতি সরবরাহ নিয়ে চীনকে চাপে পড়তে হয়েছে। ইউরোপের এক কর্মকতা বলেছেন, জি২০ নেতাদের যৌথ ঘোষণার খসড়ায় চীনের অতিরিক্ত ইস্পাত উত্পাদন সক্ষমতার উল্লেখ থাকায় চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। স্বাগতিক দেশ চীন বিষয়টি ভালোভাবেই সামলে নিয়েছে। জি২০ নেতাদের চূড়ান্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘আমরা স্বীকার করছি যে, ইস্পাত ও অন্যান্য শিল্পে অতি সক্ষমতা একটি বৈশ্বিক ইস্যু, যাতে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।’
ইস্পাতপণ্যের অতিরিক্ত উত্পাদন পর্যবেক্ষণে জি২০ ফোরাম একটি বৈশ্বিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা বিষয়টিকে জি২০ সম্মেলনে ইউরোপের প্রধান প্রাপ্তি বলে অভিহিত করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কয়েকটি দেশের বাধা সত্ত্বেও আমরা চূড়ান্ত ঘোষণায় (অতি সক্ষমতা হ্রাসের) গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু কথা উল্লেখ করতে পেরেছি।
এছাড়া জি২০ নেতাদের যৌথ ঘোষণায় আর্থিক বাজারের অস্থিতিশীলতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মন্দাভাব এবং কমোডিটি পণ্যের মূল্য পতনশীল থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি কার্যকরের বিষয়ে এবারের জি২০ সম্মেলনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একটি যৌথ ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দুটি দেশের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। শরণার্থী ও অভিবাসন সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে বিরাট সংখ্যক মানুষের বাধ্যতামূলক বাস্তুচ্যুতি একটি বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক হ্যাংঝৌতে বলেছেন, ইউরোপের শরণার্থী গ্রহণের সক্ষমতা শেষ হয়ে আসছে।
রপ্তানি আয়ে পোশাক নির্ভরতা কাটছে না
২০১৬–১৭ অর্থবছর: জুলাই–আগস্টতৈরি পোশাক রপ্তানি বেশি হয়েছে। সে জন্য দেশের মোট পণ্য রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে চাঙাভাব। আবার পোশাক রপ্তানি কম হলে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধসে পড়ে। গত জুলাই ও আগস্ট—এ দুই মাসে এমন বিপরীতমুখী চিত্রই দেখা গেল। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ঈদুল ফিতরের জন্য অধিকাংশ পোশাক কারখানাতেই ১০ দিনের মতো উৎপাদন বন্ধ ছিল। ফলে পোশাক রপ্তানি হয়েছে কম, মাত্র ২১১ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। পোশাক খাতের অতিনির্ভরতার কারণে মোট পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শেষ পর্যন্ত ঋণাত্মক হয়ে যায়, ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অবশ্য আগস্ট মাসেই পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫৮৩ কোটি মার্কিন ডলার। এই আয়ের ৮৩ শতাংশ বা ৪৮৪ কোটি ডলার তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। পোশাক খাতের এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের ৪৪৮ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। পোশাক রপ্তানির এই প্রবৃদ্ধি মোট পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। এদিকে চলতি মাসেও ঈদুল আজহার ছুটিতে পোশাক কারখানা বেশ কয়েক দিন বন্ধ থাকবে। ফলে পণ্য রপ্তানি চলতি মাসেই আবার গত জুলাইয়ের মতো নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এমনটাই জানালেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান। গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা, এ মাসের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক না হলেও খুব একটা ইতিবাচক হবে না।’
সংগঠনটির আরেক সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘পণ্য রপ্তানিতে পোশাক খাতের ওপর অতিনির্ভরশীলতা অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, কখনো পোশাক রপ্তানি কমলে পুরো অর্থনীতিই বিপদে পড়বে। তাই রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজারে যাওয়া দরকার।’ ব্যবসায়ী নেতারা বহুদিন ধরেই এই কথা বলছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না কেন—এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘আমাদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে যে ব্যবসা বেশি চলে, সেদিকেই সবাই ঝোঁকেন। নতুন কিছুতে আমরা যেতে চাই না। ঝুঁকি নিতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ব্যবসায়ীদের নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, পোশাক খাতে সম্ভাবনা ছিল বলেই সরকার নীতি সহায়তা দিয়েছে। একই রকম চামড়া, ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে প্রচুর সম্ভাবনা আছে।’
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল মঙ্গলবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২১ কোটি ডলার। তার মানে রপ্তানি হয়েছে ৬ শতাংশ কম বা ৫৮৩ কোটি ডলার। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, পোশাকের পর সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ২২ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এই আয় ১৫ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া আলোচ্য সময়ে ১৪ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য, ১০ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল, ৯ কোটি ডলারের কৃষিজাত পণ্য, ৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের হিমায়িত মাছ, দেড় কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এদিকে গত জুলাইয়ে ২৫৩ কোটি ডলারের রপ্তানি হয়েছিল। পরের মাস অর্থাৎ আগস্টে এসে ৩৩০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের আগস্টের ২৭৫ কোটি ডলারের চেয়ে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছর ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
Traders eye more cuts in raw hide prices
More cuts in prices of raw hide of sacrificial animals are likely this year as the leather sector businesses are going to set the price of the cowhide at Tk 40-45 a square feet for Dhaka and Tk 30-35 a square feet for outside Dhaka. The commerce ministry on Monday asked the traders to set ‘rational’ prices for raw hide in 48 hours for animals to be sacrificed during Eid-ul-Azha on September 13. A formal meeting of Bangladesh Finished Leather, Leather Goods and Footwear Exporters Association, Bangladesh Tanners Association and Bangladesh Hide and Skin Merchants Association will be held today (Wednesday) to set the price of raw hide of sacrificial animals. ‘It is obvious that the prices of raw hide would be lower than the last year as the prices of the item dropped by 30-32 per cent on the international market,’ Mohammad Delwar Hossain, chairman of Bangladesh Hide and Skin Merchants Association, told New Age. He said that besides the international price fall, the hide traders would consider the recent hike in salt price to set the raw hide prices. Citing fall in prices and slow demand in the international market, Delwar said, ‘In the meeting we will take decision whether the raw hide prices will be 25 or 30 per cent lower than the previous year.’ Last year, the leather sector businesses had the prices of salted cowhide at Tk 50-55 a square feet for Dhaka and Tk 40-45 a square feet for outside Dhaka which was Tk 20 lower than the rate of 2014. In 2014, the tanners had set the price of per square feet of cowhide at Tk 70-75 in Dhaka and Tk 60-65 across the country outside Dhaka, goatskin at Tk 30-35 and buffalo hide at Tk 35-40 per square feet. In 2013, the tanners bought per square feet of cowhide for Tk 85-95 in Dhaka and Tk 75-80 outside Dhaka, goatskin for Tk 50-55 and buffalo hide for Tk 40-45. This year tanners are going to cut the prices of raw hide of sacrificial animals for three consecutive years citing the same excuse of fall in prices and slow demand in the international market. Md Nurul Alam, managing director of Pragati Leather Complex, said that they were not willing to set the prices of raw hide but it has to be done due to the government direction. Considering the international market of hide and salt, prices in the local market of cow hide should not be more than Tk 40-45 a square feet for Dhaka and Tk 30-35 a square feet for outside Dhaka, he said. One of the leaders of Bangladesh Tanners Association said that the prices of raw hide would be 20-25 per cent lower than the previous year.
DCCI seeks more Thai investment in BD
Senior Vice President of Dhaka Chamber of Commerce and Industries (DCCI) Humayun Rashid Tuesday called upon the Thai businessmen to invest in Bangladesh in larger scale, reports BSS. “Our infrastructure sector is a potential sector for Thai investment,” he said while meeting with a 20-member Thai business team led by Chokedee Kaewsang, Director General of Board of Investment (BOI) at DCCI in the city. President of Thai Bangladesh Business Council (TBBC) Mingpant Chaya was also present during the business meeting. Welcoming the delegation, Humayun Rashid said Bangladesh is an investment friendly country and invited Thai investors to invest in light engineering, agriculture, agro-processing, automotive industry, leather and backward linkage industry of Bangladesh. He said Bangladesh government is going to establish 100 economic zones in the country and urged Thai investors to invest in these economic zones to enjoy attractive investment packages and incentives. Chokedee Kaewsang said Thai businessmen are willing to invest in the potential areas of Bangladesh. Among others, DCCI Vice President K. Atique-e-Rabbani and Directors Mohammad Shahjahan Khan and AKD Khair Mohammad Khan were present in the meeting.
গার্মেন্টস শিল্প এলাকায় শনি-রোববার ব্যাংক খোলা
তৈরি পোশাক শিল্প এলাকায় আগামী শনি ও রোববার বাণিজ্যিক ব্যাংক খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার বিকালে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আযহার আগে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারীদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক শিল্প এলাকার তফসিলি ব্যাংকের কেবলমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ও ১১ সেপ্টেম্বর রোববার পূর্ণদিবস (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত) খোলা রাখার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।
এতে ছুটির দিনে অফিসের কাজে যোগদানকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের যুক্তিসঙ্গত ভাতা প্রদানের জন্যও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ০৭/১২/২০০৬ তারিখের ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-১৮ মোতাবেক বর্তমানে বিমান, সমুদ্র-নৌ ও স্থল বন্দরস্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকের এডি শাখাগুলো প্রতি শুক্রবার ও শনিবার এবং দেশের অপরাপর স্থানে অবস্থিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের এডি শাখাগুলো শনিবার নিজস্ব বিবেচনায় খোলা রাখার নির্দেশনা বহাল রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ শতাংশ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১ থেকে পৌনে ২ শতাংশের ঘরে আটকে গেছে। গত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চার মাস ধরে এই অবস্থা চলছে। তবে বিভিন্ন দেশ থেকে গত বছরের তুলনায় এবার তৈরি পোশাক আমদানি করা কমিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি বছরের প্রথম সাত মাস অর্থাৎ জানুয়ারি-জুলাই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৩২৩ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি হওয়া ৩১৯ কোটি ডলারের পোশাকের চেয়ে মাত্র ১ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) গত শুক্রবার বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, গত জানুয়ারি-জুলাই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১১৩ কোটি ৯২ লাখ বর্গমিটার সমপরিমাণ কাপড়ের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২ হাজার ৬৬০ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২০ শতাংশ বা ৫৪০ কোটি ডলারের পোশাক। এই আয় ২০১৪ সালের ৪৮৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির চেয়ে ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান গত রোববার রাতে বলেন, প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি না হলে সেটা আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচনের বছর পোশাকের বাজার একটু মন্দা থাকে। সে জন্য সেখানকার ব্যবসায়ীরা পোশাকের ক্রয়াদেশ কম দেন। চার বছর আগেও আমরা এমন চিত্র দেখেছি। ইউরোপের মতো আমেরিকার বাজারেও পোশাকের দাম কমেছে। সে জন্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কম।
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, গত জুলাইয়ে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর বিদেশি ক্রেতারা একটু ভয় পেয়েছিলেন। তবে সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ায় তাঁদের আস্থা ফিরেছে। ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী মৌসুমের জন্য পোশাকের ক্রয়াদেশ দেওয়া শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে চীন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে এই বাজারে চীন ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ শতাংশ কম। অন্যদিকে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ৬১৩ কোটি ডলারের পোশাক। তাদের প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া ও ভারত। বছরের প্রথম সাত মাসে ইন্দোনেশিয়া ২৮৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তাদের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ভারত রপ্তানি করেছে ২৩২ কোটি ডলারের পোশাক। তাদের প্রবৃদ্ধিও ঋণাত্মক।
Bangladesh may get back GSP in US market
The US government is accepting applications from countries for trade benefits to the American market, which has created an opportunity for Bangladesh to present its case once again for the GSP (generalized system of preference). Bangladesh has been lobbying hard with the US government for the reinstatement of GSP, which was suspended after the collapse of Rana Plaza in 2013 on the ground of serious shortcomings in the workplace safety. Bangladesh submitted the progress report twice on workplace safety upgradation to the United States Trade Representative (USTR), but that could not satisfy the USTR authorities. The receiving of fresh applications for granting GSP has created another opportunity to plead its case again. Senior officials of the Commerce Ministry told The News Today that they were enquiring about the fresh move of the US government for the GSP and Bangladesh would not leave any stone unturned to get back the GSP. Under the GSP porgramme about 5,000 products from 122 developing countries and territories, including 43 least-developed countries (LDC), get duty-free access to the US market. Major American retailers and trade bodies, according to the information available, recently urged the US government to increase the number of GSP-eligible countries supplying travel goods such as bags and luggage to the American market, as current duty-free beneficiary countries are unable to meet the demand. Bangladesh is a major producer of travel goods. Before the suspension of GSP, Bangladesh used to export US$24 million worth goods to the US in a year, which is only 0.5 per cent of Bangladesh’s total trade with the USA.